বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের জন্য ভোটের আইডি কার্ড নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ভোটার ভোটার আইডি কার্ড চেক করার পদ্ধতি। সুতরাং আপনি যদি এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়তে বলবেন না। ধরে
কম বেশি আমরা সকলেই জানি যখন আগেকার সময় আমরা ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে যেতাম তখন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেখান থেকে চেক করতে হতো। কিন্তু একটা সুখবর হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকের নিরাপত্তা রক্ষার্থে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান করা যায় না।
যার কারণে এখন আপনাকে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ভিন্ন আরেকটি ওয়েবসাইট অর্থাৎ ভূমিকরন ওয়েবসাইট থেকেই আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র টা চেক করতে হবে। সুতরাং আজকে এই বিষয়টা আলোচনা করব যেন আপনারা লেটেস্ট আপডেট টা পেয়ে যান। এখানে লেটেস্ট আপডেট বলতে ওয়েবসাইট ভুমিকর থেকে দেখার পদ্ধতি টা।
তো আপনি যদি আগেকার পদ্ধতি যেটা রয়েছে সেটা অবলম্বন করার মাধ্যমে এনআইডি কার্ড চেক করতে চান তাহলে যদি কাজ না হয় বুঝবেন সেটা এখন বন্ধ রয়েছে। তবে যদি কোন কারণে চালু হয় আশা করি আপনি সেটা দিয়েও চেক করতে পারবেন। তবে আমার জানামতে গুগলের তথ্য অনুযায়ী আগের পদ্ধতিটা বন্ধ রয়েছে।
সুতরাং আমি আবারও বলছি আপনি যদি আপনার এন আইডি কার্ড টা অনলাইন থেকেই চেক করতেছেন কিংবা ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিচে দেওয়া সমস্ত প্রসেস গুলো ভালোভাবে পড়ুন এবং সে অনুযায়ী আপনার কাজটা কমপ্লিট করুন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
- সর্বপ্রথম আপনাকে একটা ওয়েবসাইট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সুতরাং আপনি যদি রেজিস্ট্রেশন করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করে সে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- যখন উপর দেওয়া লিংকে ক্লিক করার ওয়েবসাইটি প্রবেশ করবেন তখন আপনি ‘রেজিস্টার করুন’ নামে একটা বাটন দেখতে পাবেন, সুতরাং সেখানে ক্লিক করুন।
- রেজিস্টার করুন বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে অফার একটা পেজে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে আপনি তিনটি খালি ঘর দেখতে পাবেন (১) আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার (২) আপনার সঠিক জন্ম তারিখ (৩) এই ঘরের মধ্যে ক্যাপচা পূরণ করতে হবে (এখানে ক্যাপচা বলতে তৃতীয় ঘরের উপরে ঝাপসা একটা ছবি দেখতে পাবেন সেখানে একটা নাম্বার দেওয়া থাকবে সেটা ঘরে বসিয়ে দিন)। এবং সর্বশেষ সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
- এখন আপনার সামনে আরও একটি পেজ ওপেন হবে যেখানে বর্তমান ঠিকানা (বিভাগ জেলা উপজেলা) এবং স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ জেলা উপজেলা) সিলেক্ট করতে হবে। যদি আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা উভয়টা এক হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই দোনোটা একই বসাবেন। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
- তো এখন আপনার সামনে আবারো আরেকটি নতুন পেজ ওপেন হবে যেখানে আপনাকে একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। সুতরাং এমন একটা নাম্বার দিবেন যেটা কিনা আপনার কাছে থাকবে কেননা সেটা ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং ‘বার্তা পাঠান’ বাটনে ক্লিক করুন।
- এখন আপনার সামনে আরেকটা পেজ ওপেন হবে এবং অফার দিকে আপনার দেওয়া নাম্বারে একটা ওটিপি কোড পাঠানো হবে। সুতরাং ওটিপি কোড টা এখন আপনি বর্তমান যে পেজের মধ্যে আছেন সেখানে একটা বক্স দেখতে পাবেন কোড বসানোর জন্য সুতরাং কোডটা বসিয়ে দিয়ে ‘বাহাল’ বাটনে ক্লিক করুন।
- এই স্টেপের মধ্যে আপনাকে তিনটে কাজ করতে হবে (১) সর্বপ্রথম প্লে স্টোরে গিয়ে Nid wallet অ্যাপটা ডাউনলোড করতে হবে (১) এখন আপনি ব্রাউজারে যে পেজের মধ্যে আছেন সেখানে যে কিউআর কোডটা রয়েছে সেটা স্ক্যান করতে হবে Nid wallet দিয়ে (৩) এখন আপনাকে এনআইডি ওয়ালেট/Nid wallet এপ্লিকেশনের মধ্যে ফেস ভেরিফিকেশন করতে বলা হবে সুতরাং ভেরিফাই করে ফেলুন।
- এখন আপনাকে অটোমেটিক্যালি উপরের স্টেপস কমপ্লিট করার পরে ব্রাউজারের মধ্যে একটা পেজে নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে পাসওয়ার্ড সেট করার জন্য বলা হবে। সুতরাং আপনি “সেট পাসওয়ার্ড” এ ক্লিক করুন।
- পিনটা সেট করা হয়ে গেলে আপনাকে আপনার এন আইডি একাউন্টের ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে সুতরাং সেখানে আপনি আপনার সম্পূর্ণ এনআইডি ডিটেলস দেখতে পাবেন।
তো আপনি যদি উপরের দেখানো ফোন দিতে আপনার একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেন ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন কিংবা ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। সুতরাং আপনার যদি কখনো এই কাজটা করার প্রয়োজন হয় তাহলে উপরে দেখানো পদ্ধতিতে করতে পারবেন।
মোবাইলে ভোটার আইডি চেক
আসলেই কি মোবাইলই ভোটের আইডি চেক করা যায়? মূলত এর উত্তর হচ্ছে আপনি চাইলে মোবাইল হোক কিংবা ল্যাপটপ/কম্পিউটার। শুধুমাত্র ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি উপরে দেওয়া পদ্ধতি অনুযায়ী ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
সুতরাং আপনার কাছে যদি একটা স্মার্ট ফোন এবেলেবল থাকে তাহলে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড টা যাচাই করতে পারবে। তাই বর্তমান সময়ে এটা একটা সুবিধা হচ্ছে স্মার্টফোনের মধ্যে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা যায়। বলতে গেলে ল্যাপটপ/কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইলের মধ্যে খুব সহজেই এই সমস্ত কাজ করা সম্ভব।
অন্যের টা কিভাবে চেক করা যায় সেটা বলেন।
অপেক্ষা করুন পেয়ে যাবেন