হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হয়েছি অন্য রকম একটি পোস্ট নিয়ে যার টাইটেল 
“কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এর মধ্যে পার্থক্য কি” 




আমি চেষ্টা করবো প্রশ্নটির সঠিক উত্তর ব্যাখ্যা করার লজিক দিয়ে তারপর ও যদি কারো কোন মতামত থাকে কমেন্ট বক্স তোমাদের জন্য উন্মুক্ত রইলো।

পোস্ট টি শুরু করার আগে আমাদের জানতে হবে কম্পিউটার কি এবং ইন্টারনেট কি তাহলে আমরা এই দুটোর মাঝে পার্থক্য দাড় করাতে সফল হবো।

তো প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কম্পিউটার সম্পর্কেঃ

আপনি কি অ্যাবাকাস এর নাম শুনেছেন হয়তো অনেকেই জানেন যে এটা একটা গণনাকারী যন্ত্র। ইতিহাস থেকে যা জানা গেছে তা হল, প্রায় ৪ হাজার বছর আগে চীনারা গণনা করার জন্য একটি যন্ত্র তৈরি করে। যার নাম ছিল অ্যাবাকাস।এটিই হল পৃথিবীর প্রথম গণনাকারী যন্ত্র। আর এটিই হল বর্তমান কম্পিউটারের পূর্বপুরুষ।আর আমরা যে আজ কম্পিউটারে মুভি,গেমস এবং গ্রাফিক্যাল কাজ সহ ইন্টারনেট সার্ফিং এর মত নানা ধরনের কাজ গুলো করে থাকি সেই কম্পিউটারের আবির্ভাব হয় কিন্তু গণনাকারী যন্ত্র হিসাবে কিন্তু তা আজ শুধু গণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
আমাদের নিত্যদিনের অধিকাংশ কাজগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব তবে তা ক্ষেত্র বিশেষে।
কম্পিউটার শব্দটি গ্রীক compute শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হচ্ছে গণনা করা। মূলত কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।
(আবার ল্যাটিন শব্দ Computare ও থেকে Computer শব্দের উৎপত্তি বলে ও মনে করা হয় )
 কম্পিউটার এখন শুধু গননাকারী যন্ত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় আর মূল কারণ হলো সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গিয়েছে এর ব্যবহার চিত্র কম্পিউটার কি কাজে ব্যবহার হয় সে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বরং জিজ্ঞাসা করা যায় কি কাজে ব্যবহার হয় না তাহলে উত্তর দেওয়াটা সহজ। কম্পিউটার ছাড়া উন্নত ব্যবস্থাপনা,উৎপাদন,গবেষণা,টেলিযোগাযোগ, প্রকাশনা কল্পনা করা যায় না। কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায় সকল কাজে সকল স্থানে। মুলতঃ মানুষ তার কাজের উন্নয়নের জন্য কম্পিউটারকে কাজে লাগায়। এর ব্যবহারে প্রতিটি কাজ হয়ে পড়ে নির্ভর ও গতিশীল। তাই দিন দিন কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েই চলছে। নিচে কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের ব্যবহার উল্লেখিত হলঃ-



অফিস বেবস্থাপনা (In office Management)

শিল্প ক্ষেত্রে (In Industry Sector)
মুদ্রণ শিল্পে (In Printing Industry)
যোগাযোগ ব্যবস্থায় (In Communication)
চিকিৎসা ক্ষেত্রে (In Medical Sector)
গবেষণায় (In Research)
ব্যাংকিং জগতে (In Banking)
আদালত (In Court)
সামরিক ক্ষেত্রে (In Defence Sector)
অর্থবাজারে (In Billing System)
কৃষি ক্ষেত্রে (In Agriculture)
সংস্কৃতি ও বিনোদনে (In Cultures and Recreation)
তথ্য পরিসংখ্যানে (In Information Statistics)
ডিজাইনে (In Design)
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে (In Weather Forecast)
এক কথায় কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় সর্বত্র। আমাদের জীবন যাত্রা কম্পিউটার ভিত্তিক। বাসার পড়ার ঘর, ভিডিও লাইব্রেরী,অফিস,ডিপার্টমেন্ট সেন্টার ও হোটেল থেকে শুরু’ করে সর্ব ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার দিনকে দিন অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়ে চলেছে।
কম্পিউটারের শ্রেণী বিভাগ :

