মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করা নিয়ম একদম সহজ একটি উপায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যে এখন পযর্ন্ত জানে না যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায়। আজ আমি আপনাদের সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবো যে, কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যদি জানতে চান তাহলে সম্পূন্ন ব্লগটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমার মতে প্রত্যেক এই বিষয়টি জানা দরকার যে কোনো সময়ই এই টিপস টি আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগতে পারে। আপনাদের জরুরী প্রয়োজনে যদি আপনার কাছে আপনার ভোটার আইড কার্ড টি না থাকে তাহলে আপনি মোবাইল নাম্বার এর সাহায্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার টি বের করতে পারবেন। তাহলে বুঝতে পেরেছেন যে এটা আমাদের জানা কতটা দরকার।
জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই
কম বেশি আমরা সকলেই জানি আমাদের বাংলাদেশ সবচেয়ে একটি গণতান্ত্রিক দেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিক যারা আছে তারা একজন সরকার নির্বাচন করবে প্রদান করার মাধ্যমে। প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে নিজ নিজ দায়িত নিজ অধিকারে দেওয়ার জন্য চাইলে যে কেউ যেকোনো প্রার্থীকেই ভোট প্রদান করতে পারে।
তবে আমরা এটাও জানি যে অবশ্যই তারাই এই ভোট প্রদান করতে পারবে যারা কিনা ভোটার হয়েছেন কিংবা এন আই ডি কার্ডের মালিক হয়েছেন। তো এখান থেকে অবশ্যই আপনি এটা জানতে পারছেন যে প্রত্যেকটা জাতীয় পরিচয় পত্রের কতটা গুরুত্ব রয়েছে।
এখন তো আপনি জানতে পেরেছেন অবশ্যই এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু। যেকোনো মুহূর্তেই হঠাৎ করে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হতে পারে তখন আপনি কোথায় পাবেন যদি আপনার কাছে এনআইডি কার্ড অ্যাভেলেবেল না থাকে। টাকার পরে আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করার নিয়ম
কেননা এটাই সম্ভব না যে সব সময় এন আইডি কার্ড আমরা আমাদের সাথে রাখবো। যদিও বা দেখা যায় আমরা অনেক সময় সাথে রাখি আবার এমন অনেক সময় আছে মনে থাকে না যে আমাদের সাথে নিয়ে আসতে। বলে আমাদের বাড়িতে কিংবা অফিসে ফেলে আছি আমাদের সেই জাতীয় পরিচয় পত্রটা যেটা কিনা হঠাৎ করে প্রয়োজন।
তাই এই সমস্ত ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে একটা উপায় সেটা হচ্ছে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা। অর্থাৎ আপনার কাছে যদি জাতীয় পরিচয়পত্র নাও থাকে তাহলে কিভাবে মোবাইল নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড বের করবেন এটাই জানার অত্যন্ত প্রয়োজন।
কেননা এমন অনেক সময় আপনার উপস্থিত হয়ে যাবে যে, আপনি বুঝতেই পারবেন না যে আপনার এন আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আপনি আপনারা বাসায় কিংবা অফিসে ফেলে এসেছেন। তাহলে এখন আর কি করার আছে? অবশ্যই সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটা উপায় জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা।
সুতরাং আপনি যদি এই পদ্ধতিটা অবলম্বন করতে পারেন কিংবা জানেন অর্থাৎ মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম। তাহলে আপনাকে সব সময় আপনার মানিব্যাগের মধ্যে কিংবা পকেটের মধ্যে এনআইডি কার্ড নিয়ে ঘুরতে হবে না।
আদৌ কি মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বাহির করা সম্ভব? যদি সম্ভব হয় তাহলে কিভাবে? চলুন সেটা একটু জেনে নেয়া যাক বিস্তারিতভাবে। তাহলে আর দেরি কেন এজন্য তো আপনাকে অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তাই না? তাই আর্টিকেলটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
আপনি যদি আপনার হাতে দেখা যেকোনো মোবাইল ফোন দিয়ে আপনার যা দিয়ে পরিচয় বের করতে চান তাহলে এটাই সম্ভব কিনা জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। চাইলেই আপনি এই বিষয়টা খুব সহজেই করতে পারবেন না তার জন্য অবশ্যই আপনাকে এসব বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত থাকতে হবে।
তার আগে আমরা একটা বিষয় জানবো সেটা হচ্ছে জাতীয় পরিচয় পত্রের গুরুত্ব কিংবা প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এই বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন সেই বিষয় সম্পর্কে একটু ধারণা দেওয়া যাক যে, আসলে কথাটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের এই নিত্য প্রয়োজনীয় এনআইডি কার্ড।
জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজনীয়তা | মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ
এখানে আসলে মূলত Nid card এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু রয়েছে বিস্তারিতভাবে এখানে বলা সম্ভব নয়। বলতে গেলে অনেক কিছু করা লাগবে এই এনআইডি কার্ড সম্পর্কে যে আপনার কতটা প্রয়োজন। এই এনআইডি কার্ডটা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
যেমন আপনি যদি একটা সিম তৈরি করতে যান সে ক্ষেত্রে ও আপনার এন আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছেই। কেননা আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া আপনার সিমটা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না, যদিও বা পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর একটা সিস্টেম রয়েছে মনে হয়। এখানে কিছু এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি:-
- প্রত্যেকটা নাগরিক যার কাছে ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে সে ভোট প্রদান করতে পারবে (ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে)।
- যার কাছে ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে সে যে বাংলাদেশের নাগরিক সেটা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হবে।
- খুব সহজেই বাংলাদেশের যে কোন সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে কোন দ্বিধাবোধ করা ছাড়ায়।
- খুব সহজে বিভিন্ন রকম সেনসিটিভ একাউন্ট তৈরি করতে পারবে যেমন: মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
- সরকারি অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে যেমন ভাতা ইত্যাদি।
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম
আমরা এখন মূল আলোচনায় যাব সেটা হচ্ছে কিভাবে আপনি আপনার আইডি কার্ড দিয়ে ই বের করবেন। তবে তার আগে একটা বিষয় জানা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে আসলে কয়টা পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে এই কাজটা করা যায়।
নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করবেন ঠিক আছে। তো এই কাজটা আপনি কয় পদ্ধতিতে করতে পারবেন এখন আমরা এই বিষয়টা একটু জানবো। আমার জানামতে আপনি মাত্র দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনার আইডি কার্ডটা চেক করতে পারবেন মোবাইল নাম্বার দিয়ে।
- নির্দিষ্ট একটা কোড ডায়াল করার মাধ্যমে
- ইন্টারনেটের সাহায্যে ওয়েবসাইট ব্রাউজিং করে
এখন তো আমরা জানলাম এই কাজটা আপনি কয় পদ্ধতিতে করতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার্থে এখানে আমি প্রত্যেকটা বিষয় খুব ভালোভাবে বলে দেওয়ার চেষ্টা করব। সুতরাং আপনি যদি মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিষে বের করতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার নিয়ম
আপনি যদি খুব সহজ পদ্ধতিতে এবং স্বল্প সময়ে আপনার আইডি কার্ড টা চেক করতে চান মোবাইল নাম্বার দিয়ে তাহলে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি যেটা রয়েছে সেটা হচ্ছে ইউএসএসডি কোডের মাধ্যমে। তবে হ্যাঁ, এখানে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন সেটা হচ্ছে শুধুমাত্র এখানে এনআইডি কার্ডের নাম্বারটা দেখতে পাবেন। বিস্তারিতভাবে ডিটেলস দেখতে পারবেন না আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র।
তবে এটাও আপনার মাথায় রাখতে হবে যে, আপনি যে এন আইডি কার্ডের নাম্বারটা দেখতে চাচ্ছেন সে এনআইডি কার্ড দিয়ে যে নাম্বারটা রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে সেই সিম দিয়েই আপনি দেখতে পারবেন। অর্থাৎ নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে আপনাকে অবশ্যই সেই নাম্বারের জাতীয় পরিচয় পত্র টা লাগবে।
সুতরাং আপনি যদি আপনার এন আইডি কার্ড দিয়ে কোন সিম রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে সেই সিম দিয়ে ইউএসএসডি কোড ডায়াল করার মাধ্যমে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারটা চেক করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, এক্ষেত্রে আপনাকে একটা বিষয় জানা লাগবে সেটা হচ্ছে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের শেষের ৪ ডিজিট।
