আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,যে সব খাবারের বাড়তি অংশ খাওয়া নিরাপদ নয়।আমরা অনেক খাবার ই নিত্যনতুন খেয়ে থাকি। অনেক খাবার এর খোসা বা বাড়তি অংশ খাওয়া নিরাপদ নয় এটা আমরা অনেকে জানি না। আজকে আপনাদের জানাতে চলছি যে খাবার এর বাড়তি অংশ খাওয়া নিরাপদ নয়। এমন কি এসব খাবার খেলে অনেক রোগে আক্রান্ত ও হতে পারেন।খাবার অপচয় করা ঠিক না,আবার এমন খাবার রয়েছে যে খাবার এর খোসা হতে পারে রোগের কারন। তাই আমাদের যেকোন খাবার খাওয়ার আগে ভেবে খেতে হবে। এমন অনেক সবজি ও আছে যেগুলোর খোসা ও অংশ খেলে অনেক সমস্যা হতে পারে। আজকে যে সব খাবার এর খোসা বা অংশ নিয়ে আলোচনা করব,জানার পর আপনারা ও এসব খাবেন না ফেলে দিবেন। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,যে সব খাবারের বাড়তি অংশ খাওয়া নিরাপদ নয়ঃ

১) ঘরোয়া বা সাধারণ তাপমাত্রায় বেঁচে যাওয়া খাবারঃ

আমরা অনেক সময় বেঁচে যাওয়া খাবার দিয়ে নানা রকম পদ তৈরী করে থাকি৷ আসলে এটা ঠিক না। তবে একটা জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে,খাবার টি কতক্ষন বাইরে ছিল এটার উপর। এরকম অনেক সবজি আছে দীর্ঘক্ষন বাইরে থাকে, এসব সবজি বা ফল খোসা ছেড়ে খাওয়া
উচিৎ।

২) অঙ্কুরিত ও সবুজ হয়ে যাওয়া আলুঃ

অনেক সময় দেখা যায় আলু সবুজ রঙ ধারন করে, ও অঙ্কুরিত হয়। এই সব আলু খাওয়া অনেক বিপদজনক। আলু সবুজ রঙ ধারন করলে এতে সলানিন নামক এক ধরনের গ্লাইকোআলকালয়েড পাওয়া যায়। এর কারনে অনেকের বমি বমি ভাব,পেট খারাপ,ডায়রিয়া, মাথা ব্যাথা, চুলকানি, জয়েন্টের ব্যাথা এরকম সমস্যা হতে পারে। তাই এসব হলে আলুর বাড়তি অংশ ফেলে দিতে হবে না হয় এই ধরনের আলু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩) আপেলের ভিতরের অংশঃ

আপেলের ভিতরের অংশ বা বীজ খাওয়া নিরাপদ নয়। কারন আপেলের ভিতরের অংশ ও বীজ খেলে এর ভিতরে থাকা উপাদান বিশাক্ত রাসায়নিক সায়ানাইড রুপান্তির করতে পারে।অল্প খেলে সমস্যা হতে পারে না,তবে বেশি খেলে বিপদ হতে পারে।

৪) বেগুনঃ

বেগুন এর বাড়তি অংশ আমরা ফেলে দিই। বেগুনের কান্ড সহ এর উপরের অংশ কেটে ফেলে দিই। বেগুনে ও আলুর মতো সলানিন নামক বিশাক্ত উপাদান থাকে। এসব কারনে পেটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।তাই আমাদের উচিৎ বেগুনের বাড়তি অংশ না খাওয়া।

৫) আমের খোসাঃ

শুকনা ও তাজা আম খেতে অনেক মজা লাগে।আম খাওয়ার আগে আমের খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া ই ভাল।এসব ফলের খোসায় ইউরুশিঅল নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে,এ উপাদান এলার্জি সৃষ্টি করে থাকে৷ তাই আমাদের আমের খোসা ছাড়িয়ে খেতে হবে।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ

5 thoughts on "যে সব খাবারের বাড়তি অংশ খাওয়া নিরাপদ নয়,জেনে নিন।"

    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      Thank You
  1. GR RAIHAN Contributor says:
    Nc Post Bro ^_^
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      tnx bro

Leave a Reply