আকৃতিগত দিক থেকে কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
ক. সুপার কম্পিউটার (super computer),
খ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer),
গ. মিনি কম্পিউটার (mini computer),
ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer)।


ক. সুপার কম্পিউটার (super computer) : আকৃতিগত দিক থেকে সর্ববৃহত এই কম্পিউটারটিতে তথ্য সংরক্ষণ-তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুত গতিসম্পন্ন। এই কম্পিউটার সাধারণত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও বৃহত প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন-cray-1, cray x-mp, cyber-205.



খ. মেইনফ্রেম কম্পিউটার (mainframe computer) : সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট তবুও অন্যান্য কম্পিউটারের চেয়ে বড় এ ধরণের কম্পিউটার একই সাথে অনেকগুলো গ্রহণ মুখ ও নির্গমন মুখ, সরঞ্জাম ও বিভিন্ন রকম সহায়ক স্মৃতির সাথে সংযোগ রক্ষা করে কাজ করে থাকে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহ এ ধরণের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। যেমন-univac1100/01, ibm 6120, ibm 4341, ncr n8370, data general cs30.





গ. মিনি কম্পিউটার (mini computer) : সবচেয়ে জনপ্রিয় এটি কম্পিউটারটি আকৃতিগত ছোট ও দামে সস্তা। অফিসিয়াল কাজ, খেলাধুলা ও এন্টারটেইনমেন্ট কাজে বহুল ব্যবহৃত। এ কম্পিউটারকে পিসি (personal computer) বলে। যেমন-ibm p.c, trs 80, apple 64.


ঘ. মাইক্রো কম্পিউটার (micro computer): মাইক্রোকম্পিউটার বা পার্সোনাল কম্পিউটারকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-
১. সুপার মাইক্রো (super micro)
২. ডেস্কটপ (desktop)
৩. ল্যাপটপ (laptop)








১. সুপার মাইক্রো (super micro) : সুপার মাইক্রো কম্পিউটার হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাইক্রো কম্পিউটার। এর অন্য নাম ওয়ার্ক ষ্টেশন। এই কম্পিউটারের ক্ষমতা যে কোন মিনি কম্পিউটারের কাছাকাছি হওয়ায় এগুলো মিনিফ্রেমের স্থান দখল করে নিচ্ছে।



২. ডেস্কটপ (desktop) : এটি সহজে ব্যবহার ও ডেস্কে স্থাপন করা যায়। যেমন-আইবিএম পিসি, এ্যাপল মেকিনটোশ।








গ.ল্যাপটপ (laptop) : ডেক্সটপ থেকে ছোট কম্পিউটারগুলো সহজে বহন ও ব্যবহার করা যায়। এটি lap (কোল) এর উপর top (উপর) রেথে কাজ করা যায়।


 ল্যাপটপ দুইশ্রেণীতে বিভক্ত। যেমন-
নোট বুক (note book) ও পিডিএ (pda)।



নোট বুক (note book) : ছোট ডায়রী ও নোটবুক আকৃতির ল্যাপটপ। এগুলোকেও পাওয়ার বুক বলা হয়।



পিডিএ (pda) : সাবনোট বুক পিডিএ (personal digital assistance) এক ধরণের ল্যাপটপ।
আকৃতিগত দিক ছাড়াও গঠনগত দিক থেকে কম্পিউটারকে আরও তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন-




১. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer),
২. অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer),
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer)।





১. ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer) : এ ধরণের কম্পিউটার বর্ণ/অংক সংকেতের মাধ্যমে তথ্যগ্রহণ করে থাকে এবং ফলাফল প্রকাশ করে। এ কম্পিউটার নির্ভুলভাবে গাণিতিক ও যুক্তিগত কাজ করে সূক্ষ্মভাবে। 1 ও 0 বাইনারী সংখ্যার উপর নির্ভর করে উপাত্ত সংগ্রহ করে।



