Site icon Trickbd.com

অযৌক্তিক যুক্তি [পর্ব-০১] :: টাইম ট্রাভেল কি সম্ভব?ট্রিকবিডির পক্ষ থেকে টাইম ট্রাভেল করে 50 টাকা মোবাইল রিচার্জ নিন।

Unnamed

টাইম ট্র্যাভেল বা সময়যাত্রা এমন একটি বিষয় যা নিয়ে আমরা কখনো না কখনো ভেবেছি।টাইম ট্র্যাভেল মানুষের জিজ্ঞাসা কল্পনার মধ্যে অন্যতম।কখনো কি জানতে ইচ্ছে হয়েছে সময়ের সৃষ্টি কিভাবে হলো? সময়ের মৃত্যু আছে কিনা তা কি কখনোই জানতে ইচ্ছে করেছে? আপনার অস্তিত্বের মূল্য কতটা তার পরিমাপ কিভাবে করবেন জানতে ইচ্ছে করেছে? টাইম ট্রাভেল যদি সত্যিই সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে প্রথম টাইম ট্রাভেল কে? টাইম ট্রাভেল বিস্তারিত এই পোস্টে জানানোর চেষ্টা করবো

“টাইম ট্রাভেল” নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে কাল্পনিক জগতের একটি গোল টাইম মেশিন। যা ব্যাবহার করে মানুষ চলে যেতে পারে ভবিষ্যতে। দেখতে পায় অত্যাধুনিক দালানকোঠা, দ্রুতগতির যানবাহন যা কল্পনাকেও হার মানায়। সবারই মাঝে মাঝে ইচ্ছে জাগে ভবিষ্যত থেকে কিছুক্ষণ ঘুরে আসি, দেখে আসি নিজেদের কীরকম অবস্থা। যদি স্বপ্নের মতো সবকিছুই পেয়ে যাই তাহলে তো ভালোই। আর যদি দেখি বিপরীত কিছু, তবে দ্রুত অতীতে ফিরে গিয়ে নিজের করা ভুল যেনো শুধরে নেই। ইশ! এরকমটা যদি সত্যিই হতো!

এটি কি আদৌ সম্ভব! সময় যাত্রা সম্ভবের করার জন্য বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে আসছেন।হতে পারে কিছু বছরের মধ্যেই টাইম মেশিনে করে টাইম ট্রাভেল সম্ভব ! অথবা কয়েকশ বছর পরেও হতে পারে।

জেনে খুউব খুশি হবেন যে টাইম ট্র্যাভেল করার ফর্মুলা আবিষ্কার হয়ে গেছে।এখন শুধু তা বাস্তবে সফলভাবে প্রয়োগ করার পালা!?
পোষ্টের মধ্যে খুবই কম খরচে কিভাবে টাইম ট্র্যাভেল করবেন তা বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
কি মশাই করবেন নাকি টাইম ট্রাভেল?যদি সিঙ্গেল থেকে থাকেন তাহলে তো কথাই নেই।অতীতে ফিরে গিয়ে একটা মেয়ে পটাবেন।বর্তমানে এসে দেখবেন আপনি মিঙ্গেল! আহা মজা না!??
দাড়ান একটু সবর করেন, এতো সহজ হলে তো হতোই।আপনাকে পুরো বর্ণনা করি।
আচ্ছা কল্পনা করেন, আপনি এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তি হলেন।একটা মেয়ে যার নাম সাদিয়া তাকে আপনার অনেক ভালো লাগলো,ধীরে ধীরে সাদিয়ার বন্ধু হলেন। তারপর আপনি ভাবলেন আপনি সাদিয়াকে প্রপোজ করবেন এবার! কিন্তু তার আগেই শুনেন একদিন আগে তাকে কেউ মনে করুন আমিই প্রপোজ করলাম। আর সাদিয়াও আমাকে অ্যাকসেপ্ট করলো। আচ্ছা মশাই এখন আপনি কি করবেন!?
মানে কি চিন্তা করবেন?
– নিশ্চয়ই এটাই যে,”ইশ যদি তাকে আমি আর কিছুদিন আগে প্রপোজ করার চিন্তা করতাম।”
আর কিছুদিন পূর্বের সময়ে ফিরে যেতেই আপনাকে সময় যাত্রা করতে হবে।সময়কে বশে এনে অতীতে চলে যেতে হবে।
এবার মনে করুন আপনি অসম্ভব মেধাবী।পড়াশুনার পাশাপাশি টাইম মেশিন বানানোর চেষ্টা করছিলেন।ঐযে প্রপোজ করতে না পেরে এসে মেশিনটি সেট আপ করলেন।সত্যি সত্যিই নির্বিঘ্নে টাইম মেশিন দিয়ে টাইম ট্র্যাভেল করলেন!! ফিরে গেলেন 5 দিন বা 10 দিন বা 100 দিন বা তারও আগে।গিয়ে এবার সাদিয়ার সাথে আরো আগেই দেখা করলেন।সব কিছু ঠিক চলছে যেদিন আমি প্রপোজ করব তার আগের দিনই মেয়েটিকে আপনি প্রপোজ করলেন।মেয়েটিও রাজি হয়ে গেলো।আহা! এবার আপনি দিলেন পার্টি।। এখন ঐযে আমি আছি আমার গফ গেলো কই!??
বিধি বলে দেও সাদিয়া তুমি কার!?

বুঝেন নাই?আরো ক্লিয়ার করছি ব্যাপার টা।

#সময় যাত্রা বোঝার আগে আমাদের বুঝতে হবে সময় আসলে কি?

= সময় দ্বারা আমরা ব্যাক্তি বা বস্তুর অস্তিত্বকে বিচার করি।কোনো জিনিসের অস্তিত্ব কতটা সময় দ্বারা তা পরিমাপ করা সম্ভব।
উদাহরণ: বয়স।আমরা যতদিন বেঁচে আছি ততদিনই আমাদের অস্তিত্ব রয়েছে এই পৃথিবীর বুকে। আমরা কতদিন বেঁচে আছি তা হচ্ছে আমাদের বয়স। এই বয়স অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় না থাকলে আমরা বুঝতেই পারতাম না আমাদের অস্তিত্ব কতটুকু। হয়তো এজন্যই সময়ের মূল্য রচনা সবাই পড়ি। ওই রচনা বা অনুচ্ছেদের মধ্যেও সেইম কথাই লেখা রয়েছে।বিশ্বাস হচ্ছেনা? মিলিয়ে দেখে নিন!

