Multiverse (অনন্ত মহাবিশ্ব) এবং Parallel Universe কি
আমাদের মন খারাপ থাকলে কখনও কখনও তারাখচিত বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি।হয়ত মাঝরাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে অনেক কিছুই চিন্তা করি।
কিন্তু কখনো কি চিন্তা করেছেন?
যখন আপনি বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন ঠিক তখন আপনার মতো কেউ একই জায়গায়,একই চিন্তা বা একই মন খারাপ নিয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে অন্য কোনো তারা থেকে,হয়ত অন্য গ্যালাক্সি থেকে,হয়ত বা অন্য গ্রহ থেকে।অর্থাৎ এই মহাবিশ্বে অনেক গুলো “আপনি” আছেন।চলুন,এই মহাবিশ্বে আজ আপনার জমজ খুজে আসি।
এই মহাবিশ্বে আরো অনেক মহাবিশ্ব আছে এই ধারনাটার নাম Multiverse(অনন্ত মহাবিশ্ব)।(এ ক্ষেত্রে “Upside down” মুভিটা দেখতে পারেন)।
আর যে মহাবিশ্বে আপনার মতো জমজ বা অনুলিপি রয়েছে এই ধারনাটার নাম Parallel Universe(সমান্তরাল মহাবিশ্ব)।
আজ শুধু Parallel Universe নিয়ে কথা বলব।
আচ্ছা আপনার কি কখনো মনে হয়েছে যে,আপনার মতো কেউ একই চিন্তা করছে অন্য কোন গ্রহে?
ধরুন,আপনি পৃথিবীতে লেখা পড়া করছেন।আপনার সামনে অপশন আছে তিনটা-ডাক্তার,উদ্দোক্তা এবং শিক্ষক হওয়ার।আপনি যে কোন একটা চয়েস করলেন।ধরুন,লেখা পড়া শেষে আপনি উদ্দোক্তা হলেন।তাহলে দুইটা অপশন বাদ হয়ে গেল।
আচ্ছা,আপনি যদি ডাক্তার চয়েস করতেন,তাহলে ডাক্তারই হতেন।অর্থাৎ ব্যাপারটা পুরাই আপনার উপর ডিপেন্ডে করে।
এখন বাকি যে দুটা অপশন আপনি স্কিপ করে চলে গেলেন সেগুলোর কি হবে?এটা কি কখনো ভেবেছিলেন?
মজার ব্যাপার এখানেই।
ঐ অপশন দুইটা অন্য কোন পৃথিবীর আপনার অন্য কোন জমজ অনুলিপি চয়েস করেছে।এটাই Parallel Universe-এর মূল কথা।আমি শুধু দুইটা অপশন বলেছি বলেই যে আপনি এই মহাবিশ্বে “তিন” জন আছেন তা নয় কিন্তু।লক্ষ লক্ষ,কোটি কোটি “আপনি” এই মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছেন।আপনে যা ভাবেন তারাও হয়ত তাই ভাবে।
একেই প্যারালাল ইউনিভার্স বলে।
এখন,এই জমজ গুলোকে আপনার দেখতে ইচ্ছে করছেনা না?
তারও কিছু থিওরিটিকেল পথ খোলা আছে।
এটা নিয়ে পরের পর্বে কথা হবে।
Google search kore onek kichui janlam. But, sourch akta o dakhi nai.
Akhon amar prosno holo,”is it real”?
Naki ……
উল্টা-পাল্টা রেফারেন্সহীন ভুল তথ্য মানুষের ঠান্ডা মস্তিষ্কে ঢুকান কেনো? “Upside down”- মুভিটাই আপনার রেফারেন্স??!
আরে ভাই, রুপকথার গল্প অনেক সাহিত্যিকও লেখে, সেখানে সমস্যা হয় না, কারণ সেটা গল্প। কিন্তু আপনি যে
কথাগুলো/গল্পটা শুনাচ্ছেন, সেই কথাগুলো শুধু এই লিখাগুলোতেই সীমাবদ্ধ নয়। এই মাল্টিভার্স-এর অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করে বেশ কিছু বানরের বংশের নাস্তিক। তারা তাদের নাস্তিকতাকে প্রমাণ করার জন্য মাল্টিভার্স-এর নানা অনুমান করা – মনগড়া শুকনো উদাহরণ + মিথ্যা যুক্তি খাড়া করে।।।
তাই ভাই, এই বিষয়টি এভাবে উপস্থাপন না করলেই নয়??? যখন বিষয়টা ধর্মের সাথে জড়িত, বিশ্বাসের সাথে জড়িত, জড়িত অনন্তকালের জীবনের সাথে???
জানানোর জন্য বলতেই পারেন। এতে অনেকেই না জানা বিষয় জানবে। কিন্তু আপনার উপস্থাপনাটা এমন হয়েছে যে মনে হয় এটা বাস্তব।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।।।
আপনার উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।।।