হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে ওয়েবসাইট নিয়ে নতুন কাজ শুরু করতে চাচ্ছি। কিন্তু কিভাবে শুরু করবো এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
একটি বিষয়কে বিস্তারিত ভাবে লিখে এক পোস্ট এর মাধ্যমে বলা প্রায় অসম্ভব। আর যদি তা হয় নতুন দে এর জন্য ব্লগিং তাহলে তো কথাই নেই। এক পোস্ট এ সব বিস্তারিত বোঝাতে গেলে একজন রাইটার এর প্রায় হাত ভেঙে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় । তবে এক্সপার্ট দের খুব বেশি সমস্যা হয় না বলেই আমার মনে হয়।
তবে আমি যেহেতু আর প্রো লেভেলের রাইটার না তাই এক পোস্ট এ বিস্তারিত সব কিছু বোঝানো টা আমার কাছে অসম্ভব। তো এর জন্য এই পোস্ট এর টপিক টা কে আমি কয়েকটা পার্ট আকারে রূপ দিয়েছি। আর এর আগে আমাদের এই সাইটে এই টপিক এর উপর প্রথম ২ পার্ট পোস্ট করা আছে। আপনার দরকার হলে সেখান থেকে পড়ে নিতে পারেন। (নিচে আমি লিংক দিয়ে দিচ্ছি)।
আর আজকে এই টপিক এর ৩য় পার্ট। আমি জানি না কত টুকু লিখতে পারবো এই পার্টে। তবে চেষ্টা করবো আপনারা যাতে কিছু শিখতে পারেন এমন করে লিখার। তো চলুন আজকের টপিক স্টার্ট করি বেশি বকবক করবো না।
সর্বশেষ এই টপিক এর ৩য় পার্ট এ আমি আপনাদের সাথে একদম শেষে আলোচনা করেছিলাম সাইট ম্যাপ ও ওয়েবসাইট গুগলে সাবমিট করা নিয়ে। তো আজকের পোস্ট এ আমরা অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও সম্পর্কে জানবো। আর আজকের এই পার্ট টি ই হবে এই টপিক এর লাস্ট পার্ট। এর পর এই টপিক এর আর্টিকেল আর দিবো না।
তো আজকের এই লাস্ট পার্ট এ কী ধামাকা অপেক্ষা করছে চলুন তা আমরা জেনে নেই।
অন পেজ এসইও
এসইও (Seo) এর সম্পূর্ণ মানে হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization). আর অন পেজ এসইও এর মানে হলো ওয়েব সাইট এর ভেতরে এমন কিছু কাজ করা যার ফলে ওয়েব সাইট ভালো ভাবে গুগলে র্যাংক করে।
অর্থাৎ আপনি আপনার সাইটে যে নতুন আর্টিকেল লিখছেন, পেজ খুলছেন, কমেন্ট করছেন, ডিজাইন করছেন ইত্যাদি ওয়েব সাইটের ভেতরে করা সকল কাজই হলো অন পেজ এসইও এর আওতাভুক্ত।
তবে অন পেজ এসইও এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ২ টি। সর্ব প্রথম হলো ওয়েব সাইট টি কে সহজ লভ্য ভাবে ডিজাইন করা। সাইট কে এমন ভাবে ডিজাইন করতে হবে যাতে খুব সহজেই যে কোনো ইউজার বা ভিজিটর সাইট এর সকল কিছু বুঝতে পারে।
অনেকেই ওয়েব সাইট অনেক বেশি ডিজাইন করে ফেলেন। ফলে ওয়েব সাইট এ পেজ লোডিং এ টাইম বেশি নেওয়া এর মতো ইত্যাদি আরো নানা সমস্যার দেখা দেয়৷ তো এই বিষয় টা অবশ্যই মাথায় রাখবেন।
আর ২য় বিষয় হলো আর্টিকেল রাইটিং। মূলত আর্টিকেল ই পারে একটা ওয়েব সাইট কে অনেক ভালো ভাবে গুগলে র্যাংক করতে এবং অন পেজ এসইও এর প্রায় ৬০% কাজ এটাই করে থাকে। তাই এই বিষয় টা এর দিকে সব থেকে বেশি নজর দেওয়া উচিত।
তবে একটি ভালো আর্টিকেল রাইটিং করতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। তবেই সেটা এসইও ফ্রেন্ডলি হবে। কিভাবে ভালো মানের আর্টিকেল রাইটিং করা যায় তা বুঝাতে গেলে আলাদা আরো একটা আর্টিকেল এর প্রয়োজন হয়। তবে আমি এই পোস্ট এই আপনাদের সংক্ষিপ্ত আকারে হলেও ভালো করে বুঝানোর চেষ্টা করবো।
ভালো মানের এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
ভালো মানের এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার জন্য আমাদের কিছু জিনিস ফলো করতে হবে। নিম্নে সেগুলো দেওয়া হলোঃ
কি ওয়ার্ড রিসার্চ
একটি ভালো আর্টকেল লিখার জন্য একটি বড় হাত থাকে কি ওয়ার্ড রিসার্চ এর। আপনি আর্টিকেল লিখেন যাতে ভিজিটর হয়। কিন্তু এমন আর্টিকেল লিখলেন যাতে কোনো ভিজিটর ই নেই। তাহলে সেই আর্টিকেল কোনো কাজেই আসবে না।
