টেক জগতে অ্যাপল নামটা সর্বাধিক সমাদৃত। দুর্দান্ত সব টেক প্রোডাক্ট ইউজারদের হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েকদশক ধরে মার্কেটের শীর্ষস্থান নিজেদের করে রেখেছে এই টেক জায়ান্ট কোম্পানি।
অ্যাপল স্মার্টফোন (আইফোন) থেকে শুরু করে, অ্যাপল ওয়াচ, ওয়ারলেস হেডফোন, কি রিং, কি নেই অ্যাপলের ইনভেন্টরিতে।
তবে অ্যাপলের যাত্রা শুরুই হয় কম্পিউটার বা ডেস্কটপ প্রস্তুতকারক হিসেবে, ১৯৭৬ সালে প্রথম অ্যাপল-১ কম্পিউটার বাজারজাত করার মাধ্যমে।
২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারী অ্যাপল ম্যাকিনটশ অপারেটিং সিস্টেম, সংক্ষেপে ম্যাক কম্পিউটার সিরিজের মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু করে।
সেই ধারা অনুযায়ী ২০২০ সালে অ্যাপল পঞ্চম প্রজন্মের ম্যাকবুক প্রো মার্কেটে উন্মোচন করে যা ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী অ্যাপল পর্যায়ক্রমে ম্যাকবুক প্রো এর বিভিন্ন মডেল (১৩ ইঞ্চি, ১৫ ইঞ্চি, ১৬ ইঞ্চি) সরবরাহ করেছে।
তবে লেটেস্ট ম্যাকবুক প্রো ২০২০ (১৩.৩ ইঞ্চি) মডেলটির অন্যতম বিশেষ দিক হলো, এর মধ্যে রয়েছে অ্যাপল উদ্ভাবিত “এম-ওয়ান চিপ” প্রসেসর।
প্রসেসরের দিক থেকে অ্যাপল সবসময় কম্পিটিটরদের থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে। যা গত কয়েক দশক ধরে আইফোনের “আইওএস” (iOS) অপারেটিং সিস্টেম এর মাধ্যমে বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। কম্পিউটার প্রসেসরের জগতে ইন্টেল এত বছর একচেটিয়া ব্যবসা করলেও বর্তমানে ইন্টেলের হেড টু হেড কম্পিটিটর বিবেচনা করা হয় রাইজেন কে। আর এর মাঝেই চলে এসেছে অ্যাপলের নিজস্ব উদ্ভাবনকৃত প্রসেসর “এম ওয়ান চিপ”। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক নতুন প্রসেসরের সাথে লেটেস্ট ম্যাকবুক প্রো এর সামঞ্জস্য এবং ব্যবহারকারীদের জন্য তা কতটা ইফেক্টিভ হতে যাচ্ছে।
এই পোস্টে আলোচনা করা হবে,
- এম ওয়ান চিপ এর কার্যকারীতা
- অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো পারফর্মেন্স এবং হার্ডওয়্যার রিভিউ
- অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো ভ্যারিয়েশন্স
- এক নজরে অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো ফুল স্পেকস
- ম্যাকবুক প্রো প্রাইস
এম-ওয়ান চিপ এর কার্যকারীতা
এম ওয়ান চিপ প্রসেসর উদ্ভাবন নিঃসন্দেহে অ্যাপলের জন্য অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে অ্যাপল কম্পিউটার প্রসেসর তৈরীতে তাদের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালি কম্পিউটার প্রসেসর তৈরীতে আশাবাদী মনোভাব ব্যক্ত করেছে।
এখন কথা হলো, ব্যবহারকারীদের জন্য এই নতুন প্রসেসর কতটা উপযোগী?
সর্বপ্রথম দেখা যাক এম-ওয়ান চিপ এর বাহ্যিক গুণাবলী গুলো,
- এটি একটি এ আর এম (ARM) প্রসেসর যা ইন্টেলের x86 প্রসেসর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা
- এটি একটি ৮ কোর বিশিষ্ট প্রসেসর যার মধ্যে ৪ টি কোর উচ্চতর পারফরমেন্স এবং অপর ৪ টি উচ্চতর দক্ষতার সাথে যে কোন টাস্ক কমপ্লিট করার কাজে নিয়োজিত
- ইন্টেল প্রসেসর অপেক্ষা অধিক কার্যকরী এবং শক্তিশালী প্রযুক্তির সংমিশ্রন ঘটেছে
- এখন পর্যন্ত এটাই একমাত্র পার্সোনাল কম্পিউটার চিপ যা অত্যাধুনিক 5-ন্যানোমিটার প্রক্রিয়া প্রযুক্তিতে তৈরী এবং এতে রয়েছে সর্বাধিক ১৬ বিলিয়ন ট্রান্সিসটর যা অ্যাপলের একক কোন চিপের ক্ষেত্রে সর্বাধিক
- M1 চিপ এর কার্যকারীতা উল্লেখ করতে গিয়ে অ্যাপল জানায়, এই চিপ ৩.৫ গুণ দ্রুত CPU পারফর্মেন্স, ৬ গুণ দ্রুত GPU পারফর্মেন্স এবং ১৫ গুণ দ্রুত মেশিন লার্নিং প্রসেসিং এ সক্ষম
- সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে, M1 চিপের সাথে যুক্ত হয়েছে অ্যাপলের সবচেয়ে এডভান্সড GPU যা সিস্টেমকে জটিল গ্রাফিকাল অপারেশন যেমন একের অধিক 4K ভিডিও স্ট্রিমিং স্মুথলি চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে
- অ্যাপলের অত্যাধুনিক Image Signal Processor (ISP) উচ্চতর ভিডিও কোয়ালিটি নিশ্চিতকরনের পাশাপাশি নয়েজ রিডাকশন, অটো হোয়াইট ব্যালেন্স এর দারুণ সমন্বয়
- ব্যাবহারকারীর সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বেস্ট ইন ক্লাস ‘Secure Enclave’ সিক্যুরিটি সাথে আছে হাই পারফর্মেন্স স্টোরেজ কন্ট্রোলার
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে M1 চিপ কম্পিউটার প্রসেসরের জগতে একটি সুদূরপ্রসারী দৃষ্টান্ত তৈরী করবে।
অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো পারফর্মেন্স
পারফর্মেন্স এর দিক থেকে ম্যাকবুক প্রো ওভারঅল আউটস্ট্যান্ডিং। এতে সংযুক্ত অত্যাধুনিক M1 চিপ এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীর যে কোন কমান্ড দ্রুত গতিতে প্রসেসিং করতে সক্ষম।
গিকবেঞ্চ এর রিপোর্ট অনুসারে অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো এর মাল্টি কোর পারফর্মেন্স স্কোর ৭৩৮২ এবং সিংগেল কোর পারফর্মেন্স স্কোর ১৭০৫।
রিউমারস শোনা যাচ্ছিলো যে অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো M1 চিপ ইন্টেল এর 11th জেনারেশন প্রসেসর অপেক্ষা অধিক কার্যকর।
সেটা দেখার জন্যই আমরা HP Spectre x360 2020 (Core i7 11th Gen) এবং ম্যাকবুক প্রো এর মধ্যে হেড টু হেড কম্পেয়ার সেশন শুরু করি।
এখানে উল্লেখ্য যে, আমাদের ব্যবহারকৃত HP Spectre x360 তে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড Intel Iris Graphics এবং NVIDIA GeForce GTX 1650 (4GB) আর অন্যদিকে এম ওয়ান চিপ এ ইনক্লুডেড GPU সম্পর্কে ইতোমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে।
