আজকে কিছু তর্কবির্তক নিয়ে লিখবো । আশা করি সবাই সাথে থেকে পড়বেন, জানবেন, বুঝবেন, এরপরে মন্তব্য করবেন । তাহলে চলুন শুরু করি?

প্রশ্নঃ ভাই আমি ফ্রিল্যান্সিং করবো কিন্তু কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না ।

উত্তরঃ প্রথমত, আপনি ইংরেজিতে কেমন? যদি উত্তর হয় মোটামুটি তাহলে সাজেস্ট করব আরেকটু নজর দেবেন ইংরেজিতে । কারন ১০০% চ্যাট করতে হবে ইংরেজিতে। দ্বিতীয়ত, আপনি কি কোনো স্কিল বিল্ড করেছেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে বলবো সেগুলো নিয়ে আরেকটু নাড়াচাড়া করে ব্যাসিক থেকে প্রোফেশনা হতে । কারণ, যদি লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন একটা ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্টে ২৫০+ বিড পরে । কেন পরে আন্দাজ করতে পারছেন? ছোট্ট করে একটু বলি । অনেকেই মনে করে যে, ক্লায়েন্ট যে প্রজেক্ট টা ছেড়েছেন সেটা “আমি না পাড়লেও অন্য জন্যের হেল্প নিয়ে শিখে তারপরে কমপ্লিট করবো” । পয়েন্ট টা মনে রাখেবন । বায়ার প্রজেক্ট দিলে আপনি অন্য জনের দেখানো বা শিখিয়ে দেওয়ার পরে আপনি কাজ করবেন এরপরে আপনি কাজ জমা দেবেন । আচ্ছা মানলাম আপনি কাজ প্রজেক্ট নিলেন এবার কাজ শুরু করলেন । কিন্তু ক্লায়েন্ট বললো এই গুলো এই ভাবে না অন্য ভাবে করো বা আরো কিছু রিকোয়ারমেন্টস বাড়িয়ে দিলো । এবার কি করেন? সমাধান হলো, নিজে যেটা পারেন সেটা নিয়েই কাজ করেন । যে বিষয়ে জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে আগে জানুন, শিখুন, বুঝুন, এরপরে কাজ হাতে নিন। তাছাড়া নিজের রেপুটেশন নষ্ট করবেন না । আচ্ছা এরপরের প্রশ্ন চলে যাই।

প্রশ্নঃ ভাই আমার আইডি কার্ড নেই তাহলে আমি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবো?

উত্তরঃ গ্রেট প্রশ্ন, ধন্যবাদ প্রশ্ন কর্তাকে। এবার বলি আইডি কার্ড নেই তাহলে কি করবেন ।  বর্তমানে খুব পরিচিত একটা প্রশ্ন আইডি ভেরিফাই। আপনি কিভাবে আপনার ফ্রিল্যান্সার আইডি ভেরিফাই করবেন? অবশ্যই সেটা সঠিক পন্থা অবলম্বন করে।
তো আজকে আমি একটু বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব যে,
“আসলে কিভাবে আপনি আপনার একাউন্টি ভেরিফাই করতে পারবেন” তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করে দিয়ে আজকের আলোচনা।

প্রথমতঃ আপনার কার্ড যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার পরিবারের যে কারো কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
যেমনঃ যদি আপনার কোন বড় ভাই থাকে বা বড় বোন থাকে বা আপনার আম্মু আব্বুর কার্ড আপনি ইউজ করতে পারবেন ভেরিফাই করার জন্য।

তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যদি সেইম নাম থাকে তাহলে অবশ্যই সেইম ইনফরমেশন দিয়ে ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট খুলবেন।
এর পরে আপনি আপনার ইনফরমেশন গুলো দিয়ে অবশ্যই সাবমিট করবেন, আর যখন আপনি কেওয়াইসি ভেরিফাই করতে যাবেন,
তখন যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ইউটিলিটি বিল এর কপি আপনাকে সাবমিট করতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনি খেয়াল রাখবেন যে,
আপনার সব ইনফরমেশন গুলো কার্ডের সাথে মিল আছে কিনা এবং যে ইউটিলিটি বিল বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর সব ইনফরমেশন গুলো একদম ঠিকঠাক আছে কিনা,
যদি থাকে তাহলে সেগুলো নিয়ে সাবমিট করলে আশা করি 48/36/24 ঘন্টার মধ্যে অবশ্যই তারা ভেরিফাই করে দেবে ইনশাহ আল্লাহ্‌ ।
যদি কোন ইনফরমেশন চায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে তাদের হেল্প করতে হবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তারা আপনার একাউন্টটি সম্পূর্ণভাবে ভেরিফাই করে দেবে। আচ্ছা এবার তৃতীয় প্রশ্ন ।

প্রশ্নঃ ভাই আমার আমি যদি আমার বাবার আইডি কার্ড দিয়ে ভেরিফাই করি তাহলে কি পরবর্তিতে আমার আইডি দিয়ে আবার ভেরিফাই করতে পারবো বা নিজের নামে ভেরিফাই করতে পারবো?