আর ভিজিটর প্রয়োজন হলে আমাদের দরকার কি ওয়ার্ড রিসার্চ করা। কি ওয়ার্ড রিসার্চ করে পোস্ট করলে ভালো পরিমাণে গুগল থেকে ভিজিটর পাওয়া যায় ফলে সাইট অনেক ভালো র্যাংক করে।
টাইটেল
একটা আর্টিকেল এর সংক্ষিপ্ত রূপ হলো টাইটেল। একমাত্র টাইটেল ই পারে পুরো পোস্ট এ কি বিষয় এ আলোচনা করা হবে তা জানাতে। টাইটেল সব সময় মিডিয়াম রাখার চেষ্টা করবেন। বেশি বড় করবেন না আবার ছোট ও করবেন না। দুইটার মাঝা মাঝি রাখবেন। আর টাইটেল এ আপনার ফোকাস কি ওয়ার্ড সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন একবার ব্যবহার করবেন।
মূল আর্টিকেল
মূল আর্টিকেল এ কয়েকটি বিষয় ফলো করতে হবে। নিচে সেগুলো দিলাম।
ফোকাস কি ওয়ার্ড
ফোকাস কি ওয়ার্ড একটি আর্টিকেল এ ব্যবহার করতেই হবে। না হলে কিন্তু কোনো কাজেই আসবে না। ফোকাস কি ওয়ার্ড প্রতি ১ হাজার শব্দে ৭ থেকে ১১ বার এর মতো ব্যবহার করতে পারেন। বেশি ব্যবহার করলে প্যানাল্টি খেতে পারেন।
আর ফোকাস কি ওয়ার্ড টি আর্টিকেল এর শুরুতেই (১৫০ শব্দ এর মধ্য) কমপক্ষে একবার, হেডিং বা সাবহেডিং এ, ইমেজ এর alt text ও caption এ ব্যবহার করবেন। এবং আর্টিকেল এর মাঝে মাঝে তো ব্যবহার করবেন ই।
ইমেজ
একটা আর্টিকেল কে সহজ লভ্য করতে ইমেজ অনেক সাহায্য করে। তবে সব ধরনের পোস্ট এই ইমেজ মানায় না। তো যে পোস্ট গুলোতে ইমেজ এর দরকার অবশ্যই সেগুলো তে ইমেজ ব্যবহার করবেন। অন্যর ওয়েব সাইট এর ইমেজ ডাইরেক্ট ব্যবহার করবেন না। কপি খেতে পারেন।
url লিংক
একটা পোস্ট এ ২ ধরনের লিংক ব্যবহার করা উচিত৷
১. ইন্টারনাল লিংকঃ এর মানে আপনার ওয়েব সাইট এর এই যে কোনো লিংক পোস্ট এ ব্যবহার করবেন।
২. এক্সট্রানাল লিংকঃ নিজের ওয়েব সাইট বাদে অন্য যে কোনো ওয়েব সাইট এর লিংক ব্যবহার করুন।
প্যারাগ্রাফ
একটা আর্টিকেল কে সুন্দর করে সাজানোর জন্য প্যারা আকারে লিখা উচিত। তবে প্যারা গুলো যেনো বেশি বড় বা একদম ছোট না হয়। চেষ্টা করবেন ১০০ থেকে ১৫০ শব্দ যে নো একটি প্যারাতে থাকে। তবে এর একটু কম বা বেশি হলে সমস্যা নেই।
তো মোটামুটি অন পেজ এসইও টা বুঝানো শেষ এবার পালা অফ পেজ এসইও।
অফ পেজ এসইও
অফ পেজ এসইও এর মানে হলো ওয়েব সাইট এর বাইরের কাজ। এখন কথা ওয়েব সাইট এর বাইরের আবার কী কাজ। ওয়েব সাইট এর বাইরেও অনেক কাজ থাকে।
যেমন, আর্টিকেল এর লিংক শেয়ার করা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে কিংবা বিভিন্ন বড় বড় ওয়েব সাইট থেকে নিজের ওয়েব সাইট এ ভিজিটর আনা ইত্যাদি।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিজিটর আনা খুব সহজ। এর জন্য আপনার আর্টিকেল এর লিংক বা ওয়েব সাইট এর লিংক শেয়ার করুন সোশ্যাল মিডিয়া এর নিজের প্রোফাইল কিংবা অন্যর পেজ বা প্রোফাইল এর কমেন্ট এ।
আর বড় ওয়েব সাইট থেকে ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে সেই ওয়েব সাইট কে টার্গেট করে, সেখানে একটি ব্লগ পোস্ট লিখতে হবে। এবং কায়দা করে যে কোনো একটা যায়গায় আপনার সাইটের লিংক দিয়ে দিবেন। ব্যস কাজ শেষ। তবে যদি একদম ছোট খাটো ওয়েব সাইট এ এই কাজ করেন তো প্যানাল্টি খেতে পারেন। তাই সাবধান
তো একটা পোস্ট এ বেশি কিছু লিখে বোঝানো সম্ভব না। তাও যত টুকু পারি চেষ্টা করেছি।
এই আরটিকেলটি সর্বপ্রথম প্রকাশ করা হয়েছে TempMail.CoM ওয়েবসাইটে।
তো বন্ধুরা আশা করি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কিন্তু কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।
Trickbd spamming support kore na.