সময়ের সংগা: সময় হলো প্রকৃতির গতিয় অবস্থা।

খুব সম্ভবত সঙ্গাটি কেউ বুঝতে পারেন নি। বাংলায় লেখা বুঝতে পারলেও ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেন নি।যাকে বলে “বুঝেও বুঝতে পারিনি, জেনেও জানতে পারিনি”?
সঙ্গাটির তাৎপর্য বুঝতে হলে, প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে প্রকৃতি কি?
এই পৃথিবীর পৃথিবীর বাহিরের সমগ্র সৃষ্টিই হচ্ছে প্রকৃতি।বৃহৎ গ্যালাক্সি থেকে শুরু করে পরমাণুর ক্ষুদ্রতম অংশের(অনুর) ক্ষুদ্রতম অংশ কোয়ার্ক সবকিছুই প্রকৃতির উপাদান।আপনি,আপনার গার্লফ্রেন্ড প্রকৃতির অংশ,আমিও প্রকৃতির অংশ।

এখন প্রকৃতির গতিয় অবস্থা বলতে বুঝানো হয়েছে প্রকৃতি মূলত গতিশীল।প্রকৃতি গতিশীল মানে তার প্রতিটা উপাদানই গতিশীল।আপনি যখন ঘুমোচ্ছেন তখনও কিন্তু আপনি গতিশীল! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? মহাকর্ষ অভিকর্ষ বলের কারণে আপনি সর্বদা গতিশীল।কারণ পৃথিবী ঘুরছে।তাই পৃথিবী গতিশীল। আপনিও পৃথিবীর সাথে ঘুরছেন। পুরো মহাবিশ্বে এমন কোনো উপাদান নেই যেটা স্থির।পরম স্থিতি কোনো বস্তুই অর্জন করতে পারে না।এমনকি সূর্য ও না।

# একটা যে প্রশ্নটা আসতেই পারে যে সময় আর প্রকৃতির গতি দুটোর মধ্যে সম্পর্ক কি!

= (দুঃখিত যে আমি এ বিষয়ে উদাহরণ দেওয়া ছাড়া বুঝাতে পালাম না। আপনি এবিষয়ে কমেন্ট করতে পারেন) একটা উদাহরণ দিচ্ছি,প্রতিদিনকার মত আপনি অ্যালার্মের শব্দে ঘুম থেকে উঠলেন।তারপর হাত মুখ ধুয়ে খাইয়া দাইয়া করলেন। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন ১০ টা বাজতে ৪৫ মিনিট বাকি আছে। আর ১০ টায় কলেজের প্রেজেন্ট ডাকবে। হঠাৎ আপনি ছাড়া আপনার আশেপাশের সব থেমে গেছে।আপনার শরীরের বৃদ্ধিও থেমে গেছে। ৪ দিন কলেজে যান নাই আর একদিন না গেলে ২৫০০ টাকা ফাইন দিতে হবে।ঘড়ি দেখেও লাভ হচ্ছে না , কারণ ঘড়ির কাটা থেমে গেছে। ওই অবস্থায় থাকাকালীন কতটা সময় পার করেছেন কিভাবে বুঝবেন?পারবেন কি বুঝতে তখন সময় কত? না, অবশ্যই পারবেন না।
তাহলে এবার এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে প্রকৃতির গতির কারণে সময়ের পরিমান বা সময়কে অনুভব করতে পারছি।সৃষ্টির সর্ব প্রথমেই প্রকৃতির গতির কারণে সময়ের সৃষ্টি হয়েছিলো। আর যেহেতু প্রকৃতি স্থির না তাই সময়ও কখনো স্থির না।এজন্যই বলা হয় “Time and Tide wait for none”

অনেকে উল্টোটাও ভাবতে পারেন যে সময় গতিশীল বকে প্রকৃতি গতিশীল যা পুরোপুরি লজিকবিহিন। কারণ সময়ের স্বাধীন কোনো অস্তিত্ব নেই। যেমন , রাকিব ভদ্র কথাটার মানে হলো রাকিবের কাজকর্ম ভালো তাই সে ভদ্র। এখানে তার কাজকর্ম আমরা দেখতে পারি,কাজকর্মের বাস্তব অস্তিত্ব আছে।কিন্তু ভদ্রতা দেখতেও পারি না, ছুঁতেও পারো না।শুধু ভালো কাজের জন্য ভদ্রতা অনুভব করা যায়। ঠিক তেমনি প্রকৃতির গতির জন্য সময়কে অনুভব করা যায়।

সময় নিয়ে কিছু অবিশ্বাস্য তথ্য:-

# টেলিভিশন এর মত জীবনটাও লাইভ অনুষ্ঠান (পার্থক্য হলো জীবনের অনুষ্ঠানটা একটু বিলম্বে সম্প্রসার করা হয়)

= যদি বলি “বর্তমান সামান্য অতীতে অবস্থিত”।আপনি কি বিশ্বাস করবেন? হতে পারে করবেন না।হতে পারে আপনাকে গালিও দিবেন এসব কথা বলার জন্য।
ধরা যাক,আমাদের জীবনটা হচ্ছে সম্প্রসারিত অনুষ্ঠান(এটা নিঃসন্দেহে মেনে নিতেই হবে)। এখন আপনি বলুন “আমি বর্তমানে আছি”। কথাটুকু বলার সাথে সাথেই কথাটুকু যখন বললেন ওই সময়টা অতীত হয়ে গেলো।তার মানে বর্তমান কিন্তু বর্তমান না।
ঘরে ফ্যান চলছে। আপনাকে খুব কঠিন এক প্রশ্ন করা হলো, ফ্যানের ব্লেড কয়টি? আপনি কী উত্তর দেবেন? রেডের সংখ্যা তিন-চার এমনকি পাচও হতে পারে। কিন্তু চলন্ত অবস্থায় আলাদাভাবে ব্লেড দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে একটা টিনের গোলাকার পাত ঘুরছে। আপনি বুঝতে পারছেন, চোখ আপনাকে প্রতারণা করছে।
আসলে যেটা ঘুরছে সেটা নিরেট পাত নয়, পৃথক কয়েকটি ব্লেড। আপনি অসম্ভব মেধাবী। চট করে ফ্যান সুইচ অফ করে দিলেন। ফ্যানটা যখন প্রায় বন্ধ হয়ে এল, আপনি প্রশ্নের সঠিক উত্তর বলে দিলেন—ব্লেড সংখ্যা তিন । অর্থাৎ চলন্ত ফ্যান চোখকে বিভ্রান্ত করে সঠিক তথ্য দিতে পারে না।
এখন প্রশ্ন হলো, গতিশীল বস্তুর ক্ষেত্রে চোখ কেন ও কখন বিভ্রান্ত হয়। চোখ সাধারণত বস্তুকে যথাযথভাবেই দেখে । কোনো বস্তু থেকে আলোকরশ্মি চোখের লেন্সের মধ্য দিয়ে গিয়ে রেটিনার ওপর বস্তুর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। তখন এই প্রতিবিম্বের সংকেত মস্তিষ্কে যায় এবং দর্শনানুভূতি সৃষ্টি হয়, অর্থাৎ আমরা বস্তুটি দেখি। বস্তুটি যদি চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, তাহলেও ১/১০ সেকেন্ড পর্যন্ত ওই বস্তুর দর্শনানুভূতি মস্তিষ্কে থেকে যায়। ফ্যানের ব্লেড যখন জোরে ঘোরে তখন দর্শনানুভূতির স্থায়িত্বকালের মধ্যে অর্থাৎ ১/১০ সেকেন্ডে বা তারও কম সময়ে একটি ব্লেডের স্থানে আর একটি ব্লেড এসে যায়। এর ফলে চোখে ব্লেডের আলাদা চিত্র না এসে একটানা চিত্র আসে, মনে হয় ব্লেডগুলো একাকার হয়ে গোল চাকতির রূপ নিয়েছে।এতকিছু বলার উদ্দেশ্য হলো আমাদের মস্তিষ্ক ১/১০ সেকেন্ড ভিডিও ডিলেট করে দেয়।