২. অ্যানালগ কম্পিউটার (analog computer) : এ কম্পিউটারে বর্ণ ও অংক সংকেতের পরিবর্তে এনালগ বৈদ্যুতিক সংকেত ব্যবহার করে। রোদ, তাপ, উত্তাপ, চাপ জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালগ কম্পিউটার ইনপুট হিসেবে গ্রহণ করে এবং ফলাফল সাধারণ প্লটার দিয়ে অংকন করে। রাসায়নিক, পেট্রোলিয়াম ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অ্যানালগ কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।



৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (hybrid computer) : ডিজিটাল ও অ্যানালগ এ দুই ধরণের কম্পিউটারের সমন্বয়ে গঠিত কম্পিউটারকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে। বৈজ্ঞানিক সমাধানের জন্য হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।


আমার মনে হয় না কম্পিউটার সম্পর্কে আর কিছু উল্লেখ করার দরকার আছে আপাদত


এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক ইন্টারনেট কি?



ইন্টারনেট হচ্ছে কম্পিউটার নির্ভর বৈশ্বিক তত্ত্ব পদ্ধতি। পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার কেন্দ্রিক নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক এর সমষ্টিই হচ্ছে ইন্টারনেট।


কি ভাই মাথার উপর দিয়ে গেলে নিচে আরেকটু বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করবো।



যখন আপনি কারো সাথে চ্যাট করেন কিংবা কাউকে মেইল সেন্ড করেন তখন কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে এই কাজ গুলো সম্পূর্ণ হতে কতোগুলো আলাদা কম্পিউটার একসাথে কাজ করে যাচ্ছে?
ধরুন আপনি  আপনার কম্পিউটার নিয়ে বসে আছেন, পৃথিবীর আরেক প্রান্তে আপনার বন্ধু কম্পিউটার নিয়ে প্রস্তুত হয়ে বসে আছে আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য। কিন্তু আপনি আর আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের ফাঁকের মধ্যে অসংখ্য কম্পিউটার রয়েছে যা আপনার আর আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের মধ্যের ফাঁকা স্থান পূরণ করছে। আর এভাবেই একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটার সংযুক্ত রয়েছে গোটা পৃথিবী জুড়ে আর এটাই হলো দ্যা ইন্টারনেট।


সব কিছুর নাটের গুরু সেই ইন্টারনেটের মালিক কে? সেটা কি সিম কোম্পানি গুলো নাকি ওয়াইফাই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান?



অবাক করা উত্তর হল না আপনি নিজেই এর মালিক। বিশ্বাস হলো না তো আসলে আপনি আমি সকলেই ইন্টারনেটের এক একটা অংশের মালিক
আপনার বাড়িতে যদি দুটি কম্পিউটার থাকে তবে সে দুটিকে অপটিকাল ফাইবার দিয়ে যুক্ত করলে মুহূর্তেই বড় বড় ফাইল আপনি আপনার এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ট্রান্সফার করতে পারবেন। তাহলে তৈরি হয়ে গেল আপনার বাসার ইন্টারনেট। এভাবে যদি এলাকার সব কম্পিউটার জুড়ে দেন তাহলে তৈরি হয়ে গেল এলাকার ইন্টারনেট। এমনিভাবে পুরো দেশ বা পুরো পৃথিবীর কম্পিউটারগুলোকে জুড়ে দেওয়ার নামই হলো ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক বা সংক্ষেপে ইন্টারনেট। বাংলায় একে আমরা বলতে পারি আন্তঃসম্পর্কের নেটওয়ার্ক।



এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে বাড়ির ইন্টারনেট না হয় অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে যুক্ত করলাম কিন্তু বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার গুলো কিভাবে যুক্ত থাকে? এটা কি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে? উত্তর হল না ১০০ ভাগের মধ্যে ৯৯ ভাগ ইন্টারনেট চলে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে।





