আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
দীর্ঘ ২০ দিন পর আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম নতুন আর্টিকেল নিয়ে। মূলত নিজের ব্যস্ততার কারণেই সময় দেয়া হয়ে ওঠেনি। আজকে আমি আপনাদের জন্য চরকির মান সম্মত ওয়েব সিরিজ “ঊনলৌকিক” এর ডাউনলোড লিংক ও হালকা রিভিউ নিয়ে এসেছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
Web Series: Unoloukik (2021)
*** হালকা স্পয়লার ***
চরকি যখন জানালো, তারা আসছে বেশকিছু মানসম্পন্ন কাজ নিয়ে। এবং তারা শুরু করল দুর্দান্ত। একইদিন প্রকাশ পেল মরিচীকা ও ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজের প্রথম পর্ব। মরিচীকা আমি দেখে শেষ করতে পারিনি এখনও। ইউটিউমার ভালো লাগেনি। অথচ চরকি ধরে বসে আছি। কারণ’টা ঊনলৌকিক। এই সিরিজ একটা চুম্বক। সমমেরু নেই, বিপরীত মেরু নেই, শুধু আটকে রাখে। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার একটা করে এপিসোড প্রকাশ করে গিয়েছে চরকি এই সিরিজের। প্রতিটা এপিসোড দেখে মন্ত্রমুগ্ধের মতোন হা করে অপেক্ষা করেছি পরবর্তী বৃহস্পতিবারের।
এমন আগ্রহ শেষ কবে বাংলাদেশের কোন সিরিজের জন্য ছিল মনে করতে পারছি না। সম্ভবত, ‘বিশ্বাস’। ‘বিশ্বাস’ পরবর্তী দারুণ ভিন্নরকম, মানসম্পন্ন, সাইকোলজিক্যাল, প্যারানরমাল, ড্রামা জনরার কাজ খুব কম হয়েছে। মাঝখানে হুমায়ূন নির্মাণ করেছিলেন, অচেনা ভূবন। তারপর আর দেখা নাই কারোর। চরকি আমার ক্ষুধা মেটালো। তারচেয়েও বেশী জাগালো তৃষ্ণা।
ঊনলৌকিক অর্থ প্রায় লৌকিক। লৌকিক ও অলৌকিকের মাঝখানে অবস্থান করা যাকে বলে। আমরা জগতের যেকোনো ঘটনা, যেকোন মানুষ, যেকোনো কিছুই দু’ভাগে বিভক্ত করে নিতে পারি। সুন্দর, অসুন্দর। ভালো, মন্দ। ঠিক, বেঠিক। লৌকিক, অলৌকিক। অথচ, জগত অত সোজা নয়। এই বিভক্ত থিউরি সব জায়গায় চলে না। আমাদের প্রায়শই দাঁড়াতে হয় দু’টোর মাঝখানে। মানুষ হিসেবে না আমরা ভালো, না মন্দ। না সাদা, না কালো। ধূসর। ধূসরতা হচ্ছে জগতের সবচেয়ে খাপ খাওয়া রঙ। যাবতীয় মানুষ, ঘটনা, সামগ্রিক তুচ্ছাতি তুচ্ছ বিষয়াদি তাই ধুসর রঙা। ঊনলৌকিক এই ধূসর জায়গা থেকে তুলে আনা পাঁচটা গল্প। শুরু থেকে বলি।
‘মরিবার হলো তার স্বাদ’
বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার হচ্ছে অমন একটা মানসিক রোগ, রোগী আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারায়। প্রচণ্ড অস্থির হয়ে উঠে। কোনো পরিবেশেই নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে না। আত্মহত্যার চেষ্টা করে বারংবার। ‘মরিবার হলো তার স্বাদ’ এমন একজন মানসিক রোগে ভুগা রোগী নিয়ে। যিনি এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছেন একটা রাস্তার পাশে। রাত বারোটা চল্লিশ মিনিট। তিনি অপেক্ষা করছেন শেষ বাসটার জন্য। বাস এলেই উঠে পড়বেন। এবং এই লোক পুরো তেইশ মিনিট ধরে নানানরকম উদ্ভট কর্মকাণ্ড করবেন।
উদাহারণ দিই, রাত্তিরে বালিশে মুখ গুজে ভয়ানক চিৎকার করা, ফুল স্পিডে গাড়ি চালিয়ে স্টিয়ারিং হুইল ছেড়ে দেওয়া হঠাৎ, গাড়ির ধোঁয়া পাইপ দিয়ে গাড়ির ভেতর ঢুকিয়ে কাঁচ আটকে শুয়ে থাকা। সাইক্রিয়াটিস্ট তখন তাকে একটা রেস্টুরেন্টের ঠিকানা দেবেন। যেখানে তৈয়ার হয় চমৎকার এক খাবার। ঐ খাবারে মৃত্যুর স্বাদ, ঐ খাবারে জীবনেরও স্বাদ।
জীবনানন্দের বিখ্যাত কবিতা ‘আট বছর আগের একদিন’ থেকে নেওয়া চমৎকার এই লাইনের শেষ শব্দটা ‘সাধ’ না হয়ে কেন ‘স্বাদ’ হলো, শর্টফিল্মটা দেখার আগে দু’কথা বললেও দেখার পর চুপ। অভিনয় করেছেন, মোস্তফা মনোয়ার, গাজী রাকায়েত, সুমন আনোয়ার। মোস্তফা মনোয়ার নিয়ে অনেকবার বলে ফেলেছি। নতুন করে একটু বলি। এই তথ্য জানিয়েছেন আমার ‘ডায়েরী’। হাইরোডে ফুলস্পিডে গাড়ি চালানোর যে দৃশ্য, সঙ্গে স্টিয়ারিং হুইল ছেড়ে দেওয়া, তিনি নিজে করেছেন সব। সমস্যা হলো, তিনি গাড়ি চালাননি আগে তেমন।
ড্রাইভিং-এ অত অভিজ্ঞতা নেই। অথচ এই দৃশ্যটাই পুরো শর্টফিল্মের সবচেয়ে ভয়ানক অংশ। ‘এই তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার’ বিড়বিড় করতে করতে চোখ মুখ শক্ত করে গাড়ি চালানোর এই দৃশ্য দেখে গায়ের লোম শিউরে উঠেছিল আমার। গাজী রাকায়েত তার মতোন করে সেরা। মিউজিক এত ইন্টেন্স, সমস্ত লোমকূপে হাঁটাচলা করেছে সারাক্ষণ। সিনেমাটোগ্রাফি ওয়ার্ল্ড ক্লাস। ভীষণ শক্তিশালী অনবদ্য হিউমারাস ন্যারেশন, সংলাপ। আর শেষটা?
এই শর্টফিল্মটাকে আমি আমার ব্যক্তিগত লিস্টে বাংলাদেশে বানানো বেস্ট শর্টফিল্মের তালিকায় এক নাম্বারে রেখেছি। একসঙ্গে চোখ, কান, মন, মগজ ও জিভ পরিতৃপ্ত করতে পারাটা ক্ষমতা। মরিবার হলো তার স্বাদ’ ঐ ক্ষমতায় পরিপূর্ণ পুরোপুরি একখানা সুখাদ্য।
‘ডোন্ট রাইট মি’
আমীর হোসেন একটা প্রেসে চাকুরি করেন। খান প্রিন্টিং প্রেস। ফটোকপি করেন রাতদিন খাতা-পাতা। একদিন একটা ম্যাগাজিন ফটোকপি করতে গিয়ে খোঁজ পান গল্পের। একটা গল্প। নাম, আমীরের দিনরাত্রি। লেখক, ফরহাদ মাহমুদ। আমীর হোসেন অবাক হয়ে পুরো গল্প পড়ে পরদিনই ফরহাদ মাহমুদের বাসায় হাজির। খুব সিম্পল। একটা চমৎকার গল্প পড়ে মুগ্ধ পাঠক লেখকের বাসায় উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। আমীর দাবী করলেন, এই গল্প তারই নিজের জীবন নিয়ে লিখেছেন ফরহাদ মাহমুদ। অথচ, আমীরের বয়স আটাশ।
