একে কলিযুগের ‘পরশ পাথর’ বললেও ভুল বলা হবে না। তবে এর ছোঁয়াতেই সব সোনা হয়ে যাবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু এই পাথরের অদ্ভুত কাজ মানুষকেও অবাক করে। জার্মানির এক মিউজিয়ামে রাখা অদ্ভুত এই পাথরের কাজ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে।

কী রয়েছে ওই পাথরে?

দেড় টন ওজনের ওই পাথরটি মিউজিয়ামের বাইরে রাখা রয়েছে। ওই পাথরের সামনে গিয়ে আগুন জ্বালালেই ওয়াইফাই সিগন্যাল চালু হয়ে যায়। শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

মিউজিয়ামের বাইরে পড়ে থাকা ওই পাথরকে সাধারণ মানের বলেই ভ্রম হতে পারে। কিন্তু এর ক্ষমতা দেখলে আশ্চর্য হতে হয়। তবে পাথরের ক্ষমতাকে কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। আর এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে কেউ ধরতেই না পারেন পাথরের ভিতরে কিছু একটা রয়েছে।

এ বার আসল কথায় আসা যাক। যে পাথরকে নিয়ে এত হইচই আসলে সেটা একটা মামুলি পাথর। বিজ্ঞানীরা পাথরটিকে কেটে ওর ভিতরে একটি থার্মো ইলেক্ট্রিক জেনারেটর বসিয়ে দিয়েছেন। পাথরের গায়ের কাছে আগুন জ্বালালেই সেটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আর সেই তাপকে বিদ্যুতে পরিণত করে। আর এই বিদ্যুৎ মিলতেই মিউজিয়ামের ওয়াইফাই রাউটার চালু হয়ে যায়। সাধারণ পর্যটকেরা সেখানে গিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছে আর ওয়াইফাই-এর মজা নিচ্ছেন।

কিন্তু এর আসল কারণ অনেকেরই অজানা। কী ভাবে চালু হচ্ছে ইন্টারনেট তা কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়, এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে পাথরটিকে। আর পাথরটির নাম দেওয়াও হয়েছে ‘কিপ এলাইভ’।

3 thoughts on "পাথরের সামনে আগুন জ্বালালেই পাবেন ওয়াইফাই !"

  1. wanted Contributor says:
    তাই
  2. PrInCe OnToR Author says:
    বাংলাদেশে থাকলে পাথর এতক্ষনে গইলা জাইতো 😮
  3. শাকিল Contributor says:
    apnar fb id ta den to vai…kotha ace

Leave a Reply