ইউটিউবে যারা কাজ করেন বা শুরু করবেন ভাবছেন তাদের জন্য বিস্তারিত পোস্ট (পর্ব ২) এ সকলকে জানাই স্বাগতম।
আল্লাহ তায়ালা সবাইকে রোজা রাখার তৌফিক দান করুন।
আজকেও আমরা ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব।
গত পোস্টে আমি যা যা লিখেছিলাম।
পষ্টটি না দেখে থাকলে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন
আজকে আমার পোস্টের প্রথম ধাপটি হচ্ছে যে
কিভাবে আমরা ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করবো।
ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করার জন্য আপনারা একটি সবুজ কাপড় দেয়ালের সাথে মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। এবং তার সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন এবং ঠিক তার সামনেই আপনার ক্যামেরাটা রাখুন এবং লক্ষ্য রাখবেন যাতে করে আপনার পিছনে কোন ছায়া না পড়ে।
নিচে স্ক্রিনশট দেওয়া হলো ঠিক এরকম ভাবে আপনারা দাঁড়াবেন পিছনে সবুজ কাপড় দিয়ে।
এরপর আপনারা কাইন মাস্টার প্রো অথবা অথবা পাওয়ারডিরেক্টর প্রো অ্যাপ টি ডাউনলোড করে নিন
আমি প্রথমে আপনাদের দেখাই যে কিভাবে আপনারা কাইনমাস্টার এ ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করবেন।
কাইনমাস্টার অ্যাপ টি ওপেন করুন এবং একটি এম্পটি প্রজেক্ট ওপেন করুন।
তারপর মিডিয়া ব্রাউজার এ ক্লিক করেন
একটি ব্ল্যাক ব্যাকগ্রাউন্ড অথবা রেড কালার ব্যাকগ্রাউন্ড সিলেক্ট করুন।
এখন লেয়ারে গিয়ে একটি ইমেজ সিলেক্ট করুন যেটা আপনি ব্যাকগ্রাউন্ডে লাগাতে চান।
তারপর এটাকে ফুল ব্যাকগ্রাউন্ডের সমান করে নিন।
এখন আবার লেয়ার থেকে আপনার সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ড এর একটা ভিডিও নিন।
ভিডিওটা ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে সমান করে নিন
ভিডিওটার ক্রোমা কি তে ক্লিক করুন
এটা এনাবল করুন
তো এখন দেখতে পাচ্ছেন যে ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ হয়ে গেছে।
পাওয়ার ডিরেক্টর ও ঠিক এরকম ভাবে আপনারা চেঞ্জ করতে পারবেন।
আপনারা এটা না বুঝতে পারলে আমার এই ভিডিওটা দেখতে পারেন।
এখন আপনার যদি ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ না করে আসল ব্যাকগ্রাউন্ড এই ব্যবহার করতে চান, তাহলে আগের পোস্টে যা যা বলেছিলাম তা মাথায় রাখবেন।
পোস্ট বড় হয়ে যাবে তাই আগের কথাগুলো এখন আর পুঃনরুল্লেখ করতে চাচ্ছি না।
আপনারা এমন জায়গায় ভিডিও করেন যার পেছনে একটা হোয়াইট কালার ওয়াল আছে। এতে করে আপনার ফেসটা খুব ক্লিয়ার এবং সুন্দর হবে যেমন আমার নিচের স্ক্রিনশট আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
এখন গেল আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করার বিষয়টি এখন আমরা আলোচনা করব যে
কিভাবে আপনারা ফেস ক্যাম ব্যবহার না করে ভিডিও তৈরি করবেন।
আপনারা যদি ক্যামেরার সামনে না এসে ভিডিও করতে চান, তাহলে আপনি তিন থেকে চার ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
তার মধ্যে থেকে 1 নাম্বারে আছে আপনারা এনিমেশন ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