তো পাঠকদের জন্য এই রিভিউ লিখার সময় ম্যাকবুক এবং HP Spectre এ একইসাথে ৫৫+ ট্যাব ওপেন করে একটি ছোটখাটো টেস্ট করার সময় দেখা গেলো, দুটো ডিভাসই বেশ সাবলীল।
তবে ম্যাকবুক এর পারফর্মেন্স যেনো একটু বেশিই স্মুথ মনে হচ্ছিল যেখানে HP Spectre এ কয়েক মিলি সেকেন্ড ডিলে হচ্ছিলো।
অতঃপর দুটো ডিভাইসে কিছু নির্দিষ্ট সফটয়্যার যেমন ফটোশপ রান করে কিছু জটিল ফটোশপ অপারেশন চালিয়ে দেখা গেলো, এদিক থেকেও ম্যাকবুক HP Spectre থেকে এগিয়ে।
এছাড়াও 3D and 4D মাল্টিমিডিয়া রেন্ডারিং এ ম্যাকবুক প্রো HP Spectre x360, Dell XPS 15 থেকেও দ্রুত গতির ডেমোন্সট্রেশনে সক্ষম।
আর যদি গেমিংয়ের কথা বলি তো, ল্যাপটপ গেমারদের জন্য ম্যাকবুক প্রো খুবই পারফেক্ট একটি ডিভাইস। এতে তারা যেকোন মেইনস্ট্রিম গেইম হাই ফ্রেইম রেট এ স্মুথলি খেলতে পারবে।
হার্ডওয়্যার রিভিউ
এতক্ষণ কথা বললাম, অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো এর অভ্যন্তরীণ বিষয়াদী নিয়ে, এখন কথা বলবো এতে সংযুক্ত হার্ডওয়্যারসমূহ নিয়ে। তো প্রথমে আলোচনা করা যাক,
অ্যাপল ম্যাজিক কি বোর্ড
অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো ২০২০ মডেলে রয়েছে অ্যাপলের নিজেদের তৈরী ম্যাজিক কি-বোর্ড। যদিও এটি সত্যিকার কোন জাদু দেখাতে সক্ষম নয় কিন্তু আপনার দৈনন্দিন কি বোর্ড ব্যবহারে এটি নিয়ে আসতে পারে ব্যপক বৈচিত্র্য।
এ কী বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত কী গুলোর নিচে এক ধরনের সংকোচনযোগ্য রাবার ডোম রয়েছে যা অনেকটা স্প্রিং এর ভূমিকা পালন করে।
এর ফলে কী বোর্ডটি আপনাকে এক ধরনের বাউন্সি কমফি ফিল দিবে। এছাড়াও অ্যাপলের ম্যাজিক কী বোর্ডে রয়েছে Scissor Mechanism যা একে বাটারফ্লাই কী বোর্ডের তুলনায় অধিক কার্যকর হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
ট্র্যাকপ্যাড
ম্যাকবুক ট্র্যাকপ্যাড নিয়ে কোন কথা হবে না, কারণ এর অসাধারণ রেস্পন্সিভনেস আপনার কাজের গতি যেমন বৃদ্ধি করবে অন্যদিকে নির্বিঘ্ন স্ক্রলিং, পিঞ্চিং এবং সোয়াইপিং নিশ্চিত করবে। এর পাশাপাশি আপনি যদি আগে থেকেই ম্যাকবুক প্রো ইউজার হয়ে থাকেন তো এর ট্র্যাকপ্যাডের বিভিন্ন Gesture সম্পর্কে তো জানা আছেই। তো এই ট্র্যাকপ্যাডে আপনি স্মুথলি যেকোন Gesture ব্যবহার করতে পারবেন।
ডিসপ্লে
এবার দেখে নেয়া যাক ম্যাকবুক প্রো এর ডিসপ্লে স্পেসিফিকেশন। ম্যাকবুক প্রো ২০২০ মডেলের এই ডিসপ্লে তে রয়েছে,
- 3-ইঞ্চি (তির্যক) LED- ব্যাকলিট IPS প্রযুক্তির ডিসপ্লে
- ৫০০ nits ব্রাইটনেস
- True Tone Technology
- 2560-বাই -1600 নেটিভ রেজুলেশন 227 ppi