গল্পটা লেখা হয়েছে ত্রিশ বৎসর আগে। সমস্যাটা জটিল।
ঊনলৌকিক সিরিজের দ্বিতীয় এপিসোড। ‘ডোন্ট রাইট মি’ শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন আমাদের প্রিয় আসাদুজ্জামান নূর ও সোহেল মন্ডল। কতদিন পর আসাদুজ্জামান নূরকে দেখলাম। চোখ জুড়িয়ে গেল। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ একজন অভিনেতার সামনে বসে- দাঁড়িয়ে সোহেল মন্ডল যে অভিনয়টা করলেন, দেখে মনটাও জুড়িয়ে গেল। অভিনয়ের দিক দিয়ে একজন গুরু, একজন শিষ্য। এত সুন্দর কম্বো। কয়েকটা দৃশ্য এমন সূক্ষ্ম হিউমার সমৃদ্ধ, প্রচণ্ড হাসি পেয়েছে। কিছু জায়গায় পরিচালক দিয়েছেন দারুণ সব ট্রিবিউট। ‘লাল দোপাট্টা’ গানটা বেজে উঠলো যখন, গায়ে শিহরণ টের পেলাম। সোহেল মন্ডলের মুখ নিসৃত ‘আপনি আমার তকদীর লিখছেন’ শুনে মজা পেলাম। শেষটা প্রেডিক্টেবল ছিল, সবার জন্য হয়তো নাও হতে পারে। কিন্তু পরিচালক নির্মাণে এত বেশী যত্ন নিয়েছেন, সবকিছু জেনেশুনে দেখেও মুগ্ধ হতে বাধ্য।
‘মিসেস প্রহেলিকা’
সাইক্রিয়াটিস্ট অপেক্ষা করছেন। রাত নয়টায় সিনেমা শুরু হবে। টিকিট কাটা হয়েছে। টিকিট কেটেছেন তার স্ত্রী। সিনেমাটার নাম, দেবী। সাইক্রিয়াটিস্ট অপেক্ষা করছেন শেষ রোগীর জন্য। এই রোগী একজন নারী। উনার সমস্যা হচ্ছে, উনি স্বপ্ন দেখেন না। সাইক্রিয়াটিস্ট যখনই তাদের পরিচিত ঐ ‘শন শন’ জগত থেকে নেওয়া কয়েকটা কঠিন কঠিন শব্দের নামওয়ালা রোগের নাম বলতে যাবেন, নারী উনাকে আরও একটা ভয়ানক তথ্য দেন। তিনি দুই বৎসর যাবৎ ঘুমান না। কেন? কারণ, তিনি ঘুমিয়েই আছেন কোথাও। এই যে জগত, এটা বাস্তব নয়।
তৃতীয় গল্প। এবং এই সিরিজের প্রথম দুর্বোধ্য গল্প। একটা ছোট্ট রুম, দু’জন মানুষ, তেইশটা মিনিট। বোর হওয়ার চান্সই নেই। একনাগাড়ে এই দু’জন মানুষ আমায় ধপাস ধপাস করে এদিক থেকে ওদিক ছুঁড়েছেন। কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যে, কোনটা বাস্তব, কোনটা স্বপ্ন! অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। তিশার ঘুম ঘুম মুখটা আর ঘুম ঘুম গলার স্বর পুরো শর্টফিল্মটাকে একটা আবেশ মাখিয়ে দিয়েছে অন্যরকম। নেশা নেশা। শুধু দেখতে ইচ্ছে করে। বুঝতে ইচ্ছে করে না একফোঁটাও। আমি সবসময় ভাবতাম, কবে আমাদের কাজ হবে অমন?