বিলম্বটা অবশ্য খুব একটা বেশি না , মূল ঘটনা ঘটার এবং আপনার সেটাকে অনুভব করার মধ্যকার তফাত মাত্র ৮০ মিলি-সেকেন্ড। খুব একটা বেশি নয়, তাই না? কিন্তু মনোবিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে সহমত নন। তারা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখিয়েছেন, এই সামান্য বিলম্বই “যেমন কর্ম, তেমন ফল” তত্ত্ব কে পালটে “যেমন ফল, তেমন কর্ম” করে দিতে সক্ষম।এবার থেকে “As you reap, so will you sow” হিসেব করে চলার মানসিকতা তৈরি করুন।ব্যাপারটা বিশ্বাস করাবো আমি।?

Experiment: আপনার এক হাত দিয়ে কান অপর হাত দিয়ে পায়ের আঙুল একই সময় স্পর্শ করুন।সাধারণভাবে মনে হবে আপনি কানে আগে হাত দিয়েছেন পরে পায়ে।কারণ কান ব্রেইনের কাছে আর পায়ের আঙ্গুল ব্রেইন থেকে সবচেয়ে দূরে।তাই পায়ের আঙ্গুলের চেয়ে কানের স্পর্শের সিগন্যাল আপনার ব্রেইনে আগে পৌঁছুবে। বাস্তবিকভাবে আপনি কিন্তু একইসাথে কান আর পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করেছেন।দেখলেন ব্রেইন কত্ত ছোট্ট ধোঁকা দিয়ে দিলো,অথচ ঘূর্ণক্ষরে কখনো টের পেলেন না।

মনোবিজ্ঞানী David Eagleman (25 april 1971) এর মতে এর কারণ হলো – ব্রেইন সবসময় চেষ্টা করে শরীর থেকে পাওয়া সমস্ত অনুভূতির তথ্যগুলো একসাথে সমন্বিত করে উপস্থাপন করতে। এক্ষেত্রে সে কানের স্পর্শের সিগন্যালটা আগে পেলেও সেটাকে প্রসেস করার পর একটু স্ট্যান্ডবাই (অপেক্ষা করিয়ে) রেখে পায়ের আঙ্গুলের সিগন্যালটা গ্রহণ করে। সেটাকে প্রসেস করে। তারপর দুটোকে একসাথে ছেড়ে দেয় আমাদের অনুভবের জন্য। ফলে দুটো স্পর্শই আমরা একসাথে অনুভব করি। আর পুরো ব্যাপারটি ঘটা সম্ভব হয় কারণ কয়েক মিলিসেকেন্ড আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটাকে ব্রেইন আমাদের কাছে ঠিক এখন ঘটছে এমনভাবে উপস্থাপন করে থাকে বলে। ব্যাপারটা অনেকটা ঝুঁকি এড়াতে রেডিও-টিভির সরাসরি অনুষ্ঠান ৮-১০ সেকেন্ড বিলম্বে সম্প্রচার করার মত।

আবার কিছু বছর আগে বিজ্ঞানীরা একটি এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন তাতে যারা অংশ নিয়েছিল তাদেরকে বলা হয়েছিল একটি বাটন চাপতে। যেটায় চাপ দিলেই সামনের বাতি জ্বলে উঠবে পরমুহূর্তেই নিভে যাবে।কিন্তু যখন অংশগ্রহণকারীরা বাটনটিতে প্রেস করলো বাতিটা জ্বলে উঠলো পরমুহূর্তে আর নিভল না।এভাবে তারা ১৫-২০ বার চেষ্টা করার পরেও দেখলো বাতি জ্বলছে কিন্তু সাথে সাথেই নিভে যাচ্ছে না। বাটনটা ১০-১৫ বার চাপার পর দেখতে পেলো বাতিটা সামান্য কিছু পরে না জ্বলে বরং বাটনটা প্রেস করার সাথে সাথেই জ্বলে উঠছে। অর্থাৎ, তাদের ব্রেইন যখন দেখলো যে এই সামান্য পরিমাণ বিলম্ব উহ্য করা যায় তখন সে সেটুকু কেটে এডিট করে বাদ দিয়ে দিলো। এর ফলে বাস্তবে একটু বিলম্বে বাতি জ্বললেও,অংশগ্রহণকারীরা বাটন চাপার সাথে সাথেই বাতি জ্বলতে দেখতে পাচ্ছিলো।

এই বিষয়টি তেমন আশ্চর্যের না।কিন্তু পরের ঘটনা রীতিমত চমকে দেওয়ার মত। যখন বিজ্ঞানীরা ভলান্টিয়ারদের কিছুই না জানিয়ে সেই বিলম্বিত অংশটুকু সরিয়ে দিলেন। অর্থাৎ বাস্তবেই এখন বাটন চাপার সাথে সাথে বাতি জ্বলছে। এরপর ভলান্টিয়ারদের যখন জিজ্ঞেস করা হল- তারা কী দেখতে পাচ্ছে, তারা পুরোপুরি বিভ্রান্ত গলায় জানালো সুইচ অন করার সমন্য আগেই তারা বাতিটা জ্বলতে দেখতে পাচ্ছে! ভলান্টিয়ারদের ব্রেইন পুরো জিনিসটা এডিট করতে গিয়ে এই পর্যায়ে পুরো তাল হারিয়ে ফেলেছিলো এবং “যেমন কর্ম, তেমন ফল” দেখানোর বদলে “যেমন ফল, তেমন কর্ম” দেখাতে শুরু করেছিলো।