বর্তমানে মোবাইলে অনেক এনিমেশন ভিডিও তৈরি করা যায় তো আপনারা যদি না পারেন তাহলে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে তা দেখতে পারেন আমি একটি ভিডিও আপলোড করেছিলাম আপনারা দেখতে পারেন এতে করে আপনাদের সহযোগিতা হতে পারে।
ইউটিউব এ এনিমেশন ভিডিও আপলোড করে অনেক অনেক সাবস্ক্রাইবার পেয়েছে বাংলাদেশি চ্যানেল। তার মধ্যে কিছু চ্যানেল আছে যারা এগুলো আপলোড করে সফল হয়েছে।
আমার আপলোড করা পোস্ট ও ভিডিওঃ
মোবাইল দিয়েই প্রোফেশনাল কার্টুন ভিডিও বানান খুব সহজেই। (পর্ব ১)
মোবাইল দিয়েই প্রোফেশনাল কার্টুন ভিডিও বানান খুব সহজেই। (পর্ব ২)
দ্বিতীয় পজিশনে আছে আপনারা রিভিউ নিয়ে ভিডিও করতে পারেন
এতে করে আপনাদের ভিডিওর সামনে আসতে হবে না।
তবে যদি আপনার রিভিউ নিয়ে ভিডিও করেন তাহলে আপনাদের অনেক টাকা খরচ করতে হবে আপনাদের এক একটা প্রোডাক্ট রিভিউ দেওয়ার জন্য অথবা আপনাদের প্রোডাক্ট ছেলার এর সাথে ভালো সম্পর্ক থাকতে হবে যাতে করে আপনারা তাদের কাছ থেকে একটি প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার রিভিউ দিতে পারেন।
তারপর আপনার স্লাইড শো ভিডিও আপলোড করতে পারেন
এতে করে আপনারা আপনাদের মনিটাইজেশন পেতে পারেন। এবং খুব কমই এইসব ভিডিওতে কপিরাইট পড়ে। স্লাইড শো ভিডিও কিভাবে তৈরি করতে হয় এ নিয়ে পরে কোনদিন আলোচনা করব আর যদি আপনারা আগে দেখে নিতে চান তাহলে ইউটিউবে সার্চ করে দেখে নিতে পারেন।
গেইমিং ভিডিও স্ট্রিমিং বা আপ্লোড
আর যদি আপনি ভাল গেইমার হন বা আপনাদের এমন একটি স্মার্টফোন আছে যেখানে খুব ভালো গেম খেলা যায় তাহলে আপনারা স্ক্রিন রেকর্ড এর মাধ্যমে গেমের ভিডিও স্ট্রিম করতে পারেন অথবা গেম খেলে সেগুলো আপলোড করতে পারেন।
এমন অনেক বড় বড় চ্যানেল আছে যারা গেমের ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন পেয়েছে এবং তারা সফল হয়েছে । তবে আপনাকে এমন গেমের ভিডিও আপলোড করতে হবে যেটা মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ গেমের ভিডিওটি পেলেই দেখে।
এছাড়াও আপনারা ভিডিও আপলোড করতে পারেন অনলাইন টেকনিক এবং টিউটোরিয়াল ফ্রী টিপ্স & ট্রিক্স ইত্যাদি সম্পর্কে তবে তার জন্য আপনারা যদি ভিডিওর সামনে আসেন তাহলে খুব ভালো হবে।
এখন আমরা আলোচনা করব কপিরাইট সম্পর্কে এবং ইউটিউব গাইডলাইন সম্পর্কেঃ
কপিরাইট ক্লেইম, স্ট্রাইক এবং ইউটিউব গাইডলাইন ক্লেম এবং ইউটিউব গাইডলাইন স্ট্রাইক সম্পর্কে আমি সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করব যেটা আপনাদের উপকারে আসতে পারে।
কপিরাইট ক্লেইম হচ্ছে এমন একটা বিষয় যে অন্য কারো গান আপনি কপি করে আপনার ভিডিওতে এড করবেন, এবং গানটির মালিককে গানের জন্য কোন
পারিশ্রমিক আপনি তাদের দিলেন না, তাই তারা আপনাকে কোন লাইসেন্স দিল না ফলে ইউটিউব থেকে আপনার ভিডিওতে একটা ক্লেইম আসবে যেটাতে লেখা থাকবে আপনার ভিডিওটা কপিরাইটে আছে এর দ্বারা আপনি এটা থেকে কোন টাকা পাবেন না। তাই আপনারা অন্যের কোন অডিও বা মিউজিক ব্যবহার করা থেকে বেঁচে থাকুন।
এখন আপনারা কপিরাইট মুক্ত মিউজিক কোথায় পাবেন?