ওপেন এন্ডিং থাকবে। দর্শক মাথার চুল ছিঁড়বে কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যে! মিসেস প্রহেলিকার বাস্তব আর স্বপ্ন নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকার ফলেই বোধহয় আমার স্বপ্ন পূরণ হলো। এই এপিসোড প্রকাশ হওয়ার পর প্রচুর ‘ব্যাখ্যা রিভিউ’ পড়েছি সিনেমার গ্রুপগুলোয়। ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি সবার ভিন্ন ভিন্ন চিন্তাভাবনায়। এমন একটা সময়ই তো আমরা চেয়েছিলাম। আহা ঊনলৌকিক!
‘হ্যালো লেডিজ’
টিভি পর্দার জনপ্রিয় গেইম শো ‘হ্যালো লেডিজ’ এর চুয়াত্তর তম পর্বের বিজয়ী ঘোষণা করার পর উপস্থাপিকা সিসিলি ক্যামেরায় তাকান। একটু মাথা হেলে তাকান। যেভাবে আমরা জানালা দিয়ে কারোর ঘরের ভেতর উঁকি দিই কখনো সখনো। ফুঁটোয় রাখি চোখ। গুপ্ত কথা শুনি। গুপ্ত দৃশ্য দেখি। সিসিলিও দেখলেন। তিনি প্রায়শই দেখেন এমন। ক্যামেরায় চোখ রেখে দেখে ফেলেন কারোর কারোর বাড়ির অন্দর। এই মুহূর্তে তিনি দেখলেন, একটা খুন। যিনি খুন করেছেন, তিনিও টের পেলেন টিভি পর্দা থেকে তাকিয়ে কেউ একজন দেখছেন তাকে। অদ্ভুত!
ঊনলৌকিকের চতুর্থ উদ্ভট গল্পটার নাম, ‘হ্যালো লেডিজ’। টিজার দেখে আন্দাজ করে বলেছিলাম, গল্পটা টাইম ট্রাভেল নিয়ে হবে। যেহেতু একই কনসেপ্টে নির্মিত স্প্যানিশ ‘মিরাজ’ দেখা হয়েছে আমার। কিন্তু এই গল্পে বিষয়টা সময় নয়, বিষয়টা জায়গা। শুধু কল্পনা করুন, ভিডিও কলে কথা বলছেন আপনি, আপনাকে ঐদিক থেকে তিনি দেখতে পাচ্ছেন, অথচ আপনার ফোনে ফ্রন্ট ক্যামেরাই নেই।
টিভিকে মাধ্যম ধরে নারীর উপর পুরুষের পুরুষালি কিছু টিপিক্যাল চিন্তাভাবনার সুক্ষ্ণ কিন্তু এক্সট্রিম একটা ঝলক দেখিয়েছেন পরিচালক ছোট্ট পরিসরের এই শর্টফিল্মে। অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, মিথিলা ও সাহানা রহমান সুমি। অসুখী চরিত্রে ইরেশ যাকের কিভাবে এত খাপ খাইয়ে নিতে পারেন আমি জানি না। মিথিলা ভীষণ ভালো। হাসি মুখে বিজয়ী ঘোষণার পর হঠাৎ এক্সপ্রেশন পাল্টে ক্যামেরার দিকে উঁকি দেওয়া দেখেই মিথিলাকে পছন্দ করে ফেললাম আমি।
‘হ্যালো লেডিজ’ এর শেষ দৃশ্যটায় ইরেশ যাকেরের সংলাপগুলি মনোযোগ দিয়ে শুনার পর পুরো গল্পটাই আমার দুটো অর্থে রুপক মনে হয়। প্রথম অর্থ, ঈশ্বর এবং মনুষ্যের পাপ। দ্বিতীয় অর্থ, নারী ও পুরুষের টিপিক্যাল দ্বন্দ্ব। যেখানে মিথিলা পালন করছে ঈশ্বর কিংবা আমাদের ভরসার জায়গা। ইরেশ যাকের পালন করছে পাপী কিংবা কর্তার চরিত্র। কন্যা তুরিন বয়ে বেড়াচ্ছে আমাদের। তুরিনের জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে গল্পটা দেখে তব্দা খেয়েছি। বুঝতে পেরেছি, এইজন্যই এই গল্পের শেষটা অমন। আমরা তাই শুনি, যা আমাদের শুনানো হয়। আমরা তাই দেখি, যা আমাদের দেখানো হয়।
