আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন।
দুর্ভাগ্যের হাত থেকে কে না বাঁচতে চায়। সকলেই চায় আল্লাহ তাআলা তার দুর্ভাগ্য কে দূর করে দিক। কোন মানুষই চায় না তার দুর্ভাগ্যের কারনে সে কোন কিছু হারাক বা তার কপালে বা পরিবারে কোনো দুঃখ আসুক। সকলেই চাই আল্লাহতালা যেন সকলের ভাগ্য ভালো রাখে এবং সকল রকম দুর্ভাগ্য হতে দূরে রাখে।
অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু মানুষ দুর্ভাগ্যের জন্য কোন কিছু পেয়েও হারিয়ে থাকে আবার অনেকের দুর্ভাগ্যের কারণে কোন কাজে সফলতা পায় না যদিও সে কঠোর পরিশ্রম করে। এসবের চেয়ে সবচাইতে বড় দুর্ভাগ্য হলো এই দুনিয়াবী জীবন থেকে মৃত্যু বরণ করার পরে আখেরাতে গিয়ে জান্নাত না পাওয়া।
দুনিয়াতে আমরা কোন কিছু না পেলে যে পরিমাণ আফসোস করি মৃত্যুর পর যখন কোন মানুষ জান্নাত পাবে না তখন তার আফসোসের শেষ থাকবে না। সেই ব্যক্তি তখন প্রতিনিয়তই আফসোস করতে থাকবে কেন সে দুনিয়া হতে আমল করে আসলো না। কিন্তু তখন তার এই আফসোসের আর কোনো মূল্য থাকবে না।
আমরা যদি মৃত্যুর পর জান্নাত পেতে চাই এবং দুনিয়াবী জীবনের সকল রকমের দুর্ভাগ্য হতে রক্ষা পেতে চাই তাহলে আমাদের আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর নিকট কিছু কতিপয় দোয়া পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা চাইতে হবে। এই দোয়াটি স্বয়ং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও পাঠ করতেন।
আমি আপনাদের আজকে যে দোয়াটি সম্পর্কে বলব সেই দোয়া সম্পর্কে সহীহ বুখারীতে একটি হাদিস সংরক্ষিত রয়েছে সেটি হচ্ছে: হাদিস নাম্বারঃ 6616 হাদিসের বর্ণনা রয়েছে- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবী আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন, হযরত মুহাম্মদ সাঃ সবসময় আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করতেন যেন আল্লাহ তায়ালা তাকে সকল রকম দুর্ভাগ্য হতে দূরে রাখে!
তো বন্ধুগণ চলুন এখন দোয়াটি সম্পর্কে জেনে নিন। দুআটি হলো: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিং দারাকিশ শাক-ই।
এখন অনেক ভাই আবার প্রশ্ন করতে পারেন যে ভাই দোয়াটি কখন কখন এবং কোন সময়ে ও কতবার পড়তে হবে। তো ভাই তাদের উদ্দেশ্যে আমার উত্তরটি হচ্ছে হাদিসে এই দোয়া কতবার পড়তে হবে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কোন কিছু উল্লেখ করে দেওয়া নেই। তাই আপনি এই দোয়াটি যখন তখন আপনার ইচ্ছা হবে তখনি পড়ে নিতে পারবেন। তবে আমার মতে বিশেষ করে আপনার ফরজ এবং নফল নামাজের পর এই দোয়া বেশি বেশি করে পড়া উচিত। বা নামাজ শেষ করে যখন আপনি মোনাজাত করবেন তখন মোনাজাতের সাথে আপনি এই দোয়াটি পাঠ করে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাইতে পারেন যেন আল্লাহ তাআলা আপনাকে সকল রকম দুর্ভাগ্যের হাত থেকে রক্ষা করে।
যদি আপনি এই দোয়াটি নিয়মিতভাবে পড়তে থাকেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা আপনাকে সকল রকম দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করবেন। এবং আপনাকে সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত করে দিবেন।
আল্লাহ তাআলা আপনাকে আমাকে সকলকে এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ করার তৌফিক দান করুক আমিন।
আশা করি এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে ।আজকে এই পর্যন্তই ইনশাল্লাহ আল্লাহ তাআলা বাঁচিয়ে রাখলে পরবর্তীতে অন্য কোন প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ দোয়া নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন খোদা হাফেজ।
5 thoughts on "যে দোয়া নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা আপনার সকল রকম দুর্ভাগ্য দূর করে দিবেন।"