সুতরাং, ম্যাকবুক প্রো এর রেটিনা ডিসপ্লে সব ধরনের কালার নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলে আপনার ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সকে আরো রিয়েলিস্টিক করে তুলবে।
সাউন্ড/স্পিকার
ম্যাকবুক প্রো তে আছে হাই ডাইনামিক রেঞ্জ স্টেরিও স্পিকারস যা আপনাকে দিবে প্রিমিয়াম অডিও সাউন্ড কোয়ালিটি।
সাথে পাচ্ছেন ডলবি এট্মোস্ফিয়ার প্লেব্যাক সাপোর্ট সহ স্টুডিও কোয়ালিটি থ্রি মাইক এরে directional beamforming যুক্ত আছে।
ব্যাটারি এবং পাওয়ার
ইন ল্যাব টেস্টে ম্যাকবুক প্রো এর একটানা ২২ ঘন্টা রান টাইম রেকর্ড করা হয়েছে যা নিঃসন্দেহে অন্য ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ থেকে অনেক বেশি।
সাধারণ ল্যাপটপ যেখানে সর্বোচ্চ ১০-১২ ঘন্টা ব্রেকলেস পারফর্মেন্স প্রদানে সক্ষম সেখানে ম্যাকবুক প্রো ব্যবহার করে আপনি একটানা
- ১৭ ঘন্টা পর্যন্ত ওয়্যারলেস ওয়েব
- ২০ ঘন্টা পর্যন্ত অ্যাপল টিভি অ্যাপ মুভি প্লেব্যাক
এর বিল্ট ইন 58.2-watt-hour লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারির সাথে আছে 61W USB C পাওয়ার এডাপ্টার। যা আপনাকে দিবে ফাস্ট চার্জিং এর নিশ্চয়তা।
সুতরাং আপনি জাস্ট একবার চার্জ দিয়েই সারাদিন নিশ্চিন্তে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
এক নজরে অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো ফুল কনফিগারেশন
Model | MacBook Pro (13-inch M1 2020) |
Release Date | May, 2020 |
Dimension | 15.60 x 304.10 x 212.40 mm |
Weight (KG) | 1.4 KG |
Colors | Silver, Space Grey |
Operating System | macOS |
Display | · 13.30-inch retina display
· 1600×2560 pixels resolution · Touchscreen · 500 nits’ brightness · Wide color (P3) · True Tone technology |
Processor | Apple M1 Chip |
RAM | 8 GB |
Expandable RAM | 16 GB |
Graphics | |
SSD | 256 GB configurable to 512 GB, 1 TB, 2 TB |
Wi fi | 802.11ax Wi-Fi 6 wireless networking
IEEE 802.11a/b/g/n/ac compatible |
Bluetooth version | Bluetooth 5.0 wireless technology |
Web camera | 720p FaceTime HD camera |
Fingerprint sensor | Yes |
USB ports | Two Thunderbolt / USB 4 ports |
অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো ২০২০ ভ্যারিয়েন্টস
যেহেতু প্রতিবছরই অ্যাপল ডিভাইসগুলোর নতুন মডেল বের করে থাকে। কখনো আবার একইসাথে একটি ডিভাইসের কয়েকটি ভ্যারিয়েন্টস মার্কেটে ছেড়ে থাকে।
সে হিসেবে ২০২০ সালে অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো এর মোট ৩ টি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আসে। এগুলো হলো,
- MacBook Pro (13-inch, M1, 2020)
- MacBook Pro (13-inch, 2020, Two Thunderbolt 3 ports)