 চুলের মত আকৃতির শতশত অপটিক্যাল ফাইবার গুলো একসাথে সাবমেরিন কেবলের মধ্য দিয়ে চলে যায় পৃথিবীর এক দেশ থেকে আরেক দেশে। সমুদ্রের নিচে এরকম শত শত সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে আমাদের এই বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট তৈরি হয়েছে।






তো বুঝলাম ইন্টারনেটের মালিক আমরা সবাই তবে কেন আমরা ইন্টারনেট চালাতে টাকা দেই? এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। বন্ধুরা সমুদ্রের নিচে এমন হাজারো তার গুলোকে বলা হয় ইন্টারনেটের মেরুদন্ড। আর এগুলো বিছানো এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে তো অনেক খরচ তাই না। ইন্টারনেটকে আমাদের ঘরে পৌঁছানোর জন্য কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। যারা আমাদের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছান তাদেরকে বলা হয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানি বা সংক্ষেপে আইএসপি।
আরো বিস্তারিত বলছি আশা করি বুঝতে পারবেন সহজে।
আমাদের জানতে হবে ISP সম্পর্কে, জানতে হবে ISP কি জিনিস। ISP এর পূর্ন রূপ হল Internet Service Provider। আর এই ISP কে ভাগ করাহয় মোট ৩ টি ভাগে :


টাইর ১
টাইর ২
টাইর ৩
 প্রথম পর্যায় এর ISP
এখানে টাইর ১ ISP হল সেসব ISP যারা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দুবাই, দুবাই থেকে ভারত, বারত থেকে শ্রীলংকা বা বাংলাদেশ ইত্যাদি স্হানে সমুদ্রের নিচ দিয়ে তার বসায় এবং আমাদের দেশের সাথে অন্য দেশের সংযোগ স্হাপন করে, এরা হল আন্তর্জাতিক Internet Service Provider।


দ্বিতীয় পর্যায় এর ISP
আর এর পরেই আসে হল টাইর ২ ISP। যেখানে টাইর ১ ISP আন্তর্জাতিক সেখানে টাইর ২ ISP হল জাতীয় পর্যায়ে কাজ করে এর উদাহরন হল এরা টাইর ১ থেকে ইন্টারনেট গ্রহন করে যেমন: BSCCL বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানী লিমিটেড


এদের সাধারনত সারাদেশে সংযোগ এবং ভালো কানেক্টিভিটি থাকে, এর উদাহরন হল BTCl। এরা বাংলাদেশ এর সরকারি টাইর ২ ISP। অনেক সময় এরাও লোকাল পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে; যেমন : BTCL ADSL (BTCL Broadband সংযোগ যেভাবে নিবেন জেনে নিন)


 তৃতীয় পর্যায় এর ISP
আর এখন আসল টাইর ৩ ISP এরা হল আঞ্চলিক পর্যায়ের ISP যেমন Smile Broadband, Go Broadband, Link3, TM International ইত্যাদি ISP আপনার বাসা বাড়ি বা অফিস বা স্কুল, আদালতে তাদের ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে থাকেএরা টাইর ২ থেকে ইন্টারনেট কেনে। এখানে গ্রামীনফোন, রবি, বা এয়ারটেল কখন এরা টাইর ২ বা টাইর ৩ ISP থেকে তাদের গ্রহকদোর জন্য ইন্টারনেট নেয়। তবে উদাহরন হিসেবে রবি TM International থেকে ইন্টারনেট নেয়। TM হল টাইর ৩ ISP; টাইর ৩ ISP এর ভেতর থেকে TM এর ক্ষমতাটা একটু বেশি।