আপনি যদি বেশি লম্বা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বেঁটে মানুষদের থেকে একটু অতীতে অবস্থান করছেন।কারণ আপনার লম্বা শরীরের বিভিন্ন অংশে সিগন্যাল পৌঁছাতে বেঁটে মানুষের তুলনায় বেশি সময় লাগে।তার মানে পৃথিবীর খাটো মানুষেরা সবচেয়ে কাছাকাছি বর্তমানে বাস করে।

# ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উচুতে থাকবেন তত দ্রুত বয়স বাড়বে।

= সময় সবজায়গায় সমানভাবে চলে না।বিজ্ঞানীরা কিছু বছর আগে একটা গবেষণা করেছিলেন যে গবেষণার নাম হলো Optical Clocks and Relativity । গবেষণায় দুটো আণবিক শক্তি চালিত ঘড়িকে দুটি টেবিলের উপর রাখা হলো।তারপর একটি টেবিলকে ১ মিটার থেকে একটু কম উচ্চতায় উঠানো হলো।ফলাফল দেখা গেলো উপরের ঘড়িটা নিচের ঘড়ি থেকে এক সেকেন্ডের ৯০ বিলিয়ন ভাগ দ্রুতগতিতে চলছে।
যারা জানেন না তাদের জন্য, আণবিক ঘড়ি হচ্ছে সবচেয়ে নিখুঁতভাবে সময় প্রদানকারী ঘড়ি, এবং পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত দুটি ঘড়ির মাঝে একমাত্র পার্থক্য ছিলো পৃথিবীপৃষ্ঠ হতে তাদের উচ্চতা। এর মানে হচ্ছে যারা উঁচু স্থানে বাস করে তারা নিচু স্থানের মানুষের চেয়ে বুড়ো হয় তাড়াতাড়ি। সময় থাকতে এক্ষুনি নিচে বাসা বানান,নইলে বুড়ো হওয়ার প্রস্তুতি নিন।এটিকে বলা হয় Time Dilation || সময় প্রসারণ

এমনটা ঘটে কারণ আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব এর সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব হতে — সময় উচ্চতর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে আরও বেশি ধীরেলয়ের হয়। 
মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের উপস্থিতিতে আলোর গতিপথ বেকে যায়। 
মহাবিশ্ব সম্প্রসারণ করছে, এবং তার দূরবতী অংশ আলোর গতির চেয়ে দ্রুততর গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে। এটি জটিল বিষয়। আসলে নিউটনের সূত্র মতে ভর সময় এগুলো স্থির। কিন্তু আপেক্ষিক তত্ত্ব অনুযায়ী মহাবিশ্বের সবকিছু আপেক্ষিক অথবা পরিবর্তনশীল।

তাহলে আপনি যত ভূমির কাছাকাছি থাকবেন ততবেশি পৃথিবীর অভিকর্ষ আপনার সময়ের উপরে প্রভাব বিস্তার করবে এবং সময় ধীরে চলবে। পক্ষান্তরে, আপনি যদি উঁচু স্থানে যান, তবে অভিকর্ষের টান কমে যাবার দরুণ সময়ও কম বাঁকাবে, এবং সময় দ্রুতগতিতে চলবে ফলে দ্রুত বুড়ো হয়ে যাবেন।?

আসলে ভাইয়া এই সময়ের ব্যবধান এতই ছোট্ট যে এগুলো চোখেই পড়ে না।আর এগুলোকে ইগনোর করলেও তেমন বড় সমস্যা হয় না,কারণ বাস্তব জিবনে তেমন একটা প্রয়োগ নেই।কিন্তু যদি আপনি গুগল ম্যাপ বা কোনো কারণে জিপিএস ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে পরবর্তী কথাগুলো আপনাকে চমকে দিবে।

মহাশূন্যে থাকা জিপিএস স্যাটেলাইটের ভেতরে যে ঘড়ি থাকে সেটা প্রতিদিন পৃথিবীর ঘড়ি হতে ৩৮ মিলি-সেকেন্ড এগিয়ে যায়।এজন্য স্যাটেলাইটের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি কম্পিউটার প্রতিদিন সেটাকে পৃথিবীর ঘড়ির সাথে এডজাস্ট করে নেয়। তা না হলে এর ফলাফল হতো খুবই ভয়াবহ। মাত্র একদিনের ব্যবধানে পুরো জিপিএস ব্যবস্থাটাই সরে যেতো মূল অবস্থান হতে ১০ কিলোমিটার দূরে। কি কণ্ডটাই হতো তাহলে।আপনি সাভার থাকা অবস্থায় আপনার লোকেশন দেখাতো গাজীপুর।আর যদি ঐ লোকেশন দেখে কোনো গতি চালাতেন তাহলে যেকোনো মুহূর্তেই পাশের খাল-বিল-নদী-নালা বা কোনো একটা ডোবার মধ্যে ডুবে যেতেন। #R.I.P

# আপনি যত দ্রুত চলবেন, সময় তত ধীরে চলবে
= আগেই আইনস্টাইন দাদুর কথা বলেছি।দাদুর কল্যাণে আমরা এও জানি যে “কোনো বস্তু যত দ্রুত চলে সময় সে বস্তুর জন্য তত ধীরে চলে।” দ্রুত যেতে যেতে আপনি যদি প্রায় আলোর গতি অর্জন করেন অর্থাৎ মানবসভ্যতা যদি
এমন স্পেসশিপ বা ট্রেইন উদ্ভাবন করতে পারে যা আলোর গতির সমান গতিতে চলবে তাহলে সময় মোটামুটি থেমে যাবে।
কিন্তু কথা হলো এমন মেশিন/স্পেসশিপ তো এখনও আবিষ্কার হয়নি,আর আবিষ্কার হলেও আমরা এতটাই বড়োলোক যে ১ টা স্পেসশিপ কেনা তো দূরের কথা ওইটাকে ছুঁতেও পারবো না।
খুবই কম খরচে টাইম ট্র্যাভেল যেভাবে করবেন!! কোনো এক পরন্ত বিকেলে একটা সিএনজি বা অটোর মধ্যে উঠে খাওয়া খেতে বের হবেন।আপনার জন্য সময় পুরোপুরি থেমে না গেলেও একটু থামবে। তাহলে হয়েই গেল টাইম ট্র্যাভেল।আর আমার এই পোষ্ট আপনার টাইম ট্র্যাভেল এর দিক নির্দেশক হতে পেরে ধন্য।আপনিও একজন টাইম ট্রাভেলার। হতে পারে গতকালের পত্রিকায় আপনার নামটি সাদা কালারের মত হরপে লেখা থাকবে।?

