আসসালামু আলাইকুম.
আশা করি সবাই ভালো আছেন,আর আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি।
আজকে আবারও নতুন একটা টিপস নিয়ে হাজির হলাম
আপনাদের মাঝে আমি আসিফ।
বাজারে ল্যাপটপের অভাব নেই। ল্যাপটপ কেনার আগে বা ল্যাপটপ কিনতে গেলেই প্রশ্ন আসে কোন ল্যাপটপটি সব থেকে ভালো। কোন ল্যাপটপটিতে রয়েছে প্রয়োজন অনুযায়ী সব ফিচার। তাই ভালো মানের একটি ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। কারণ, কেনার সময় এসব বিষয় মাথায় না থাকলে, পরে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। গচ্চা যেতে পারে মোটা অঙ্কের টাকাও।
আর তাই ল্যাপটপ কেনার সময় বেশ কয়েকটি ফিচার বিবেচনায় রাখা উচিত। আমাদের আজকের পোস্টটিতে থাকবে একটি ভালো মানের ল্যাপটপ কেনার আগের যে বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখবেন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
ল্যাপটপ কেনার সময় মুখ্য বিষয় হয় যদি বহন করা, তাহলে নোটবুক কেনাই যথাযথ । নোটবুক কেনার সময় নোটবুকের ওজন দেখে নেওয়া দরকার। যেকোন ল্যাপটপ যেগুলো আল্ট্রাবুক হিসেবে চিহ্নিত থাকে সেগুলো কেনাই সবচেয়ে ভালো কারণ এটা যেমন হালকা তেমন সরু। সাধারণত যেসকল ল্যাপটপের স্ক্রিন সাইজ ১২.৫-১৩.৩ এর মধ্যে থাকে সেগুলোর ওজন ১ থেকে ১.৫ কেজির মধ্যে থাকে। তবে মাঝামাঝি দামে (৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায়) আল্ট্রাবুক পাবেন না। ১৫.৬ ইঞ্চি স্ক্রিনের ল্যাপটপ হতে পারে আদর্শ সাইজের নোটবুক।
ল্যাপটপের স্ক্রিনের রেজল্যুশন দেখে ল্যাপটপ কেনা উচিত। এ ক্ষেত্রে ১৯২০ বাই ১০৮০ পিক্সেলের স্ক্রিন সব কাজের জন্য আদর্শ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কেনার সময় অবশ্যই একবার ল্যাপটপটি চালিয়ে দেখে নেওয়া উচিত। বর্তমানে ৪কে রেজল্যুশনের ল্যাপটপের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কিছু কিছু গেইমিং ল্যাপটপে টাচস্ক্রিনও থাকে।
ক্রেতা যে ধরণের কি বোর্ডের সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাকে অবশ্যই সে কি বোর্ড সম্বলিত ল্যাপটপটি কিনতে হবে। কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেওয়া উচিত যে কিবোর্ডটিতে ব্যাকলিট আছে কিনা। ব্যাকলিট থাকলে অন্ধকারেও ল্যাপটপের বোতাম গুলো দেখা যায়। মাঝারি দামের ল্যাপটপের কিবোর্ডেও আজকাল লাইট থাকে।
ল্যাপটপের স্টোরেজ বেশি দেখে কেনা উচিত যাতে করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণের জন্য জায়গার অভাবে ভুগতে না হয়। ৭৫০ জিবি স্টোরেজ স্পেস খারাপ না, কী বলেন? প্রচলিত হার্ডডিস্ক সময়ের সাথে স্লো হয়ে যায়। আপনি যদি বাজেট একটু বৃদ্ধি করতে পারেন, তাহলে হার্ডডিস্ক বদলে এসএসডি স্টোরেজ নিতে পারেন। ২৫০জিবি এসএসডি স্টোরেজের দাম প্রায় ৮ হাজার টাকা, যেখানে ৫০০জিবি হার্ডডিস্ক পড়বে সাড়ে ৩ হাজার টাকার মত।
আপনাকে অবশ্যই ৪ জিবি অথবা তার থেকে বেশি র্যামের ল্যাপটপ কিনতে হবে যদি আপনি আপনার ল্যাপটপ স্বাচ্ছন্দ্যে এবং মসৃণ গতিতে চালাতে চান।
যদি সচরাচর ভিডিও এডিটিং না করেন বা ভারী গেইম না খেলেন, তাহলে আলাদা গ্রাফিক্স কার্ডযুক্ত ল্যাপটপ না হলেও চলবে। তবে গ্রাফিকসের কাজ ও গেইম খেলা হলে গ্রাফিক্স চিপ লাগবে। মোটামুটি বাজেটের মধ্যে হলে এনভিডিয়া জিটিএক্স ১০৫০ থেকে শুরু করে ১০৮০ (উচ্চ মূল্যের) বা আরো আধুনিক কোনো গ্রাফিক্স কার্ডযুক্ত ল্যাপটপ নিতে পারেন। এ জন্য আসুসের গেইমিং ল্যাপটপ আরওজি স্ট্রিক্স স্কার এডিশন দেখতে পারেন। বাজেট যদি বেশি থাকে, তাহলে আসুস আরওজি জেফ্রাস হতে পারে আপনার সেরা পছন্দের গেইমিং বা হাই-কনফিগ ল্যাপটপ।