উত্তরঃ এটার জন্য সোজা উত্তর হলো ” না ” আপনি আবার অন্য আইডি কার্ড দিয়ে ভেরিফাই করতে পারবেন না । করতে গেলেই আইডি সাস্পেন্ড করে দিতে পারে ৯৯% শিওর । নিজের আইডি কার্ড না থাকলে আপনি আপনার বাবার আইডী কার্ড ইউজ করে ভেরিফাই করে চালাতে পারবেন কোনো ঝামেলা নেই । এবার যাই চতুর্থ প্রশ্নে

প্রশ্নঃ ভাই আমি অমুক তারিখে উইথড্র দিয়েছি কিন্তু ব্যাংকে আসে নাই । খুব চিন্তায় আছি ভাই ।

উত্তরঃ উইথড্র দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার আইডিন্টিটি ভেরিফাই করে নেবেন এটা আমি রিকোমেন্ড করবো । উইথড্র দেওয়ার আগে সব তথ্য গুলো সঠিক ভাবে প্রদান করেন । ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, রাউটিং নাম্বার, নাম ঠিকানা, এক কথায় যা কিছু ফিলাপ করবেন একেবারে সঠিক নির্ভুল তথ্য দিয়ে ফিলাপ করবেন । এরপরে মোটামুটি ১৪/১৫/১৬/১৭ দিনের মধ্যে টাকা ট্রান্সফার হয়ে যাবে । বলতে পারেন এতো দিন সময়ে নেবে কেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনার আইডি নিয়ে রিভিউ করবে । কার কার প্রজেক্ট করেছেন তাদের আইডি রিভিউ করবে । কারো সাথে খারাপ আচরণ করেছেন কি না সেগুলো দেখবে। ইমেইল, ফোন নাম্বার এগুলো শেয়ার করেছেন কি না এগুলো যাচাই বাছাই করবে । যদি কোনো সমস্যা পায় তাহলে হয়তো উইথড্র ক্যান্সেল করে দেবে । এরপরে আবার বলবে উইথড্র দিতে । এটা একটা ওয়ার্নিং গেলো শুধু ২য় বার এই রকম করলে আইডি সাস্পেন্ড করে দেবে; এর পরে যদি কোনো ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের ট্রামস অ্যান্ড কন্ডিশন ব্রেক করে সেটার জন্য ক্লায়েন্টের আইডী খেয়ে দিবে । এতে আপনার আর্ন করা টাকা রিফান্ড হয়ে ক্লায়েন্টের কাছে ফেরত চলে যাবে । আপনি বা ক্লায়েন্ট যদি কেউ ই কোনো ভুলত্রুটি না করেন তাহলে এবার আপনার ইনফো গুলো নিয়ে রিভিউ করবে সব ঠিক থাকলে আপনার ব্যাংকে ট্রান্সফার  করে দেবে । তবে, যদি কোনো ত্রুটী খুঁজে পায় তাহলে টাকা আবার আপনার একাউন্টে ব্যাক করে দেবে । টাকা আইডি থেকে চলে গেলেও ব্যাংকে আসতে ২/৩/৫/৭ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে । ঘাবরাবেন না । টাকা পাবেন । ব্যাংকে খোঁজ রাখবেন তাহলে টাকা একাউন্টের যাওয়ার সাথে সাথে জানতে পারবেন ।  যদি কিছু জানার থাকে কমেন্ট বক্সে লিখুন । আশা করি উত্তর পাবেন ।

আবার পরবর্তিতে লিখব সবাই ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন, ঘরে থাকুন । নিরাপদে থাকুন,  পরিষ্কার পরিচ্ছন থাকুন, ২০সেকেন্ড ধরে হাত ধৌত করেন, মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন । মাস্ক ব্যবহার করেন । কারো সাথে মিশবেন  না । সব নিয়ম  কানুন মেনে চলুন ।

আতঙ্কিত হবেন না । সর্তক থাকুন । আল্লাহ্‌ হাফেজ  ।

লেখাঃ এম এইচ মামুন । 

প্রথম প্রকাশিতঃ Mamuns Bog

4 thoughts on "কিভাবে শুরু করবেন ফ্রিল্যান্সিং একদম ব্যাসিক থেকে প্রোফেশনাল পর্ব ০৫"

  1. Bads Man Shakil Khan Author says:
    কত আর্ন করেন ভাই??
    1. এম এইচ মামুন Author Post Creator says:
      Earnings niye curiosity keno brother? 4Ta ID chalai with team. Ei tuku bollam r earnings ta private tai bollam na.

Leave a Reply