বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতার মধ্যে গ্রাহক পড়তে থাকলেও সেই ধারা থেকে বেরিয়ে এসেছে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির রোববার প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের শেষ নাগাদ মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো গ্রাহক পেয়েছে ১০ লাখের বেশি।
এর আগের কয়েক মাস যে সংখ্যা ছিল পড়তির দিকে।
গত বছরের ডিসেম্বরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের হাতে ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক ছিল।
মার্চ মাসে তা কমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজার।
এ হিসাবে ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসের শেষ নাগাদ অপারেটরগুলো ২৮ লাখের বেশি গ্রাহক হারিয়েছিল।
এর মধ্যে জানুয়ারির শেষে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক ছিল ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার; ফেব্রুয়ারির শেষে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ১০ লাখ ৮৫ হাজার ।
অপারেটরগুলো বলে আসছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হওয়ার প্রভাবে তাদের গ্রাহক কমছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন।
বিটিআরসির হিসাবে, গত ডিসেম্বরে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার, যা মার্চে ৫ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজারে নেমে আসে।
তিন মাসে তাদের চার লাখ গ্রাহক কমেছে। তবে এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজারে।
গ্রাহক সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলালিংক মার্চ থেকে এপ্রিলের শেষ নাগাদ তিন লাখের বেশি নতুন গ্রাহক পেয়েছে; প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ২১ লাখ ৪৮ হাজার।
আর ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে দুই কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার থেকে কমে দুই কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজারে নেমে এসেছিল রবির গ্রাহক।
অবশ্য এপ্রিল শেষ নাগাদ প্রায় দুই লাখের বেশি গ্রাহক পেয়েছে এই অপারেটর। তাদের গ্রাহক দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৭৬ লাখ ১৪ হাজার।
তবে গ্রাহক পতনের ধারা থেকে ফিরে আসতে পারেনি এয়ারটেল ও সিটিসেল।
ডিসেম্বরে এয়ারটেলের গ্রাহক ছিল এক কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার। তা থেকে ছয় লাখ কমে এক কোটি এক লাখ ৬১ হাজার হয়েছিল মার্চ মাসে। এপ্রিলে তা দাঁড়ায় এক কোটি এক লাখ তিন হাজারে।
মার্চ থেকে এপ্রিলে সিটিসেলের গ্রাহক ৩২ হাজার কমে ৭ লাখ ৬৮ হাজারে নেমে এসেছে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের ধাক্কায় সবকটি অপারেটরের গ্রাহক কমলেও উল্টো চিত্র রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকে।
ডিসেম্বরের পর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে টেলিটকের গ্রাহক ৪১ লাখ ৪৩ হাজার থেকে বেড়ে ৪২ লাখ ৫৪ হাজার হয়।
এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ এই সংখ্যার সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও একলাখ নতুন গ্রাহক।
নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে। নতুন টিপ্স পেতে ভিজিট করুন Piyarbd.Com
6 thoughts on "বায়োমেট্রিকের ‘ধাক্কা সামলে উঠছে’ অপারেটরগুলো"