কপিরাইটমুক্ত মিউজিক ইউটিবেই তাদের সাইটের মাঝে দিয়ে দিয়েছে আপনারা সেখান থেকে নিয়ে নিতে পারেন যেমন নিচে দেখাচ্ছি,
আপনার প্রথমেই চলে যান ইউটিউব ড্যাশবোর্ড এ এবং সেখান থেকে Create অপশনে ক্লিক করুন।
তারপর আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে এখানে অনেক ধরনের মিউজিক দিয়ে দেওয়া আছে তো আপনার এগুলো অনায়াসেই ইউজ করতে পারতেছেন। এতে আপনার ভিডিওতে কোন কপিরাইট আসবে না।
কপিরাইট স্ট্রাইক কি?
কপিরাইট স্ট্রাইক হলো, আপনি অন্য কারো ভিডিও কপি করলেন অথবা অন্য কারো টাইটেল, ট্যাগ, মিউজিক ইত্যাদি কপি করলেন। তবে মিউজিক কপি করলে সাধারণত কপিরাইট ক্লেইম এসে থাকে তবে তারা যদি ম্যানুয়ালি কোন স্ট্রাইক দেয় তাহলে সেটা স্ট্রাইক এ পরিণত হবে।
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন কি এবং এটা স্ট্রাইক কিঃ
ইউটিউবে কমিউনিটি গাইডলাইন হচ্ছে তারা কিছু নিয়ম-কানুন দিয়ে রাখছে আপনাদের সেগুলো মেনে ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনারা যদি নিয়মের বাইরে ভিডিও আপলোড করেন তাহলে আপনাদের ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক আসতে পারে। এ সম্পর্কে আরো ভালো জানতে আপনারা গুগল সাপোর্ট থেকে জেনে নিতে পারেন।
কপিরাইট স্ট্রাইক ও কমিউনিটি গাইডলাইন স্ট্রাইক এর শাস্তি কিঃ
এ নিয়ে ট্রিকবিডিতে আগেও পোস্ট করা আছে তো আমি ভালো করে বোঝার জন্য সেটা আবার উল্লেখ করতেছি।
আপনারা যখন প্রথম স্ট্রাইক খাবেন তখন আপনাদের সাত দিনের জন্য ভিডিও আপলোড করা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং এই স্ট্রাইক টি তিন মাস পর্যন্ত আপনার চ্যানেলে থাকবে।
এর সাথে সাথে যখন আপনারা দ্বিতীয় স্ট্রাইক খাবেন তখন আপনাদের 14 দিনের জন্য ভিডিও আপলোড করা বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং একটি তিন মাস পর্যন্ত আপনার সাথে থাকবে।
দুইটি কপিরাইটের সাথে যখন আপনারা তৃতীয়বার কপিরাইট খাবেন তখন আপনাদের চ্যানেল থেকে ভিডিও আপলোড করা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সাতদিন সময় থাকবে আপনার চ্যানেলটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। এর মধ্যে আপনারা যদি কপি রাইটটা তুলে নিতে পারেন তাহলে আপনার চ্যানেলটা বেঁচে যাবে।
ইউটিউব থেকে কপিরাইট তোলার পোস্ট ও ভিডিওঃ
ভিডিওতে কেমন টাইটেল এবং কেমন ট্যাগ ব্যবহার করা আপনাদের জন্য ভালো হবেঃ
ভিডিওতে এমন টাইটেল ব্যবহার করুন যেটা মানুষ সচরাচর সার্চ করে থাকে।
যেমন আপনি অনলাইন আর্নিং নিয়ে ভিডিও আপলোড করতেছেন তখন আপনার টাইটেল হবে ‘অনলাইন আর্নিং’