সুতরাং আপনার ফোনের ডায়াল ফেটে গিয়ে ডায়াল করুন *1600# এই কোডটি। কোডটি ডায়াল করার পরে যদি সার্ভিস অ্যাভেলেবল থাকে তাহলে যখন পরবর্তী স্টেপস গুলো কমপ্লিট করে ফেলবেন, তখনই আপনি এসএমএস এর মাধ্যমে আশা করি জাতীয় পরিচয় পত্র টা দেখতে পাবেন। মূলত এখানে আপনাকে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে অবশ্যই এই পদ্ধতিটা যদি এভেলেবেল থাকে তাহলেই সম্ভব না হয় সম্ভব হবে না।
ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার নিয়ম
আপনি যদি মনে করে থাকেন এটা খুব একটা কঠিন কাজ তাহলে ভুল ভাবছেন। কেননা এই পদ্ধতিটা খুব একটা সহজ আমি মনে করি। তাছাড়া এখানে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের পূর্ণাঙ্গ ডিটেলস দেখতে পাবেন। যেখানে কিনা আমরা উপরে যে পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি অর্থাৎ এর মাধ্যমে সেখানে শুধুমাত্র আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বারটি দেখতে পাচ্ছেন।
অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি আমি যে আপনাদের সাথে একটা ইউএসএসডি কোড শেয়ার করেছি সেখানে যদি আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করেন তাহলে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বারটাই দেখতে পাবেন। যেখানে কিনা প্রিন্ট করার কোন সুযোগ নেই আর অন্যদিকে আপনি যদি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে করেন তাহলে প্রিন্ট করে নেওয়া সম্ভব।
অর্থাৎ আপনি যদি বাংলাদেশের যে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট রয়েছে সেখান থেকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করেষ সেক্ষেত্রে সেখান থেকে প্রিন্ট করে অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আমার মতে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে করাটা অত্যন্ত সহজ এবং ব্যবহারযোগ্য।
সুতরাং আপনি যদি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বের করতে চান নাম্বার দিয়ে তাহলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সেখানে একটা অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। শুধু তাই নয় আপনি মোবাইল নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড বের করার ক্ষেত্রে সেই মোবাইল নাম্বার দিয়ে নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
সুতরাং আপনার যদি একাউন্ট না থাকে তাহলে নতুন একটা একাউন্ট করতে হবে আর যদি থাকে তাহলে অবশ্যই যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট করেছিলেন সেই মোবাইল নাম্বারটা লাগবে, অন্যতায় পারবেন না। যদি একাউন্ট করা না থাকে তাহলে নতুন একটা একাউন্ট ক্রিয়েট করুন এখানে চাপ দেওয়ার পরে আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে।
সুতরাং আপনার একাউন্টটা তো কিংবা না থাকুক অবশ্যই আপনাকে লগইন এবং রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সুতরাং ওয়েব সাইটে প্রবেশ করার জন্য এখানে ক্লিক করুন (থাকলেও, না থাকলেও)।
উপরে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে আপনি যখন প্রবেশ করবেন সে ওয়েবসাইটি তখন নিচে কল করে গেলে একটা রেজিস্ট্রেশন করার এবং লগইন করার অপশন পেয়ে যাবেন। সুতরাং আগে থেকে যদি অ্যাকাউন্ট করা থাকে তাহলে আপনার যাবতীয় তথ্য সাবমিট করে লগইন করে ফেলুন। লগইন করার পরে আপনি আপনার একাউন্টের ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। সুতরাং সেখান থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন এবং দেখতে পারবেন।
সুতরাং আপনার যদি একাউন্ট না থাকে তাহলে উপরে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে সেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অবশ্য রেজিস্ট্রেশন করার সময় অনেকগুলো স্টেপস আপনাকে ফলো করতে হবে। সুতরাং সেই বিষয় সম্পর্কে যদি না জানেন তাহলে এখানে ক্লিক করে জেনে নিন।
উপসংহার আমি যথাযত শেয়ার করার চেষ্টা করেছি জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার নিয়ম সম্পর্কে। তো আপনারা যদি উপকৃত হন তাহলে আমাদের সকলের ওয়েবসাইট ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।