হ্যালো বন্ধুরা আজ আমি এমন একটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা পরে অবাক হতে পারেন আবার

 পুরা পোস্ট পড়ার পর  হাসছতেও পারেন ???

মনে মনে বলতে পারেন? 

এটা আবার কি পোস্ট ? উকুন নাকি পোস্ট হয় ?

উকুন হলে সত্যিই খুবই বিরক্তিকর লাগে। সারাক্ষণ শুধু মাথা চুলকায় আবার উকুন নাম শুনলেই ঘিন ঘিনও করে। উকুন মূলত পঁচা খাদক মানে এরা ময়লা খায়। এরা সাধারনত চামড়ায় থাকে।

 

বাসস্থানঃ এরা বিভিন্ন প্রাণির গায়ে থাকে। তবে বেশির ভাগ প্রজাতির উকুন প্রাণির সুনির্দিষ্ট অংশে বাস করে। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার প্রজাতির উকুনের সন্ধান পাওয়া গেছে । দেহে সাধারণত ২-৬ ধরেনের উকুন থাকে। প্রাণিভেদে তা ভিন্ন ও হয়। মানুষের মাথায় এবং পিউবিক অঞ্চলে ভিন্ন ধরনের উকুন বাস করে। উকুনকে তার আশ্রয়দাতার শরীর থেকে সরিয়ে নিলে সাধারনতঃ বেশি সময় বাঁচে না।

 

আক্রান্ত:

উকুন আক্রান্ত হওয়াকে ইংরেজিতে পেডিকুলোসিস (Pediculosis) বলা হয়। আরো স্পষ্টভাবে বলা যায়, থির‍্যাপটেরা বর্গভুক্ত রক্তচোষা উকুনের আক্রমনকে পেডিকুলোসিস বলা হয়। মানুষসহ গরম রক্তবিশিষ্ট যে কোনো স্তন্যপায়ী এবং পাখি উকুনে আক্রান্ত হয়।

মানবদেহে উকুন আক্রমনকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

  1. মাথার উকুন (Pediculosis capitis)
  2. শরীরের উকুন (Pediculosis corporis) (Pediculosis vestimenti, Vagabond’s disease ও বলা হয়)
  3. পিউবিক অঞ্চলের উকুন (Pediculosis pubis) (Crabs)

 

উকুনকে খুবই সাধারণ ব্যাপার হিসেবে গ্রহণ করা হয়, একে মোটেও রোগ হিসেবে মনে করা হয় না। অথচ এটা অজানা যে উকুনের কারণে টাইফাস নামের একটি জটিল রোগ হতে পারে।

 

কেন উকুন হয়?

উকুন সাধারণত তাদেরই হয় যাদের হাইজেনিক কন্ডিশন ভালো না এবং যারা ওভার ক্রাউডিং থাকে, তাছাড়া যারা পরিচ্ছন্ন থাকেন না। বিশেষ করে নিয়মিত গোসল করেন না। গোসল করলেও যারা মাথার চুল ভালো ভাবে শাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে পরিস্কার করেন না অর্থাৎ মাথায় একটা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে; তাদের চুলে উকুনের প্রভাব বেশি হয়।

 

তিন ধরনের উকুন হতে পারে-

প্রথমত এটি মাথা হয়, আমরা এটাকে Tinea capitis

শরীরে একধরনের উকুন হয় এটাকে বলা হয় Tinea corporis

তৃতীয় ধরনের উকুন হয় , যাকে –Pediculosis pubis বলে । মানে, তলপেটে পিউবিক অঞ্চলে হয়।

প্রতিকারঃ

 আমার মতে, পরিষ্কার থাকুন। গোসল করুন। ভালভাবে শ্যাম্পু করুন। (উকুন আছে এমন কারো সাথে ঘুমাবেন না তাইলে শেষ! )

বিভিন্ন চিকিৎসকদের মতে,

ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে পৃথিবীতে উকুনের আক্রমণ বেড়েছে, যা বছরে লক্ষ লক্ষ পর্যন্ত হয়। উকুনের ডিম, বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক উকুন সম্পূর্ণরূপে নিধনের কোনো নিশ্চিত চিকিৎসা নেই। অবশ্য বেশ কয়েক ধরনের চিকিৎসা আছে যেগুলো কিছু পরিমাণে সফলতা দেখায়। সেগুলো হচ্ছে, রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ, প্রাকৃতিক বস্তু ব্যবহার, চিরুনি, চুল কামানো, গরম বাতাস প্রয়োগ এবং সিলিকন ভিত্তিক লোশন।


যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আমার সাইটটি ঘুরে দেখুন একবার ☞ hmvai.com
তাহলে বন্ধুরা আজকে উকুনে লেখালেখি এ পর্যন্তই শেষ ৷ উকুন যে কি জিনিস যার হয় সেই বোঝে ! ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য খোদা হাফেজ ৷

3 thoughts on "পৃথিবীতে কত প্রজাতির উকনু আছে? উকুন কেন হয়, উকুন থেকে বাঁচার উপায় কি ? আদৌ কি সম্ভব উকুন থেকে বাঁচা ৷"

  1. XR SABBIR KHAN Contributor says:
    Thanks gantam na
    1. sopon Author Post Creator says:
      Well

Leave a Reply