ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তো সবাই উঠে পড়ে লেগেছেন । স্কিল থাকুক বা না থাকুক একাউন্ট থাকতেই হবে। তার পরে আবার নামের আগে ফ্রিল্যান্সার ডি যে অমুক, ফ্রিল্যান্সার ডিজে তমুক । আহা! পুরাই জোশ ব্যাপার । যাইহোক, মূল ব্যাপারে আসি। আজকে আলোচনা করবো একদম ব্যাসিক থেকে। তাই আপনি যদি ব্যাসিক জেনে থাকেন তাহলে স্ক্রল মেরে পোস্ট ইগনোর করতে পারেন । নতুন হলে এটা আপনার কাজে আসবে আশা করি।
ফ্রিল্যান্সার প্রোফাইলঃ
ফ্রিল্যান্সারে আইডি ওপেন করার পরে ইমেইল, ফোন এসব ভেরিফাই করে ফেলেছেন নিশ্চয়? এরপরে ধাপে আসুন এবার । আপনি কোন স্কিল নিয়ে কাজ করবেন সেই স্কিলের উপর ভিত্তি করে আপনার প্রোফাইল সাজিয়ে ফেলুন । মনে করেন আপনি ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে চান, তাহলে আমি সাজেস্ট করবো কিছু প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সার আইডি ভিজিট করুণ । সেই সব আইডি থেকে ধারণা নিবেন । কিন্তু কপি পেস্ট করবে না কোনো কিছু । কপি পেস্ট করা স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ, আমরা লিখতে চাইনা কিছুই । ফ্রিতে পেলে সেটা নিয়ে কপি পেস্ট মারি 😛 ।
পোর্টফোলিওঃ
এবার নিচের দিকে চলে আসুন। স্ক্রল ডাউন করলে দেখেতে পারবেন নিচে পোর্টফোলিও এড করার জায়গা আছে । সেখানে আপনি আপনার আগের কাজের স্যাম্পল এড করবেন । অবশ্যই বিস্তারিত উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন আপনি কি নিয়ে কাজ করেছেন? প্রোজেক্টটা কি রিলেটেড ছিলো এসব নিয়ে
লিখবেন । সম্ভব হলে প্রোজেক্ট এর লিংক এড করে দেবেন । এবার নিচের দিকে আসুন, রিভিউ সেকশন পাবেন । এটা আপনার জন্য নয় আপাতত । কোনো কাজ করার পরে এই সেকশন দেখতে পারবেন । আর একটু নিচে এসে দেখুন,
এক্সপেরিয়েন্স সেকশনঃ
এখানে আপনার কি কি এক্সপেরিয়েন্স আছে সেগুলো লিখুন । ধরুণ, আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাহলে এখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার লিখে ফেলুন আর কত সাল থেকে গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করেন এস লিখে ফেলুন ।
এডুকেশনঃ এটা নিয়ে না হয় নাই বললাম? না বলি, সব নিয়ে যখন লিখালাম তাহলে এটা আবার দোষ কি করলো?
এখানে লিখুন, আপনার জীবনে কোথায় কোথায় পড়েছেন কি কি ডিগ্রি শেষ করেছেন । ঠিক আছে?
কোয়ালিফিকেশনঃ
আপনার যোগ্যতা কি কি আছে? সেগুলো কোয়ালিফিকেশনে ভরে ফেলুন । আই মিন লিখে ফেলুন :p । পাবলিকেশন এর দরকার নেই আপাতত। এটা পরে একসময় দেখা যাবে । এখন আপনার প্রোফাইল্টাকে ওভার ভিউ করেন । কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে ফিক্স করেন ।
এখন সেটিংসে যান । আপনার নাম, ঠিকানা এসব ঠীক আছে কিনা ভালো ভাবে দেখুন । এবার নিজের প্রোফাইল হলে নিজের ফটো আপলোড করেন । বিজনেস প্রোফাইল হলে লোগো আপলোড করে প্রোফাইলকে আরো সুন্দর করে ফেলুন ।
আজকে এতো টুকুই থাক । আগামীতে প্রোজেক্ট, প্রোপোজাল, মাইলস্টোন এসব নিয়ে বিস্তারিত লিখবো । সাথে থাকবেন । ঠিক আছে? :/ তাহলে আজকের মত আসি ।
#ওয়েলকাম_নিউবি <3
#হ্যাপি_ফ্রিল্যান্সিং <3
লিখেছেনঃ Shishir Chowdhury
প্রথম পোস্টঃ Mamuns Blog.
10 thoughts on "কিভাবে শুরু করবেন ফ্রিল্যান্সিং একদম ব্যাসিক থেকে প্রোফেশনাল [পর্ব ০৭]"