Site icon Trickbd.com

Recap: নতুন android phone হাতে পাওয়ার পর সর্বপ্রথম ৫টি করনীয়

Unnamed

ভূমিকা

এখন তো দুইদিন পরপরই android phone রিলিজ হয়। প্রতিদিনই কেউ না কেউ ফোন কিনছে, অনেকে পুরাতন ফোনও কিনে।

এই পোস্টে আমি শেয়ার করছি নতুন (বা পুরাতন) ফোন পেলে কি কি সেটাপ করা উচিত, ফোনটাকে দীর্ঘদিন ঝামেলামুক্ত ভাবে নিজের মত করে চালাতে।

 

#১ ব্লোটওয়্যার রিমুভ

এই পয়েন্ট খুবই স্পষ্ট আর সবাই নতুন ফোনে সম্ভবত এটাই করে।

android phone কোম্পানিরা বিভিন্ন অ্যাপসের সাথে পার্টনারশীপ করে ডিভাইসে অনেক প্রি-ইনস্টলড অ্যাপ ভরে দেয়; যা অনেক সময়ই কাজে লাগে না। এসব অ্যাপ নিরাপত্তাজনিত কারনেও বিপজ্জনক!

যদিও সব অ্যাপস রিমুভ হয় না, তার ব্যবস্থা করতে ট্রিকবিডিতে অলরেডি পোস্ট আছে, নিজ দায়িত্বে ফলো করুন!

 

#২ ডেভেলপার অপশন থেকে অ্যানিমেশন অফ

আহামরি তেমন কিছু না।

কিন্তু ডেভেলপার অপশন থেকে অ্যানিমেশন স্পিড কমিয়ে দিলে ফোন একটু ফাস্ট রেসপন্স করে।

তবে ডিভাইসের পারফরমেন্স ভালো পেতে অ্যানিমেশন একেবারে অফ করে দিলে বেটার।

 

#৩ নোটিফিকেশন বার কাস্টমাইজেশন

অধিকাংশই নোটিফিকেশন বার (বা অ্যাকশন বার) যেভাবে আছে সেভাবেই ফেলে রাখে। ঠিক আছে ক্ষতি নাই বাট নিজের মত একটু সাজিয়ে নিলে লাভ আপনারই।

যেসব অপশন বারবার লাগে সেগুলো হাতের কাছে রাখলেই ত হল, এটা করতে কতক্ষন।

যেমনঃ আমি do not disturb প্রায় কখনোই ইউজ করি না, তার বদলে একটা রুটিন করে নিয়েছি ঘুম ও নামাজের সময় অটোমেটিক DND চালু করার, ব্যস। তাই DND’ও আমার নোটিফিকেশন বারের বাইরে। আবার night light রাতে দরকার হয় মাঝে মাঝে তাই ওটা রাখি।

 

#৪ সিম ইউজারদের জন্য ডাটা লিমিট

data limit warning

সিম ইউজারদের কষ্ট কেবল সিম ইউজাররাই বুঝে ?

তারা একটা নির্দিষ্ট পরিমান ডাটা কিনে চলে। মেয়াদের আগে সব ডাটা যাতে কেটে না যায় তার জন্য ডাটা লিমিট সেট করে রাখেন।

ফোনভেদে সেটিংস ভিন্ন হবে, না পেলে data limit, warning, data saver এগুলো লিখে সার্চ করেন।

Settings > Network & Internet > Sims > Data Warning & limit > enter an amount.

এখানে যে amount দিবেন সিমে ঐ পরিমান ডাটা খরচ হয়ে যাওয়ার পর ডাটা কানেকশন অটোমেটিক অফ হয়ে যাবে।

সাথে একটা নোটিফিকেশন বলবেঃ যে আপনি লিমিট হিট করেছেন। এভাবে ডাটার একটা হিসাব রাখা যায়। সাথে এমবি শেষ হয়ে গেলে গরুর মত সিমের টাকা কাটা শুরু হয় না আর :p

#৫ সাজুগুজু

Stock Android

অ্যান্ড্রয়েডের একটা বড় অংশ হল customization. যদিও একেক ডিভাইসে একেক রকম থিম, স্কিন, UI থাকে, কিন্তু ফোনটাকে একটু নিজের সাজাতে দোষ কোথায়। Nova লঞ্চারের মত অনেক সুন্দর সুন্দর লঞ্চার একটু খুজলেই পাবেন।

ওয়ালপেপারের জন্য Backdrops ভালোই চলে। বলাবাহুল্য, অনেক ওয়ালপেপার পোস্ট ট্রিকবিডির হিট রেজাল্ট।

আর Widget বানাতে ট্রাই মারতে পারেনঃ KWGT Kustom Widget Maker.

 

এই ছিল আমার থেকে কিছু টিপস। আপনি আপনার ফোন কিভাবে সেটাপ করেন, বা আরো কোনো ট্রিকস থাকলে কমেন্টে জানান। ভুল ত্রুটির ক্ষমাপ্রার্থী। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ ?