অ্যাপল অ্যাপস্টোরের ৪ হাজার অ্যাপ ‘এক্সকোডঘোস্ট’ ম্যালওয়্যার সংক্রমণের শিকার বলে জানিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। অ্যাইফোন এবং আইপ্যাডের অ্যাপ নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত ‘এক্সকোড প্রোগ্রাম’ ব্যবহার করে হ্যাকারদের তৈরি ‘এক্সকোডঘোস্ট’ ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঘটনায় বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পরেছে মার্কিন টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল ডিভাইসের অ্যাপ তৈরির জন্য ডেভেলপারদের ‘এক্সকোড প্রোগ্রাম’ ব্যবহার করতে হয়। বিবিসি জানিয়েছে, অ্যাপল চীনের বাজারে ‘এক্সকোড প্রোগ্রাম’ ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া আরও সহজ করার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঘটনা আবিষ্কার করেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
চীনকে বিবেচনা করা হচ্ছে ‘এক্সকোডঘোস্ট’-এর উৎপত্তিস্থল হিসেবে। ইন্টারনেটের উপর চীন সরকারের নানা কড়াকড়ির কারণে অ্যাপ নির্মাণের জন্য ‘এক্সকোড প্রোগ্রাম’ ডাউনলোড করা বেশ কঠিন কাজ ছিল দেশটির সফটওয়্যার ডেভেলপারদের কাছে। এ কারণে ডেভেলপারদের অনেকেই স্থানীয় বাজার থেকে প্রোগ্রামটির ‘নকল কপি’ সংগ্রহ করে ব্যবহার করেছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। আর ওই নকল প্রোগ্রামেই হ্যাকাররা জুড়ে দিয়েছিল ‘এক্সকোডঘোস্ট’ ম্যালওয়্যার। পরবর্তীতে নকল প্রোগ্রাম ব্যবহার করে তৈরি অ্যাপগুলো আপলোড করার পর অ্যাপস্টোরে ছড়িয়ে পরে ম্যালওয়্যার সংক্রমণ।
ম্যালওয়্যার সংক্রমণের শিকার অ্যাপগুলো ডাউনলোড করে ঝুঁকিতে আছেন সাধারণ ব্যবহারকারীরাও। ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর ডেটা চুরি করা হ্যাকারদের জন্য একেবারেই সহজ করে দেয় ‘এক্সকোডঘোস্ট’।
প্রাথমিক অবস্থায় ম্যালওয়্যার সংক্রমণের শিকার অ্যাপের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি মনে করা হলেও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক মার্কিন প্রতিষ্ঠান পালো আল্টো নেটওয়ার্ক বলছে ম্যালওয়্যারের শিকার অ্যাপের এর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। আরেক সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ফায়ারফ্লাই জানিয়েছে, ম্যালওয়্যারের শিকার অ্যাপের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার হতে পারে।
‘ম্যালওয়্যার মুক্ত’ বলে সুনাম ছিল অ্যাপল অ্যাপস্টোরের। ম্যালওয়্যার কোডবাহী অ্যাপগুলো কীভাবে অ্যাপলের যাচাই প্রক্রিয়া ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়েছিল সেই ব্যাপারটি এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।