টাইটেলের প্রথমে এটা থাকতেই হবে কারণ মানুষ এটা লিখেই বেশি সার্চ করে থাকে। তাছাড়া ভিডিও ভাইরাল যেটা হয়েছে সেটার টাইটেল আপনি ব্যবহার করতে পারেন তবে ঠিক ঐরকম টাইটেল আপনারা ব্যবহার করবেন না তার মধ্যে কিছু চেঞ্জ করে আপনারা ভিডিওতে সেটা ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিওতে এমন ট্যাগ ব্যবহার করেন যেটা মানুষ সচরাচর সার্চ করে থাকে, যেমন অনলাইন আর্নিং নিয়ে যদি আপনি ভিডিও আপলোড করেন তাহলে আপনি আপনার ট্যাগ ব্যবহার করেন ‘অনলাইন আর্নিং’ ‘অনলাইন এ্যার্নিং 2019’ ‘কিভাবে অনলাইন আর্ন করা যায়’ ‘মোবাইল দিয়ে কিভাবে আর্ন করবো’ ‘কিভাবে বাড়ানো যায়’ ‘কিভাবে অনলাইনে কাজ করা যায়’ ‘কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়’ ‘কিভাবে ইনকাম করবো’
তাছাড়া আপনি ইউটিউব থেকেও কিন্তু ট্যাগ নিতে পারেন যেমন নিচের স্ক্রিনশট দেখুন।
শুধু অনলাইন আর্নিং লেখার পরে নিচে কিন্তু অনেক ট্যাগ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই গুলো আপনাদের ট্যাগে অ্যাড করতে পারেন এতে করে আপনার ভিডিও ভাইরাল হতে পারে।
আমরা সচরাচর এই চেষ্টা করি আপনাদের কিছু উপকার পৌঁছানোর জন্য এবং পোষ্টের মাধ্যমে আমরা সেটা করে থাকি। এতে আপনার যদি কোন উপকার হয় তাহলে আমরা খুব প্রাউড ফিল করি যে আমরা আপনাদের উপকার করতে পারলাম।
রানা ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি ট্রিক এন্ড টিপস সাইট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য যার মাধ্যমে আমরা আপনাদের উপকার করতে পারি আপনারাও আমাদের উপকার করতে পারেন।
আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া আদায় করি কারণ তিনি আমাদের তৌফিক দান করেছেন এখানে কিছু লেখার জন্য।
এই পোষ্টটা রোজা রেখে লিখেছি তাই সবাই দোয়া করবেন যাতে করে সামনে আরও ভাল কিছু লিখতে পারি।
এখানেই শেষ হলো আমার দ্বিতীয় পর্ব তো সামনে আরো ভালো কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে আসব। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ট্রিকবিডিতে।
এই অধমের মস্তিষ্ক থেকে যা এসেছে তাই আপনাদের সাথে ব্যক্ত করেছি তো এখানে কোন ভুল হলে আশাকরি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার চ্যানেলঃ TipTop BD
আমার ফেসবুক পেইজ TipTop BD
সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন ট্রিকবিডির পাশেই থাকুন ধন্যবাদ।
Keep Sharing ?
but amar ekta q: colo bro
apnar fb id link ta dan
??????????
ইউটিউব এ কাজ শুরু করার সাথে সাথে কি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে হয়??
নাকি 4 হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম ও 1000 সাবস্ক্রাইব হওয়ার পর মনিটাইজেশন করে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হয়…..??
অবশ্য উপকারী একটি উত্তর পাবো??
তবে আগে করে রাখা ভাল।