হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন। আপনাদেরকে আবারো TrickBd.com এ স্বাগতম। আজকে আমি আপনাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করবো। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্ট টি।

আজকের পোস্ট এর টপিক হলো ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে। আর এই পোস্টটিকে ৩ ভাগে ভাগ করেছি।

১. ফ্রিল্যান্সিং এর ধারণা,
২. ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট।
৩. ফ্রিল্যান্সিং করতে বা শিখতে কি কি দক্ষতা লাগে।

তো আজকের আমরা এর প্রথম ভাগ নিয়ে আলোচনা করবো। যা হলো ফ্রিল্যান্সিং এর ধারণা। আর পরের ২ টি ভাগ অন্য কোনো পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে তা শেয়ার করবো! তো চলুন শুরু করা যাক আজকের পোস্ট টি।

ফ্রিল্যান্সিং এর বর্ণনা

বর্তমানে অনেক ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করা খুবই জনপ্রিয় এবং অধিক পরিমাণে টাকা ইনকামের একটি পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের দেশের অনেকেই বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট এ নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের কাজ করে ঘরে বসেই প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। এর ফলে আমাদের দেশের বেকারত্ব এর হার কিছুটা হলেও কমেছে। ফ্রিল্যান্সিং এর অপর একটি শাখা হলো আউটসোর্সিং। এবং আউটসোর্সিং প্রজেক্টের মাধ্যমে পৃথিবীর অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলো দেশি – বিদেশি ফ্রিল্যান্সার দের দ্বারা তাদের করিয়ে নিচ্ছে। উদাহরণ স্বরুপঃ এয়ারবিএনবি, ড্রপবক্স ইত্যাদি। তাই বলে এই নয় তারা এমনি এমনি কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এই কাজ করে ফ্রিল্যান্সার রাও খুব ভালো পরিমাণের অর্থ উপার্জন করতে পারছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর বাংলাদেশে অবস্থান

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর দিক দিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় তম। তাহলে বুঝতেই পারছেন বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং কতটা ভুমিকা রাখে এবং ফ্রিল্যান্সিং এর অবস্থান বাংলাদেশে ঠিক কোথায় রয়েছে। পৃথিবীতে সর্বমোট যে সংখ্যক ফ্রিল্যান্সার আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ এর অবস্থান রয়েছে দ্বিতীয়। প্রথম স্থান এর অধিকার দখল করে রয়েছে আছে ভারত এবং তৃতীয় স্থান এ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান তাহলে আপনার আগে জানতে হবে ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করে? ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সবথেকে ওয়েবসাইট গুলো কোনটি?
তো চলুন প্রথমে জেনে নেওয়া যাক,

ফ্রিল্যান্সিং কি? এটি কিভাবে করে?

নিজের ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ক্লায়েন্টদের সাথে একটি কাজের চুক্তি স্থাপন করে সেই কাজটি সময় মতো শেষ করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ক্লায়েন্টের কাছে পৌছানোর মাধ্যমে আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। হয়ত আপনি একখনো ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারছেন না। তো, আমি এই বিষয়টিকে আরো সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছি।

সাধারণত একজন মানুষ লেখা-পড়া শেষ করে কোন এক কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য তার সিভি সাবমিট করে এবং ইন্টারভিউ দেয়। সিভি দেখার পর এবং ইন্টারভিউ শেষে কোম্পানি তাকে যোগ্য মনে করলে চাকরিতে নিয়োগ করে। তখন সেই ব্যক্তি কোম্পানিতে সকাল থেকে বিকাল বা নিয়ম মতো একটি রুটিনে নিয়মিত কাজকর্ম করার মাধ্যমে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি বেতন পায়।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্যও ঠিক একইভাবে একজন ব্যক্তির যে বিষয়ে অভীজ্ঞতা এবং দক্ষতা রয়েছে, সে বিষয়ে কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটিং প্লেসগুলোতে কাজের জন্য আবেদন করে। তখন একজন ক্লায়েন্ট তার কাজের যোগ্যতা যাচাই করে উপযুক্ত মনে করলে, তাকে তার কাজটির জন্য নিয়োগ করে। এই জন্যই ফ্রিল্যান্সিং-কে এক ধরনের জব বা বাংলায় চাকরি বলা হয়।

তবে একটি সাধারণ চাকরি এবং ফ্রিল্যান্সিং চাকরির ভেতরে অনেক পার্থক্য আছে। সাধারণ যে কোন চাকরিতে প্রতিদিন একটি নির্ধারিত সময়ে কাজ করা হয়। ঠিক সময় অফিস না পৌছালে চাকরি চলে যেতে পারে। তার সাথে কাজ ঠিকমত করতে না পারলে মাঝে মাঝেই বসের লেকচার তো আছেই!

কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন ধরা-বাধা নিয়ম নাই। এখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। আপনার যে সময় মন চাইবে সে-সময় কাজ করতে পারবেন, আবার মন না চাইলে কাজ বন্ধ করে রাখতে পারেন। এই জন্যই ফ্রিল্যান্সিং-কে মুক্ত পেশা বলা হয়ে থাকে এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে বেশিভাগ মানুষ পছন্দ করে।

তবে ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে হলে আপনি খুব বেশি পরিমাণে মুক্তভাবে কাজ করতে পারবেন না। কারণ আপনি যদি স্বাধীনভাবে বা যখন খুশি তখন কাজ করার চিন্তা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং-এ কাজ করতে চান তো আপনি কখনো একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেসে যত বেশি সময় দিবেন এবং নিজের ক্লায়েন্টদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন, আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তত বেশি আয় করতে পারবেন। তারই সাথে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ না করে সাধারণ চাকরির মতো একটি নির্দিষ্ট টাইম-মেনটেইন করে কাজ করলে যে-কোনো ক্লায়েন্ট আপনাকে দিয়ে কাজ করাতে বেশি পছন্দ করবে।

তো বন্ধুরা এতটুকু পড়ার পর আপনারা নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং কি সেটা বুঝে গেছেন। পরবর্তী পোস্ট এ আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি ওয়েব সাইট নিয়ে আলোচনা করবো। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন।

Leave a Reply