বিশ্বব্যাপী সম্পর্ক রক্ষার জন্য যারা সমুদ্রের নিচে সাবমেরিন ক্যাবল বিছানো ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন তারা টি আর ওয়ান কোম্পানি। TR 2 এবং TR 3 কোম্পানিগুলো এদের কাছ থেকে ভাড়ার বিনিময়ে সংযোগ নিয়ে দেশের মধ্যে অবস্থিত সকল স্থানে পৌঁছে দেয়। টিয়ার টু কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ভাড়া নেয় আমাদের স্থানীয় ওয়াইফাই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গুলো। আর সিম কোম্পানি গুলো টি আর ওয়ান কোম্পানি থেকে ভাড়া নিয়ে তাদের টাওয়ারের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়।




একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার হয়। , ধরুন আপনি ফেসবুকে ঢুকলেন। সিম কোম্পানি গুলো আপনার এ তথ্য কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় থাকা টি আর ওয়ান কোম্পানির লাইনে পৌঁছে দেয়। আর টি আর ওয়ান কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে থাকা ফেসবুকের সার্ভারে সেটা পৌঁছে দেয়। পুনরায় বিপরীত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ফেসবুকের সার্ভার থেকে আপনার মোবাইলে ফেসবুকের ওয়েব পেইজ ওপেন হয়। তো বন্ধুরা প্রক্রিয়াটা সত্যিই জটিল। আর এগুলো সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ করে কিছু প্রটোকল। যা আবার নিয়ন্ত্রণ করে কিছু প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে একটি হলো দা ইন্টারনেট সোসাইটি। তো বন্ধুরা এই বিশাল মহা আয়োজন এর খরচ তো অনেক তাই না। তাই আমরা ইন্টারনেটের একাংশের মালিক হওয়া সত্ত্বেও টাকা দিয়ে ইন্টারনেট চালাই।






কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এর পার্থক্য নিচে সংক্ষেপে আলোচনার করছি।


উপরের আলোচনা থেকে যা বুঝা যায় তা হলো কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা দ্বারা মোটামুটি সব ধরনের কাজ করা সম্ভব এবং আমাদের আলোচ্য বিষয় ইন্টারনেট কেও নিয়ন্ত্রন করতে কম্পিউটার প্রয়োজন পড়ে।


   আর অন্যদিকে ইন্টারনেট, আপনার কম্পিউটারকে বিশ্বের অন্যান্য কম্পিউটারগুলিতে সংযুক্ত  করে, এবং ইন্টারনেট ডাটা আদান প্রদানের  মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয় । ওয়েব এমন সফ্টওয়্যার যা আপনাকে সেই ডাটা ব্যবহার করতে দেয় … অথবা আপনার নিজের ডাটা অন্য কোথাও পৌছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।




তাহলে আজকের মত বিদায় দেখা হবে অন্য কোন দিন নতুন কিছু নিয়ে।


সৌজন্যেঃ সাইবার প্রিন্স চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আমার ব্লগ








































































18 thoughts on "কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট তো সবাই কম বেশী চিনি কিন্তু কোন দিন মনে প্রশ্ন এসেছে কি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট এর মধ্যে পার্থক্য কি?"

    1. Cyber Prince Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ @ Saimum Raihan ভাই আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য
    1. Cyber Prince Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ @ Uzzal Mahamud ভাই আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য।
  1. Ragib Hossen Contributor says:
    thnx….etai amr presentation topics silo
  2. TA S IN Contributor says:
    Good post keep it up?
    1. Cyber Prince Author Post Creator says:
      Thank You @ TA S IN ভাই আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য
  3. NS Sabur Legend Author says:
    Good post
    1. Cyber Prince Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ @ NS Sabur ভাই আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য
  4. TA S IN Contributor says:
    Your welcome brother
  5. zX Author says:
    অনেক ভালো লিখেছেন ??
    1. Cyber Prince Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ zX ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য
    1. Cyber Prince Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ @ MD MASUD RANA ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য
  6. Shakil khan Author says:
    hmm onk sundor kore lekhesen thanks
    1. Cyber Prince Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ @ Shakil khan ভাই আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য
    1. Cyber Prince Author Post Creator says:
      @ CoCKroAcH ভাই ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য

Leave a Reply