WELLCOME to MY POST

আসসালামু আলাইকুম।আশা করি আপনারা ভালো আছেন।আমি হাজির হলাম আরো একটি নতুন পোষ্ট নিয়ে।

বর্তমানে অনেকেই ডেস্কটপ কম্পিউটারের চাইতে ল্যাপটপের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। এর পিছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। তবে ল্যাপটপ ক্রয় বা কিনতে গিয়ে বাজারে অনেকেই অনেক বিড়ম্বনায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়ে থাকে।

তাই আজকে ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সে বিষয়ে কিছুটা হলেও ধারনা দেয়ার চেষ্টা করাবো। ল্যাপটপ কেনার আগে যে সমস্ত বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে তা হলো:

প্রসেসর (Processor)

ডেস্কটপ কম্পিউটারের কথা বলি আর ল্যাপটপ, ‘প্রোসেসর’ হচ্ছে এই দুটি ডিভাইসেরই মূল অংশ। ‘

প্রসেসর’, যার কাজ সহজে বললে বলতে হয় ‘প্রোসেস করা’। আপনার কম্পিউটারটির মাঝে প্রতিটি সেকন্ডে আপনার এবং মেশিনের, দুজনের ইন্সট্রাকশনই প্রসেস করে থাকে। এখন প্রসেসরের শক্তির রকম ভেদ করা হয় প্রতিসেকেন্ডে বা একটি একক সময়ে এর প্রসেস করার ক্ষমতার উপর।

বর্তমান সময়ে এ.এম.ডি এবং ইন্টেলের প্রসেসরের ল্যাপটপ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ব্র্যান্ডের দৌড়ে এখন পর্যন্ত ‘ইন্টেলের’ প্রসেসর বিশিষ্ট ল্যাপটপই বাজারে বেশি দেখা যায়। ল্যাপটপ কেনার আগে প্রসেসরের ‘জেনারেশন’ এবং এর ‘ক্লক-স্পিড’ খেয়াল করে কেনা উচিৎ।

‘জেনারেশন’ বা ‘প্রজন্ম’ থেকেই মোটামুটি বেসিক তথ্য আন্দাজ করে নেয়া সম্ভব। যেমন, ৩য় প্রজন্মের প্রসেসর একটি ল্যাপটপ নিশ্চয়ই একই সিরিজের ৪র্থ প্রজন্মের প্রসেসরের কার্যক্ষমতাকে হারাতে পারবেনা। উল্লেখ্য, সর্বশেষ বাজারে আসা সর্বশেষ জেনারেশেনের প্রসেসর বিশিষ্ট ল্যাপটপ গুলো কিছুটা দামী হয়ে থাকে, সেই সাথে এদের কার্যক্ষমতাও।

ডেস্কটপের মত ল্যাপটপে প্রসেসর আপগ্রেড করা যায়না। যদিও, আপনি আপনার একই সিরিজের একই মডেলের মাদারবোর্ড এর সকেট সমর্থিত প্রসেসর আপগ্রেড করতে পারেন তবে এটা খুবই ঝামেলার একটি প্রোসেস এবং অভিজ্ঞ ব্যাক্তির সহায়তা ছাড়া একাজটি একদমই করা উচিৎ হবেনা। তাই, চেষ্টা করা উচিৎ ল্যাপটপ কেনার সময়েই ভালো মানের প্রসেসর যুক্ত একটি ল্যাপটপ কেনা।

ব্র্যান্ড

বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ রয়েছে। যেমন আসুস, ডেল, এইচপি, এসার, লেনোভো ইত্যাদি। আপনি যদি কোনও ভালো ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনতে চান তবে আপনি আসুস বা ডেল কিনতে পারবেন। এই দুটি ব্র্যান্ড ল্যাপটপের জগতে অত্যন্ত ভাল। ল্যাপটপের দাম আপনার কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করবে।

ডিসপ্লে (Display):

ল্যাপটপ কেনার আগে আবশ্যই ডিসপ্লের কোয়ালিটির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, ল্যাপটপের ডিসপ্লের দিকে তাকিয়েই আপনাকে কাজ করতে হবে। ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপের রেজুলেশন কত তা ভালো করে দেখে ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে।

আমি আপনাকে ১০৮০পি অর্থাৎ ফুল এইচডি ডিসপ্লে নিতে সুপারিশ করবো। এই রেজুলেশনের ডিসপ্লে সকল কাজের জন্যই আদর্শ হয়। আপনি যদি কোন কারণে ফুল এইচডি স্ক্রিন নিতে না পারেন, তাহলে অব্যশই অন্তত এইচডি অর্থাৎ ৭২০পি স্ক্রিনের ল্যাপটপ ক্রয় করবেন।

হার্ড ড্রাইভ

Hard Drives হচ্ছে আপনার ডেটাগুলো যেখানে জমা হয়ে থাকে। বর্তমান সময় SSD বা solid state drive ই সবার ব্যবহার করছে। যদিও অনেক বাজেট ল্যাপটপে আপনি HDD বা Spinning Drive পেয়ে যাবেন। 