এবার একটু হিসেব নিকেশ করার পালা,দেখি কেমন সময় যাত্রা করলেন: গবেষণায় পাওয়া গেছে একটা ঘড়িকে প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ৩৬ কিলোমিটার বেগে ধাবমান গাড়িতে রেখে দিলে ঘড়িটা প্রতি সেকেন্ডে ৬x১০-১৬সেকেন্ড স্লো হয়ে গেছে।যারা সংখ্যাটি বুঝতে পারছেন না তাদের জন্য বলছি সংখ্যাটি খুব খুব খুবই ছোট্ট তারপরেও অনেক প্রভাব বিস্তারকারী।

অর্থাৎ, বলা যায় আপনি যদি প্রতিদিন ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে গাড়িতে চড়ে বাসা হতে কর্মস্থলে যান, তবে যতক্ষণ গাড়ি এই বেগে চলে, ততক্ষণ আপনি স্থির বসে থাকার চাইতে 0.000000000000000২ শতাংশ কম হারে বুড়ো হতে থাকবেন।

আরেক পরীক্ষায় একটা আণবিক ঘড়িকে জেটপ্লেনে চড়িয়ে পুরো দুনিয়া ঘুরিয়ে আনা হয়েছিলো যেখানে এর সাথের জোড়াটাকে রেখে দেয়া হয়েছিলো বাসায়। জেট প্লেনে উঠার শুরুতে যদিও ঘড়ি দুটোর সময় একই ছিলো, পরীক্ষা শেষে দেখা গেলো ভ্রমণকারী ঘড়িটা ৫০ ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার ভ্রমণ শেষে স্থির ঘড়ির চেয়ে ২৩০ ন্যানো-সেকেন্ড পিছিয়ে আছে।

সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ভ্রমণকারী ঘড়িটা পৃথিবী হতে উপর দিয়ে দ্রুতবেগে চলার কারণে স্থির ঘড়ি থেকে সময় পিছিয়ে গিয়েছিলো। আগেই বলেছিলাম ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উচুতে থাকবেন তত সময় তত দ্রুত চলবে। আবার একইসাথে ঘড়িটার বেগ ছিল অনেক বেশি তাই ঘড়িটার সময় পিছিয়ে যাচ্ছিল (যত দ্রুত চলবেন, সময় তত ধীরে চলবে) অবশেষে দেখা গেলো ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে চলার কারণে যতটুকু সময় দ্রুত চলে তা ওই জেটপ্লেনের বেগ নাকোচ করে দেয়।অর্থাৎ বেগ এতই বেশি ছিল যে ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে যাওয়ার পরেও ভ্রমণকারী ঘড়িটা স্থির গতির চেয়ে বেশি বেগে চলতে থাকলো। আশ্চর্যকর একটা ব্যাপার হচ্ছে ভ্রমণকারী ঘড়িটার যদি অনুভূতি থাকতো, তবে সে দেখতো বাড়িতে বসে থাকা ঘড়িটা তার থেকে দ্রুত চলছে। প্রকৃতপক্ষে আমরা আসলে কখনোই নিজেরা টের পাইনা যে আমাদের সময় অন্য কারো চেয়ে দ্রুত চলছে নাকি অন্য কারো ছেয়ে ধীরে চলছে।শুধুমাত্র বাহিরে থেকে যদি কেউ আমাদেরকে গভীর পর্যবেক্ষণ করে তবেই সেটা বুঝতে পারবে।

সময়ের গোলকধাঁধা হলো আপনার সময় যত ধীরে চলবে আপনার বয়স ততই ধীরে বাড়বে।আর দ্রুত চললে বয়স দ্রুত বাড়বে।দ্রুত বুড়ো/বুড়ি হয়ে যাবেন।? আর এই ব্যাপারটাই টেনে নিচ্ছে সময়ের গোলকধাঁধার আরো গভীরে।

#সময়ের গতি সবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন।

= আচ্ছা উপরের সবগুলো যুক্তিকে যদি একত্র করি আমরা কি দেখতে পাই? — ‘একই ঘটনা’ বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন গতিতে চলতে দেখে।
আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব হতে — একটা নির্দিষ্ট গতিতে ছুটে চলা মানুষ যে ঘটনাটাকে যুগপৎ ঘটতে দেখছে, সেই একই ঘটনাটা একটা স্থির মানুষের কাছে যুগপৎ না হয়ে ভিন্ন হতে পারে।অর্থাৎ, বাস্তবতা হলো আলাদা আলাদা টাইমলাইন-সম্পন্ন মানুষের সমষ্টি যাদের টাইমলাইন একে অপরের সাথে কখনো কখনো মিলে যাচ্ছে আবার কখনো মিলছে না।

উদাহরণ:- পাশাপাশি থেমে থাকা দুটি ট্রেনের একটি চলতে শুরু করলে গতিশীল ট্রেনের যাত্রীর কাছে মনে হবে যেন পাশের ট্রেনটি বিপরীত দিকে চলতে শুরু করেছে।আসলে ট্রেন দুটোর মধ্যবর্তী পারস্পরিক গতির কারণে এরূপ মনে হয়। দুটো গাড়ি থেমে থাকলে ট্রেনের যাত্রীদের টাইমলাইন মিলে যাচ্ছে কিন্তু যখনই একটি চলতে শুরু করে দুটো ট্রেনের যাত্রীদের টাইমলাইন ও বদলাতে শুরু করে।
আবার ট্রেনে বসা একজন যাত্রী যদি জানালা দিয়ে একটা পাথর ফেলে দেন,তার নিকট মনে হবে যে পাথরটি খাড়া নিচের দিকে পড়ছে।কিন্তু রেল লাইনের পাশে দাড়িয়ে থাকা একজন পর্যবেক্ষকের নিকট মনে হবে যে পাথরটি পরাবৃত্যকর(parabolic) পথে পড়ছে।

ডিউক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর Warren Meck আমাদের ব্রেইনের সময়ানুভূতি আপেক্ষিক প্রমাণে Timing & Time Perception এক্সপেরিমেন্ট করেন।তার মধ্যে একটি পরকিক্ষায় তিনি কয়েকটি ইদুরকে নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় (৩০ সেকেন্ড) পর পর একটা লিভার টানতে দিতেন।কিছুদিনের মধ্যে ইদুরেরা লিভার টানা শিখে গেলো আর ওই নির্দিষ্ট সময় পরপর নিজেকে অটোমেটিক লিভার টানতো। পরের ধাপে প্রফেসর মেক এমন ব্যবস্থা করলেন যে ইদুরের সময়ের তাল-জ্ঞান পুরো হারিয়ে গেলো। কিছু ইদুর ১০ সেকেন্ড পরেই লিভার টানা শুরু করে দিতো আবার কিছু ইদুর ৯০ সেকেন্ড পরে লিভার টানতো।এর মানে হলো ইদুরগুলোর কাছে
১০ সেকেন্ড = ৩০ সেকেন্ড /
৩০ সেকেন্ড = ৩০ সেকেন্ড /
৯০ সেকেন্ড = ৩০ সেকেন্ড।
[এই পরীক্ষাটি আপনাদের করার প্রয়োজন নেই।উপরের প্রফেসর ওয়ারেন মেক লিঙ্ক থেকে দেখে নিতে পারবেন]

