এই সময়ে ইন্টারনেট একটি অন্যরকম জগতে পরিণত হয়েছে। বাস্তব জীবনের মতোই এখানেও আছে অনেক কুচক্রী মানুষ যারা সবসময় আপনার ক্ষতি করার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আপনারও সবসময় এসব কুচক্রী মানুষের কাছ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে আর এই অবস্থায় আপনার মনেও প্রশ্ন জাগে যে, আমি কি ইন্টারনেটে সুরক্ষিত? হ্যাঁ, এখন আপনিও ইন্টারনেটে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন এসব উপায় অনুসরণের মাধ্যমে।
১. সুরক্ষিত ব্রাউজার ব্যবহার করা
প্রথমত ইন্টারনেট সুরক্ষিত থাকতে হলে আপনাকে সুরক্ষিত ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে। ইন্টারনেটে বর্তমানে অবস্থানরত সবচেয়ে সুরক্ষিত ব্রাউজার হলো গুগল ক্রম। গুগল ক্রম আপনার সকল গোপন তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। এতে আপনি ইন্টারনেটে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকতে পারেন।
২. গোপন তথ্য প্রদান না করা
ইন্টারনেটে আপনার সুরক্ষিত থাকতে হলে আপনার গোপন তথ্যসমূহ সুরক্ষিত রাখতে হবে, যেমনঃ পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি। এসব তথ্য শুধু বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট সমূহে প্রদান করা যাবে, যেমনঃ ফেসবুক, টুইটার এছাড়াও যেসব ওয়েবসাইট HTTPS (Hyper Text Transfer Protocol Secure) প্রোটকল ব্যবহার করে সেসব ওয়েবসাইটে।
৩. অজানা কোনো লিঙ্কে প্রবেশ না করা
ইন্টারনেটে সুরক্ষিত থাকতে হলে কোনো ধরনের অজানা লিঙ্কে প্রবেশ করা যাবে না। এসব অজানা লিঙ্ক আপনার অনেক গোপন তথ্য চুরি করে নিতে পারে এমনকি আপনার তথ্য খারাপ কাজে ব্যবহার করে আপনার জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে।
৪. নিয়মিত ব্রাউজিং ইতিহাস পরিষ্কার করা
ইন্টারনেটে সুরক্ষিত থাকতে হলে আপনাকে নিয়মিত ব্রাউজারের ইতিহাস পরিষ্কার করতে হবে। কারণ অনেক ওয়েবসাইট আপনার আপনার ব্রাউজারের ইতিহাসের মাধ্যমে আপনার পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি চুরি করে নিতে পারে এতে আপনি অনেকভাবে বিভ্রান্তির মুখে পড়তে পারেন।
৫. লগ আউট করা
ইন্টারনেটে সুরক্ষিত থাকতে হলে কোনো ওয়েবসাইট ব্যবহার করার পর লগ আউট করে ওয়েবসাইটটি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এতে আপনার একাউন্টটি একদম সুরক্ষিত থাকবে আর আপনি বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।
লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। লেখাটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
10 thoughts on "আপনি কি ইন্টারনেটে সুরক্ষিত? জেনে নিন এই প্রশ্নের উত্তর।"