আপনার সামর্থ্য থাকলে কমপক্ষে 256 gigabytes এর SSD কেনা উচিত হবে। SSD তুলনামূলক বেশি দ্রুতগতির পারফর্মেন্স দেয় বিশেষকরে যখন আপনি NVMe connection এর SSD নিবেন। উল্লেখ্য এটি আগের SATA ভার্সন থেকে দ্রুতগতিতে আপনার ডেটা Hard Drives থেকে আদান-প্রদান করাতে সক্ষম। অনেক সময় আপনি এমন ল্যাপটপ পেয়ে যেতে পারেন যেগুলো NVMe সহ  SSD অপারেটিং সিস্টেম চালায় আর স্টোরেজ হিসেবে থাকে পুরাতন SATA Drive. এক্ষেত্রে আপনি বাজেট ফ্রেন্ডলি একটি চয়েজ পেয়ে যাচ্ছেন যা আপনাকে ভালো স্পিড দিতে পারবে। 

র‌্যাম(RAM)

ল্যাপটপ ক্রয় করার সময় আপনাকে অবশ্যই র‌্যামের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি আপনি আপনার ল্যাপটপে স্মুথ পারফরম্যান্স পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ৪ জিবি অথবা তার চেয়ে বেশি র‌্যামের ল্যাপটপটি কিনতে হবে।

আর যদি আপনি কখনও আপনার ল্যাপটপে গেমিং বা ভিডিও এডিটং এর মতো কাজগুলো করার চিন্তা করেন তাহলে আপনার ৮ জিবি বা ১৬ জিবি র‌্যামের প্রয়োজন পরবে। র‌্যামের ক্ষেত্রে ডিডিআর (Double Data Rate) এবং বাস স্পিড এর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

গ্রাফিক্স(Graphics)

ল্যাপটপে সাধারণত একটি বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড সংযুক্ত করাই থাকে। তবে আপনি যদি কখনো গ্রাফিক্সের কাজ করতে চান বা ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে চান কিংবা হাই-এন্ড গেমস খেলতে চান তবে আলাদা গ্রাফিক্স চিপের প্রয়োজন হবে।

বলে রাখা ভালো ল্যাপটপের কিছু পার্টস পরিবর্তন করা গেলেও গ্রাফিক্স কার্ড কখনোই পরিবর্তন করা যাবে না। তাই ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড/এক্সটর্নাল গ্রাফিক্স কার্ড প্রয়োজন হলে তা কেনার সময়ই নিয়ে নিতে হবে। কারণ ল্যাপটপ ম্যানুফেকচারিং এর সময় গ্রাফিক্স কার্ড সহ/ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন ভাবেই তৈরি হয়।

আপনি ডেস্কটপের মতো ল্যাপটপেও এনভিডিয়া এবং এএমডি সিরিজের গ্রাফিক্স কার্ড নিতে পারে। এনভিডিয়া গ্রাফিক্স কার্ড চাইলে জিটিএক্স বা আরটিএক্স সিরিজের কার্ডগুলো নিতে পারেন।

জিটিএক্স সিরিজের মধ্যে জিটিএক্স ১০৫০ থেকে শুরু করে জিটিএক্স ১৬৬০ পর্যন্ত রয়েছে এবং আরটিএক্স সিরিজের মধ্যে আরটিএক্স ২০৫০ থেকে শুরু করে আরটিএক্স ২০৮০ পর্যন্ত রয়েছে। জিটিএক্সের তুলনায় আরটিএক্স সিরিজের ল্যাপটপগুলোর দাম অনেকটাই বেশি।

পোর্ট

ল্যাপটপ কেনার সময় ল্যাপটপটিতে কি কি পোর্ট রয়েছে সেদিন ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে। লক্ষ্য রখবেন ল্যাপটপে যেন একের অধিক ইউএসবি ৩ পোর্ট থাকে। এতে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে। আবার বর্তমামানে ল্যাপটপে সি পোর্ট নামে একটি পোর্ট আছে, এটাও লক্ষ রাখবেন।

ইউএসবি ৩ ইউএসবি ২ এর তুলনায় ১০ গুণ বেশি তাড়াতাড়ি ডেটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম। ফলে আপনার সময়ও অনেক কম লাগবে। আর ল্যাপটপে ইউএসবি ৩.১ পোর্ট থাকলে তো আরো ভালো। ল্যাপটপ-এ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পোর্ট আছে কিনা তাও ভালোভাবে চেক করে নিবেন।

ব্যাটারি – Battery

 ল্যাপটপ কেনার সময় এর ব্যাটারী ব্যাক আপ সম্পর্কে অবগত হন। ল্যাপটপ যখন খুশি যেখানে ইচ্ছা আপনি ব্যবহার করতে পারছেন সেটাতো এই ল্যাপটপের কারনেই। বাজারে ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে ৪ সেল এবং ৬ সেলের ব্যাটারী পাওয়া যায়।

বাজেট

সবশেষে বিবেচ্য বাজেট। ল্যাপটপ কেনার আগে নির্দিষ্ট বাজেট ঠিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ল্যাপটপ খোঁজার আগে বাজেট ঠিক করে নিলে সেই অনুয়ায়ী মান বিবেচনা করে কেনা যায়।

END MY POST

তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই।দেখা হবে আরো কোনো পোষ্ট এ।যদি পোষ্টটি ভালো লাগে তাহলে লাইক এবং কমেন্ট করুন।আর যেকোনে নতুন বিষয়ে জানতে ট্রিকবিডি সাথে থাকুন।

One thought on "নতুন ল্যাপটপ নেওয়ার আগে যা যা যেনে রাখা উচিত।"

  1. TrickBD Support Moderator says:
    ওয়ার্নিং দেয়ার পরেও নীতিমালা বহির্ভূতভাবে কপি পেস্ট করায় ট্রেইনার পদ বাতিল করা হল।

Leave a Reply