Ransomware সাধারণত একটি কম্পিউটার ভাইরাস। বেশিরভাগ সময় এটিকে malware নামে ডাকা হয়। এটি কিভাবে কম্পিউটারে প্রবেশ করে? কিভাবে কাজ করে? এবং কিভাবে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেই সম্পর্কেই আজকে আলোচনা করবো।
আসসালামু আলাইকুম। আমি সৌরভ । আপনাদেরকে স্বাগতম আমার প্রথম পোস্টে। কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। আজকে যেই জিনিসটা নিয়ে আলোচনা করবো তা সবার আগে থেকে জানা থাকতে পারে যদি জেনে থাকেন তাহলে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে থাকেন আশা করি অনেক কিছু বুঝতে আর জানতে পারবেন। আর এই বিষয়ে নতুন হলে আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন
এটি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লিখছি তাই যদি কোথাও ভুল ত্রূটি হয়ে থাকে তাহলে সংশোধন করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। তো চলুন শুরু করা যাক।
Ransomware কি?
এটি সাধারণত একটি malware. তবে অন্যান্য malware গুলো থেকে অনেক বেশি ক্ষতিকারক এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এটি অন্যান্য malware গুলোর মতো ব্যবহারকারীর ডেটা নষ্ট করেনা বরং এরা সকল ডেটা লক করে রাখে এবং একটি মেসেজ দেয় যেইটা কিছুটা এমন হয়।
যার অর্থ এরা ব্যবহারকারীর ডেটাগুলো লক করে এবং সেইগুলো আনলক করার জন্য টাকা দাবী করে যার পরিমাণ অনেক বেশি। এবং এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তো এটিই মুলত Ransomware .এর অনেক ধরণের প্রকারভেদ আছে যার মধ্যে আমি যেইটা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলাম সেইটা হলো (peet) virus.
Ransomware কিভাবে কাজ করে?
এটি যেহেতু একটা malware অন্য সকল ম্যালওয়ারের মতোই অজান্তেই কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে। এরা যেই যেই কারণে প্রবেশ করতে পারে তা হলোঃ
- অজানা লিনকে ক্লিক করার কারণে
- এটিভাইরাস প্রটেকশন অফ রাখার কারণে
- অজানা কোনো মেইল এর সংযুক্ত কোনো ফাইল না চেক করেই ডাউনলোড করলে
- কম দামী বা cracked গেমস বা উইন্ডোজ সিডি ব্যবহার করলে
- এই ম্যালওয়ারে আক্রান্ত কোনো কম্পিউটার থেকে কিছু শেয়ার করলে
- আবার অনেক সময় ফ্রি এটিভাইরাস সফটয়ারের কারণেও হতে দেখা যায়
উপরোক্ত যেকোনো কারণে এটি যদি কোনোভাবে কম্পিউটারে প্রবেশ করে তবে সর্ব প্রথম এটি সিস্টেম ফোল্ডারে অ্যাটাক করে এবং র্যামে যায়গা করে নেয় ।পরবর্তীতে কোনো সফটওয়ার বা ফোল্ডার ওপেন করেই সেটি অ্যাটাক করে। এবং সেটির নাম পরিবর্তন করে দেয়।
যেমনঃ আমার ক্ষেত্রে সকল ফাইল/ ইমেল/ ডকুমেন্টের নামের শেষে (.peet) করে দিয়েছিলো যায় কারণে আর ওপেন করা যাচ্ছিলো না কোনোভাবেই।যদিও নাম পরীবর্তন করে (.peet) বাদ দেওয়া হয় তাও কোনোভাবে কাজ করবে না বা ওপেন হবেনা। এভাবে ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ কম্পিউটারকে দখল করে নেয় এই ম্যালওয়্যারটি। এবং ব্যবহারকারীর সকল তথ্য ম্যালওয়্যারটির ডেভেলপারদের কাছে পাচার করতে থাকে।
Ransomware থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
কোনো কারণে যদি কম্পিউটার এই ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয় তবে সব ডেটা লক করে দিতে অনেক বড় অংকের অর্থ দাবী করে। আর বলে সেই পরিমাণ অর্থ প্রদান না করলে নেটে ভাইরাল করে দিবে , নষ্ট করে দিবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে যদি আপনি অর্থ প্রদাণ করেন তাহলে তারা যে আপনার ডেটা ফিরিয়ে দিবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তারা ইমেল এ তাদের বিটকয়েন আইডিতে বিটকয়েন দিতে বলে যার কারণে ম্যালওয়্যারটি তৈরী কারকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না । তাই অর্থ প্রদান না করাই বেশি ভালো।
এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সবসময় এটিভাইরাস সফটওয়্যার অন রাখা উচিত এবং নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে।
কিছু এন্টিভাইরাস যা আপনার কম্পিউটারকে এসব ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেঃ
এগুলো আমি নিজে ব্যবহার করি এবং সম্পূর্ণ ফ্রি এটিভাইরাস সফটওয়্যার । আপনার কম্পিউটার যদি কোনো প্রকার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয় তবে এগুলো দিয়ে তা রিমুভ করতে পারবেন।
আর যদি আক্রান্ত ফাইলগুলো (encrypt files বলে তাদেরকে) ফিরে পেতে চান তাহলে তার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পরবর্তী পোস্টে লিখবো ইনশাআল্লাহ।
আজ এ পর্যন্তই। আমি এই ম্যালওয়্যার দ্বারা ৫০০ জিবি+ ডেটা হারিয়েছি । এখন তার পূনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি । দোয়া করবেন যেন ফিরে পাই তাহলে পরবর্তী পোস্টে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানাবো ইনশাআল্লাহ।
আর হ্যা কোনো ভূল ত্রূটি হলে নিচে কমেন্ট এ জানাবেন। অথবা যদি আপনার কাছে এর থেকে ভালো কোনো এটিভাইরাসের নাম জানা থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভূলবেন না। কারণ তাতে হয়তো আপনার বন্ধুর অনেক বড় ক্ষতির হাত থেকে বেচে যাবে
ধন্যবাদ সবাইকে। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে। আল্লাহ হাফেজ
And Always Thanks for reading
7 thoughts on "Ransomware কী ?এটি কীভাবে কাজ করে? এটি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।।"