- MacBook Pro (13-inch, 2020, Four Thunderbolt 3 ports)
এর মধ্যে প্রথম টি হলো M1 chip ইনক্লুডেড এবং বাকি দুই ভ্যারিয়েন্টে Intel Core i5 প্রসেসর যুক্ত করা হয়েছে।
MacBook Pro (13-inch, 2020, Two Thunderbolt 3 ports) তে আছে 1.4GHz quad-core 8th‑generation Intel Core i5 যা আপনি 1.7GHz quad-core 8th‑generation Intel Core i7 তে আপগ্রেড করতে পারবেন।
এছাড়াও এর ২৫৬ জিবি SSD আপ টু ২ TB পর্যন্ত কনফিগারেবল। গ্রাফিক্স Intel Iris Plus Graphics 645।
অন্যদিকে, MacBook Pro (13-inch, 2020, Four Thunderbolt 3 ports) এই ভ্যারিয়েন্টটিতে রয়েছে 2.0GHz quad‑core 10th‑generation Intel Core i5 প্রসেসর যা আপনি চাইলে 2.3GHz quad‑core 10th‑generation Intel Core i7 কনফিগার করতে পারেন।
সেই সাথে এতে সংযুক্ত SSD টি আপ টু 4 TB পর্যন্ত কনফিগারেবল এবং এতে সংযুক্ত গ্রাফিক্সটি হলো Intel Iris Plus Graphics।
তো সব মিলিয়ে ম্যাকবুক প্রো এর এই তিনটি ভ্যারিয়েন্টস ২০২০ সালে মার্কেটে আসে। তবে এর মধ্যে M1 chip টা সর্বাধিক বিক্রির তালিকায় প্রথম স্থানে আছে।
ম্যাকবুক প্রো প্রাইস
দেখতে দেখতে আমরা আলোচনার একদম দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছি। ইতোমধ্যেই আমরা ম্যাকবুক প্রো M1 এর আদ্যপান্ত বিশ্লেষণ করে ফেলেছি। এখন বাকি শুধু প্রাইসিং।
তো চলুন দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশে অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো এর মূল্য কেমন কি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো হাই রেঞ্জ ল্যাপটপগুলোর মধ্যে একটি। তবে পারফর্মেন্স এর দিক দিয়ে বিবেচনা করলে দিজ ইজ দ্য বেস্ট ভ্যালু ল্যাপটপ ইউ ক্যান বাই।
যেহেতু আমরা ম্যাকবুক প্রো ২০২০ এর ১৩ ইঞ্চি মডেল টি নিয়ে আলোচনা করেছি, এ মডেলের তিনটি ভ্যারিয়েন্ট এর বাংলাদেশী মূল্য যথাক্রমে নিচে উল্লেখ করা হলো।
MacBook Pro (13-inch, M1, 2020) – ১,৩৫,৯০০/=
MacBook Pro (13-inch, 2020, Two Thunderbolt 3 ports) – ১,১৫,৯০০/=
MacBook Pro (13-inch, 2020, Four Thunderbolt 3 ports) – ১,৫৫,০০০/=
এছাড়া আপনি যদি ম্যাকবুক প্রো এর অন্য মডেলগুলো যেমনঃ ১৬ ইঞ্চি ভ্যারিয়েন্টস গুলো নিতে চান তো বাজেট ২ লাখ এর উপর রাখতে হবে।
পরিশেষে, যদি আপনি বাজেটের মধ্যে অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো কিনতে চান তো আমাদের সাজেশন থাকবে ১৩.৩ ইঞ্চি M1 Chip সম্বলিত মডেলটি। এর মাধ্যমে আপনি অ্যাপল উদ্ভাবিত সম্পূর্ন নতুন হাই পারফর্মেন্স প্রসেসরের স্বাদ নিতে পারবেন এবং এটি যে কোন ব্যবহারের জন্য খুবই পারফেক্ট একটি ডিভাইস।
3 thoughts on "অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো ২০২০ রিভিউ"