আচ্ছা গাড়িতে কি কখনো পাশে কেউ বসেছে যে অনর্থক বকবক করে? খুবই বিরক্ত লাগে মাঝে মাঝে তাই না?কিন্তু এটাকেই এবার আপনি কাজে লাগান।আগেই বলেছিলাম গাড়ি দ্রুত চললে কম দ্রুত বুড়ো হবেন।আর এবার বোনাস হলো সহযাত্রীর বকবক শুনলে সময় আরো ধীরে চলা শুরু করবে।

মূল বিষয় হলো বিজ্ঞানী মেকের বক্তব্য অনুযায়ী আমাদের সবার ব্রেইনের মধ্যে একটা না অনেকগুলো ঘড়ি পুরে দেওয়া হয়েছে(আল্লাহর দান)। সবকটা ঘড়িই একেকরকম গতিতে চলছে।সুতরাং,ছুটে চলা ট্রেনের জানালার পাশে বসে থাকা ব্যক্তি কিংবা জিপিএস অনুসরণ করা ব্যক্তি অথবা বাসের সেই বকবক শুনা অসহায় ভদ্র যাত্রী- প্রত্যেকেই আমাদের সবার ব্রেইনের ভেতর আছে। ব্রেইন শুধু সিদ্ধান্ত নেয় কখন কার ঘড়িটা মেনে চলতে হবে।

সময়ের এই অনুভূতিগুলো যদি এখনও বিশ্বাসও হয় তাহলে বাস্তব প্রমাণ হলো, বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য যেমন ড্রাগ , ঘুমের ঔষধ সেবন করলে সময়ের অনুভূতির পরিবর্তন হয়। এছাড়াও মানসিক সমস্যা,বার্ধক্য এমনকি দুরত্ব এই সময়ের অনুভূতি পাল্টে দিতে পারে।
যেমন : গাফেন্ড/বোয়ফ্রেন্ড দূরে গেলে যেই গানটি সেটা হলো

মানে না মন ভাবে অকারণ,
দূরে গেলে বাড়ে জালা।
লাগে যে ভয় যদি কিছু হয়,
থেমে যায় পথ চলা ||

দূরে গেলে দেখবেন একটা কষ্ট লাগে।ওই অবস্থায় আপনার কাছে এক মিনিটকে মনে হবে অনেক সময়।কারণ আপনার ঘড়ি তখন তার সাপেক্ষে (বিএফ/গফ) চলছে।
Moral of the story হলো এখন থেকে কোথাও যেতে যেমন কলেজে যেতে দেরি হলে যুক্তি হিসেবে বলুন বিভিন্ন টাইমলাইনের কথা।আপনাকে সামনাসামনি ফাজিল ভাবলেও পিছনে পিছনে কিন্তু ঠিকই মেধাবী বলবে।?
অবশ্যই ফাঁকিবাজি করার জন্য না। যেকোনো জায়গায় উপস্থিত হতে দেরি হলে একবার বলুন বিভিন্ন টাইমলাইনের কথা।মনে রাখবেন বেশি ফাঁকি দিলে আপনারই ক্ষতি।সময়ের কাজ সময়ে করতে হয় নইলে পিছিয়ে পড়তে হয়।

# নিউট্রিনো কণার গতি প্রমাণ করে টাইম ট্র্যাভেল সম্বব

= নিউটনীয় পদার্থবিজ্ঞান এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সূত্র একটা কথার উপর ভিত্তি করেই বর্তমান – কোনো বস্তুই আলোর গতিতে চলতে পারেনা। নিউটনীয় পদার্থবিজ্ঞান এর হয়তো সব জায়গায় ছড়ি ঘোরানোর দিন শেষ! সার্ন (CERN) এর বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে এসেছেন-
পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা নিউট্রিনো নির্দিষ্ট কিছু শর্তে আলোর চেয়ে বেশি গতিতে চললেও চলতে পারে।
বৈজ্ঞানিক সমাজে এই বিষয়টা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পর্যন্ত হয়েছে।এখন আমাদেরকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে পাশে বসে খেলা দেখা ছাড়া উপায় নেই। কোনো ভাবে যদি সার্নের বিজ্ঞানীরা জিতে যান তবে আমরা এর ফলাফল হিসেবে পাবো নিউট্রিনো কণার টাইম ট্রাভেল!!তাহলে এক্ষুনি যদি টাইম ট্র্যাভেল করার জন্য ব্যাগ ঘুচানো শুরু করার আগে একবার পুরো বিষয়টা পড়ে নিন। নিউট্রিনো তো পদার্থের অনুর ক্ষুদ্রতম কণার(অণু) ক্ষুদ্রতম কণার(পরমাণুর) ক্ষুদ্রতম কণা হলো নিউট্রিনো।ভেবে দেখুন এবার যদি সার্নের বিজ্ঞানীরা জিতেও যায় তাহলে টাইম ট্রাভেল করার জন্য আপনাকে টুকরো টুকরো করে নিউট্রিনো তে ভাগ করতে হবে।?
আসলে তো প্রথমেই আমরা টাইম ট্রাভেল করে মানুষ যেতে পারবো না।প্রথমে একটা বার্তা পাঠানো যাবে রেডিও আবিষ্কারের শুরুর দিকে ‘মেরি হ্যাড এ লিটল ল্যাম্ব’ ছড়াটা বার্তা হিসেবে পাঠানো হয়েছিলো।নিউট্রিনো কণারা এক প্রকার অদৃশ্য এবং সরাসরি ত্রিমাত্রিক বস্তু ভেদ করে যেতে পারে। সুতরাং,ভবিষ্যতে পাঠালে যদিও কেউ দেখতে পেতে পারে কিন্তু অতীতে মেসেজ পাঠালে সেটা কেউ দেখতে পাবে কিনা তাও সন্দেহ!

