আসসালামুআলাইকুম,ও হিন্দু ভাইদের জানাই আদাব। আশা করি সবাই ভাল আছেন। ভাল থাকার কথা। কারন ট্রিকবিডির সাথে থাকলে নিত্যনতুন ট্রিক ও টিপস সম্পর্কে জানা যায়। প্রতিবারের মতো আপনাদের মাঝে আবারো আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম। টাইটেল দেখে হয়তো সবাই বুঝে গেছেন আজিকে কোন বিষয় নিয়ে আর্টিক্যাল লিখতে যাচ্ছি।
আজকে যে বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি সে বিষয় গুলো হলো, লালশাক এর উপকারিতাগুলো ও লালশাক এর পুস্টিগুন। লালশাক হলো শাকের মধ্য অনেক জনপ্রিয়।সাধারণত সারাবছর এই লালশাক পাওয়া যায়।তবে বিশেষ করে শীতকালে ব্যাপকভাবে উৎপাদন হয়।এবং এই লালশাক ভেজে খেতে অনেক সুস্বাদু। চিকিৎসকরা ও বেশি বেশি লালশাক খেতে বলে। কারন লালশাকে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ও পুস্টি রয়েছে। লালশাকে রয়েছে শর্করা,ক্যালসিয়াম,প্রোটিন,খনিজ, সহ আরো অনেক পুস্টিউপাদান রয়েছে। আমাদের সবার উচিৎ বেশি বেশি লালশাক খাওয়া উচিৎ। কারন লালশাকে প্রচুর প্রচুর পুস্টিগুন রয়েছে।
কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, লালশাক শাক খাওয়ার উপকারিতা ও পুস্টিগুনঃ
১) হৃদরোগের ঝুকি কমায়ঃ
লালশাক হৃদরোগের ঝুকি কমায়। লালশাকে প্রচুর পরিমান ভিটামিন রয়েছে, ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন থাকায় হৃদরোগ এর ঝুকি কমায়।রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখে এই লালশাক৷ হৃৎপিন্ড শক্তিশালী করতে প্রচুর কাজ করে এই লালশাক। এছাড়া ডায়াবেটিস আছে যাদের তাদের নিয়মিত লালশাক খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
২) চুল পড়া রোধ করেঃ
চুল এর জন্য এই লালশাক অনেক উপকারী। লালশাক খেলে চুলের গোড়া শক্তিশালী ও মজবুত হয়৷ যার কারনে চুল পড়া অনেকটা রোধ হয়ে যায়। এছাড়াও লালশাক চুলের গোড়ায় মিনারেল ও পুস্টি যোগান দেয়।
৩) কিডনি সমস্যা দূর করেঃ
কিডনি ভাল রাখতে ও কিডনি পরিস্কার রাখতে লালশাক অনেক উপকারী। লালশাক খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়।এছাড়াও কিডনিতে থাকা টক্সিন বা বিশাক্ত পদার্থ বেরি হয়ে যায় লালশাক খেলে।
৪) ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
লালশাকে অনেক পুস্টিউপাদান ও ভিটামিন মিনারেল রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। লালশাকে রয়েছে,আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস,ভিটামিন ই,পটাশিয়াম,এবং ক্যান্সার কোষ যাতে না উৎপন্ন হয় এজন্য লালশাক প্রচুর কাজ করে। তাই আমাদের লালশাক খাওয়া উচিৎ।
৫) রক্তশূন্যতা দূর করেঃ
রক্তশূন্যতা দূর করতে লালশাক প্রচুর ভুমিকা রাখে। লালশাকে বিভিন্ন পুস্টিগুন এর পাশাপাশি এতে রয়েছে আয়রন।এবং লালশাক খেলে রক্তে লোহিত কনিকার মাত্রা বাড়াতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে। তাই যাদের রক্তশূন্যতা তাদের বেশি বেশি লালশাক খাওয়া উচিৎ।
৬) হজম শক্তি বাড়ায়ঃ.
লালশাকে আছে প্রচুর পরিমান ফাইবার।যা আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া ও লাল শাকে রয়েছে বিভিন্ন পুস্টিগুন ও পুস্টিউপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্ত দরকারী। হজম শক্তি অনেকগুন বাড়িয়ে তোলে এই লালশাক।
৭) দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করেঃ
লালশাকে রয়েছে বিভিন্ন পুস্টিউপাদান। এবং রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, যা আমাদের দাঁত ও হাড় গঠনে প্রচুর সাহায্য করে। আমাদের খাবার তালিকায় তাই লালশাক রাখা উচিৎ।
৮) দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ
লালশাকে রয়েছে প্রচুরপরিমান ভিটামিন-এ।যা আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তিকে অনেকগুন বাড়িয়ে তোলে।এছাড়া ও অনেক অনেক পুস্টিগুন রয়েছে এই লালশাকে। তাই আমাদের উচিৎ আমাদের খাবার তালিকায় লালশাক রাখা। কারন লালশাকে যে ভিটামিন ও পুস্টিগুন রয়েছে, তা আমাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সোর্সঃ নিউট্রিশন হাউজ অব বাংলাদেশ।
টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ
আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon
ধন্যবাদ