ল্যাপটপের ব্যাটারির গায়ে যে রেটিং দেওয়া থাকে সেটি দেখে ল্যাপটপের ব্যাটারি কেনা উচিত। যে সকল ব্যাটারীর গায়ে 44Wh বা 50Wh লেখা থাকে সেগুলো বেশি সময় ধরে চার্জ় সংরক্ষণ করতে পারে। বর্তমানে ব্যাটারি প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে। ল্যাপটপের অফিসিয়াল ডকুমেন্ট দেখে এর ব্যাটারি ব্যাকআপ টাইম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এটা বিভিন্ন হতে পারে। তবে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ব্যাকআপ হলে ভাল হয়।
ওয়াই-ফাই অ্যাডাপ্টরের ক্ষমতা দেখে ল্যাপটপ কিনতে হবে, যাতে নির্বিঘ্নে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক চালানো যায়। ডুয়াল ব্র্যান্ডের যেসব অ্যাডাপ্টর পাওয়া যায়, সেগুলো ভালোমানের হয়ে থাকে। ব্লুটুথের ক্ষেত্রে এখন বাজারে ব্লুটুথ ৪.০ নির্ভরযোগ্য।
ল্যাপটপে অনেক সময় এসডি কার্ড লাগানোর দরকার পড়ে। এজন্য ল্যাপটপের সাথে এসডি কার্ডের স্লট আছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত।
ইউ এসবি ৩ পোর্ট এর মাধ্যমে ইউএসবি ২ এর তুলনায় দ্রুত গতিতে ডাটা ট্রান্সফার করা যায়। এজন্য ল্যাপটপের পোর্টগুলো ইউ এসবি ৩ কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত। অবশ্য বর্তমানে অধিকাংশ ল্যাপটপেই ইউএসবি ২ এবং ইউএসবি ৩ পোর্ট থাকে।
ফিংগারপ্রিন্ট রিডার সিস্টেম এখন মোবাইল ডিভাইসে লগইন করতে এবং উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম এ windows hello system এর সাথে ব্যবহার হচ্ছে। কেউ হয়তো আপনার পাসওয়ার্ড অনুমান করতে পারবে কিন্তু আপনার ফিংগারপ্রিন্ট জাল করতে পারবে না। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় এই সুবিধাটিও দেখে নেয়া উচিত।
আপনি যতই সতর্ক থাকুন না কেনো তারপরও ল্যাপটপ হাত থেকে পরে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়া টা অসম্ভব কিছু নয়।সে জন্য ল্যাপটপ এর বিল্ড কোয়ালিটি টাও দেখে নেয়া উচিত। কিছু ল্যাপটপ ধুলা , পানি ও ডাষ্ট প্রতিরোধী করে তৈরী করা হয় যেনো এগুলো বিরূপ এডুকেশনাল পরিবেশেও কাজ করতে পারে।কোনটি কি প্রতিরোধী বা এর বিল্ড কোয়ালিটি কেমন সেটা নির্মাতা রা আগেই বলে দেন। সুতরাং পরিবেশ বিবেচনা করে সে ভাবেই কেনা ভালো।
সাধারণ মানের কোনো গেইম খেলার জন্য গেইমিং ল্যাপটপ না কেনাই ভালো। গেইমিং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে না কেনাই ভালো। কারণ টাচস্ক্রিনের জন্য দাম বেশি পড়বে এবং চার্জিংয়েও বেশি খরচ হবে। বড় ডিসপ্লে গেইমিংয়ের জন্য ভালো হলেও বহন করতে ঝামেলা হবে। কি-বোর্ড আরামদায়ক কি না সেটি দেখে নিতে হবে। ১৯২০ বাই ১০৮০ পিক্সেলের কম রেজল্যুশনের গেইমিং ল্যাপটপ না কেনাই ভালো। হার্ডডিস্কের তুলনায় সলিড স্টেট ড্রাইভ বা এসএসডিসমৃদ্ধ ল্যাপটপ গেইমিংয়ের জন্য বেশি কার্যকর।
শেষকথা উপরের বিষয়গুলো যদি গুরুত্বের সাথে নিয়ে ল্যাপটপ কেনেন তবে আশা করা যায় ঠকবেন না।
সবাইকে ধন্যবাদ।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম,হাজির হবো আরও নিত্য নতুন টিপস নিয়ে আমি আসিফ।
Thank You.
সৌজন্যঃ Trick Light
Subscribe Now
আল্লাহ হাফেজ।
গ্রাফিক্স আর হালকা গেমিং এর জন্য
Ay laptop ta kemon hoba vaiya