কিন্তু একই সাথে হয়তো এটা সেই বহুল জিজ্ঞাসিত- “কেন আমরা ভবিষ্যৎ হতে এখনো কোন টাইম ট্রাভেলার এর দেখা পাইনি” প্রশ্নের একটা যুক্তিযুক্ত উত্তরও বটে।

# ব্ল্যাকহোলের আশেপাশের নির্দিষ্ট অঞ্চলে গেলে সময় থেমে যাবে

= আমরা অনেকেই মনে করি ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর ভ্যাকুয়াম ক্লিনার এর মত সব শুষে নেয়। ব্যাপারটা মোটেই সেরকম নয়। ব্ল্যাকহোল শব্দটি দ্বারা কিন্তু কোন গর্ত বোঝায় না। ব্ল্যাকহোল এমন একটি জায়গা যেখানে খুবই অল্প জায়গায় অনেক অনেক ভর ঘনীভূত হয়ে রয়েছে। ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রের ঘনত্ব এতই বেশি থাকে যে এদের কেন্দ্রের অভিকর্ষ বলের মান হয় অসীম।কোন কিছুই এর কাছ থেকে রক্ষা পায় না এমনকি সর্বোচ্চ গতিসম্পন্ন আলোও নয়!ব্ল্যাকহোলের সৃষ্টি হয় যখন একটি তারকার জীবনকাল শেষ হয়ে যায়, সেই মুহূর্তে তার অভিকর্ষ শক্তি এতই প্রবল হয় যে আলো ওখান থেকে বের হতে পারে না। আর এই ঘটনা তখনই ঘটে যখন একটি তারকার জীবনকাল অর্থাৎ তার নির্দিষ্ট জ্বালানি হাইড্রোজেন শেষ হয়ে যায় ফলে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় । তখন এর কেন্দ্রীয় মুলবস্ত সংকুচিত হতে থাকে। তারকাটি পরিণত হয় ব্ল্যাকহোলে। এভাবেই একটি ব্ল্যাকহোলের সৃষ্টি হয়।
আমরা একটু আগেই বলেছি যে সময় অভিকর্ষ সম্পর্ক হল একটু দা-কুমড়ো টাইপের। সময় চায় ছুটে চলতে, কিন্তু অভিকর্ষ চায় সময়কে বশে রাখতে।

প্রত্যেকটা ব্ল্যাক-হোলকে ঘিরে বাইরের দিকে চক্রাকারে একটা এলাকা আছে। এটাকে বলে ‘ঘটনা দিগন্ত (event horizon)’। এই ইভেন্ট হরাইজন হচ্ছে ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’। অর্থাৎ এই ইভেন্ট হরাইজন রেখা অতিক্রম করে গেলে ব্ল্যাক-হোলের হাত থেকে আপনাকে বাঁচানোর সাধ্য আর কারো নেই।আপনি হারিয়ে যাবেন ব্ল্যাকহোলের মধ্যে।

ব্ল্যাক হোলের অভিকর্ষ বলের জন্য ইভেন্ট হরাইজন আশপাশে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে । ধরা যাক,আপনি আছেন ইভেন্ট হরাইজন এর পাশে পুরোপুরি নিরাপদ অবস্থায়।কিন্তু আপনার বন্ধু লাফঝাঁপ দিতে দিতে পারে গেছে ইভেন্ট হরাইজন এর উপরে ব্ল্যাক হকার খপ্পরে।মনে করুন আপনারা সুপার হিউম্যান ব্ল্যাক হোল আপনাদেরকে টানছে কিন্তু অণু পরমাণুতে টুকরো টুকরো করতে পারবে না।আপনি দেখবেন স্লো মোশনে আপনার বন্ধু ভাসতে থাকবে।সেই অবস্থাতে আজীবন ভাসতে থাকবে।যদি কোনোদিন ব্ল্যাক হোল থেকে মুক্তি পায় তাহলে তার কাছ থেকে শুনবেন আপনি যা দেখেছেন সে তা অনেক ফাষ্ট মোশনে দেখেছে। আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন কিন্তু সে এখনো যুবক।?

এখন পর্যন্ত জ্যোতির্বিদেরা ৬ বর্গমাইল থেকে শুরু করে আমাদের সৌরজগতের সমান বিশালাকারের ঘটনা দিগন্তের সন্ধান পেয়েছেন।

যদিও সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা হলো, আমাদের আর কখনোই সময় পরিভ্রমণ করা সম্ভব হবে না। এর কারণ এই নয় যে টাইম ট্রাভেল অসম্ভব।  এর কারণ হলো, টাইম ট্রাভেল আবিষ্কার করতে করতে আপনিই হইতো ওপারে পাড়ি জমাবেন। #R.I.P

Paradox | হেয়ালি

সক্রেটিস বলেছিলেন, “আমি শুধু একটা জিনিসই জানি। সেটা হচ্ছে আমি কিছুই জানি না।”
সক্রেটিসের এই বাক্যটি একটি প্যারাডক্স/হেঁয়ালি। প্যারাডক্স হচ্ছে সে ধরনের বাক্য বা উক্তি, যা থেকে নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না। বরং এ ধরনের সমস্যার বিবরণগুলো দুটি পরস্পরবিরোধী সমাধান তৈরি করে, যার একটি সত্য হলে অন্যটি অসম্ভব।

তরকারির বাজার প্যারাডক্স::

আপনি ঃ এই আক্কাস!! ১ কেজি আলু দে
আক্কাস ঃ নেন স্যার।
আপনি ঃ না থাক আমাকে আলুর বদলে গাজর দে। 
আক্কাস ঃ আইসসা স্যার আপ্নারে আলুর বদলে গাজর মাইপা ভইরা দিলাম ব্যাগে, এহন টাকা দেন স্যার। ভাংতি দিয়েন স্যার। 
আপনি কিসের টাকা রে? 
আক্কাস ঃ কেন স্যার গাজরের টাকা??!! 
আপনি ঃ এই হারাম জাদা গাজর তো আমি আলুর বদলে নিছি, টাকা দিমু কেন? 
আক্কাস ঃ তাহলে আলুর টাকা টা দেন??!! 
আপনি ঃ আলু তো আমি নিই নাই তাহলে আলুর টাকা চাস কোন কারনে??? 
আক্কাসঃ স্যার কি কন এইগুলা আমি ত কিছুই বুজতাসি না।??

দাদা প্যারাডক্স( grandfather paradox) :


এতক্ষণ প্রমাণ করেছিলাম টাইম ট্র্যাভেল করে ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব।
আপনি যদি টাইম ট্রাভেলার হতেন ভবিষ্যতে যাওয়া সম্বব হলে আপনি কি কি করতেন?
(এটাই কিন্তু এই পোস্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন!!উত্তর দিয়ে পুরস্কার জিতে নিন।বিস্তারিত পোষ্টের নিচে**)
Grandfather Parafox অনেকটা এরকম:
আপনি যদি অতীতে গিয়ে আপনার আব্বুর জন্মের আগে দাদাকে মেরে ফেলেন।তাহলে আপনার দাদা নেই।দাদা নেই মানে আপনার বাবা নেই।বাবা নেই মানে আপনি নেই।আপনি নেই মানে টাইম মেশিন নেই।টাইম মেশিন নেই মানে টাইম ট্রাভেল নেই।তাহলে এবার বলুন টাইম ট্রাভেল করবে কে! আর অতীতে যাবেই বা কে!
GrandFather Paradox এ বলা হয়েছে টাইম ট্র্যাভেল করে কেউ নিজের অতীতে ফিরে গিয়ে বাবার জন্মের আগেই দাদাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে তার নিজের অস্তিত্বই থাকার কথা না।গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স দ্বারা মূলত এই ধারণাটিই বোঝানো হয় যে, অতীতে ফিরে গিয়ে যেকোনো ক্ষুদ্র পরিবর্তন ঘটালে বর্তমান পৃথিবীতে তার যে বিশাল প্রভাব পড়বে, তা পরস্পরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না।অনেকটা butterfly effect এর মত।
আপনি যদি টাইম মেশিন আবিষ্কার করেন কিন্তু আপনিই অতীতে গিয়ে দাদাকে মেরে ফেললেন তাহলে আপনিই তো থাকবেন না।তাহলে টাইম মেশিন আবিষ্কার করবে কে আর অতীতে ভ্রমণ করবে কে? অতীতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই সীমাবদ্ধতা রয়েই গেছে।প্যারাডক্স ব্যপারটাই আসলে মানব মস্তিস্কের সীমাবদ্ধতার বড় প্রমান। যা কোরআনই বলে দিয়েছে, ‘মানুষকে আমি সীমিত জ্ঞান দিয়ে সৃষ্টি করেছি।’ বুঝতে পেরেছেন?☺️☺️

নিচের ছবিটা দেখে বলুন তো জানালাটি কোন দিকে ?

# সময় নিজেও একদিন মারা যাবে

= সময় মাঝে মাঝে অদ্ভুত আচরণ করলেও কারো জন্য থেমে থেকে না।চলতে থাকে এবং থাকবে।আমাদের মৃত্যুর পরেও অবিরাম চলতে থাকবে।তবে বেশিদিন নয় কিন্তু!!

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড একটা নির্দিষ্ট সময় হাতে নিয়ে আজ হতে বিলিয়ন বছর পূর্বে যাত্রা শুরু করেছিলো। একটা পর্যায় পরে বিশ্ব তো ধ্বংস হবেই, সেই সাথে সময় নিজেও মারা যাবে।

তাহলে সময়ের হাতে কেমন সময় আছে?!
— ধারণা করা হয় সময় মারা যাবে আজ থেকে ৩.৩ – ৩.৭ বিলিয়ন বছর পরে।কিন্তু এটারও সম্ভাবনা আছে যে সময় এই আর্টিকেলটা পড়ার আগেই মারা যেতে পারে।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে আমাদের এই জগৎটা দাদার আমলের প্রাচীন ঘড়িটার মত।যেটা যে কোনো মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।আর সেটা যখন ঘটবে আমরা হয়তো টের পাবোনা।ব্যাপারটা দেখতে মনে হবে, আপনার সেই বন্ধুটার ব্ল্যাক-হোলের মাঝ দিয়ে যাবার মত। সবকিছু ক্রমান্বয়ে ধীর হতে থাকবে, তারপর হঠাৎ থেমে যাবে।অথবা ১০ টায় কলেজ অথচ সব এমনকি ঘড়ির কাঁটা পর্যন্ত থেমে যাবে।যেটা যেখানে যে অবস্থাতে থাকবে সেটা সে অবস্থাতেই থাকবে অসীম কাল জুড়ে।

সূরা আলবাকারাহ্ এর ২৮ নম্বর আয়াতের অর্থ হলো : কীভাবে তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী করছ অথচ তোমরা ছিলে মৃত? অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেছেন। এরপর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দেবেন অতঃপর জীবিত করবেন। এরপর তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

আল্লাহ শুধুই আমাদের না এই পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা।তিনি সবকিছু স্তৃষ্টি করেছেন এবং মৃত্যু দিবেন। হজরত ইসরাফিল আলাইহিস সালাম নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহর হুকুমে প্রথম ফুৎকার দিলে দুনিয়ার জীবনে মানুষসহ সব সৃষ্টির অস্তিত্ব শেষ হয়ে যাবে। অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়ার নির্দেশ পেলে তিনি তা কার্যকর করবেন।
শিঙ্গায় দ্বিতীয় ফুৎকারের মাধ্যমে সব মৃতদের জীবিত করা হবে, তখন সব মানুষ খালি পা, বিবস্ত্র ও খতনা-বিহীন অবস্থায় আল্লাহ তাআলার দরবারে দণ্ডায়মান হবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যে আক্বিদা ও বিশ্বাসের ওপর মৃত্যুবরণ করেছে তার ওপর উত্থিত হবে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করছেন, ‘দুই ফুৎকারের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান হচ্ছে চল্লিশ।’ লোকেরা আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘চল্লিশ’ কি, দিন? তিনি বলেন, ‘আমি (জবাব দিতে) অস্বীকার করলাম। লোকেরা বলল : তাহলে কি, চল্লিশ মাস? তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করলাম। এরপর লোকেরা আবারো জিজ্ঞেস করল? তাহলে কি, চল্লিশ বছর? তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করলাম।

মহানবী (সা:) এর মিরাজ গমনের কথাই মনে করিয়ে দেয় যে টাইম ট্র্যাভেল পসিবল হয়ে গিয়েছিলো। আর সে হিসেবে প্রথম টাইম ট্র্যাভেলার হজরত মুহাম্মদ (সা:)

কথা হলো আজকে বেশি লিখবো না,
পরিশেষে এটাই বলতে চাই যে ভবিষ্যতে Time Travel করে যাওয়া সম্ভব কিন্তু অতীতে Time Travel করার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ভবিষ্যতে গেলেও সীমাবদ্ধতা হলো আর অতীতে ফিরে আসতে পারবেন না। ভবিষ্যতই হবে বর্তমান।অতীতে ফিরে আসতে পারবেন না জেনেও কেউ কি ভবিষ্যতে যেতে চান নাকি?

Gift Part

পোষ্টের মধ্যে করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জিতে নিন 50 টাকা মোবাইল ফ্লেক্সি।
শর্ত:
১) পোস্ট করার তিনদিনের মধ্যেই কমেন্টে উত্তর দিবেন।
২) একটু ভালো করে লিখবেন।৫০ টাকা কম কিছু না কিন্তু?
৩) পোষ্ট ভালো লাগল লাইক দিবেন। ইচ্ছে করলে share করে দিবেন।
Facebook~Nahid Fahim ||Instagram~Angry Nahid
ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।