‘দ্বিখণ্ডিত’
ভদ্রলোকের নাম মোস্তাক আহমেদ। তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ক্লার্ক। মোহাম্মদপুর থানার ওসির সামনে ঠিক দুপুর আড়াইটায় বসে তিনি চারটা গল্প বলবেন। এলোমেলো গল্প। দূর থেকে দেখে সবগুলোই গল্প ‘বকরবকর’ মনে হবে। কিন্তু সবগুলো গল্পই একই সূতোয় জোড়া। ঐ সুতোর নাম, দ্বন্দ্ব। এভারেস্টের চূড়োয় উঠার আগে পার হওয়া হিলারি স্টেপস, আনন্দবাজার পত্রিকার দেশভাগের সময়কার একটা সংবাদের কাটা অংশ, বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর দুই জায়গায় সফর ও সেন্সরবোর্ড। এই চারটা গল্প শুনার পর মোস্তাক আহমেদ জানাবেন, ঠিক কেন তিনি থানায় এসেছেন? কারণ, একটা প্যাঁচ আছে। মোস্তাক আহমেদের সবক’টা গল্পের প্যাঁচ খুলবে কে?
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। ঊনলৌকিক সিরিজের শেষ পর্ব। ‘দ্বিখণ্ডিত’। সার্থক নামকরণ। দেখার পর খণ্ড খণ্ড হয়ে আছি। ঊনলৌকিক শুরু করেছিল ‘মরিবার হলো তার স্বাদ’ দিয়ে। যেটি একটা স্কেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো সিরিজের কোনো গল্পেরই ক্ষমতা ছিল না, এই জিনিস টপকানোর। দ্বিখণ্ডিত ঐ কাজটা করে ফেলল। না, প্রথম এপিসোডকে একবিন্দুও নিচে নামাচ্ছি না। বরং পাশাপাশি জায়গা দিতে বাধ্য হলাম, দ্বিখণ্ডিত। অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার। জি। আর কেউ নেই। পঁচিশ মিনিটের শর্টফিল্মে এই ব্যক্তি টানা বিশ মিনিট কথা বলেছেন।
শুধুই কথা। ভিজুয়াল অন্য কোনো দৃশ্য নেই, কোনো ফ্ল্যাশব্যাক নেই, এক ওসি ছাড়া তুচ্ছ কোনো চরিত্রও নেই। ইন্তেখাব দিনার গল্প বলে গিয়েছেন। একটানা। এই লম্বা সময় এক জায়গায় বসে শুধু কথা বলে একটা আধঘন্টার শর্টফিল্ম শেষ করা চাট্টিখানি কথা নয়। ইন্তেখাব দিনারের ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স, অনবদ্য একটা গল্প, মন ও মগজ কামড়ে ধরা টুইস্ট ও গল্প শেষে খণ্ড খণ্ড হয়ে যাওয়া উপভোগ করেছি দারুণ।
ঊনলৌকিক সিরিজের সবগুলো গল্প লিখেছেন শিবব্রত বর্মন। চিত্রনাট্য লেখা তিনজনের একজনও ছিলেন তিনি। বাকি দুইজন নেয়ামত উল্যাহ মাসুম ও রবিউল আলম রবি। সিরিজের পাঁচটা গল্পই পরিচালনা করেছেন রবিউল আলম রবি। আমি উনাকে চিনি না। কিন্তু ভরসা করার মতোন একটা জায়গা পেলাম অনেকদিন পর। এই ব্যক্তি চূড়ান্ত মেধাবী। এই সিরিজ বাংলাদেশে নির্মিত শ্রেষ্ঠ এন্থোলজি সিরিজ, শ্রেষ্ঠ সিরিজ, শ্রেষ্ঠ শর্টফিল্মগুচ্ছ, শ্রেষ্ঠ কনটেন্ট। এবং এটি প্রকৃতপক্ষেই একটা স্কেল। টপকানো সহজ হবে না। এই সিরিজের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটা মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিশেষ করে মিউজিক যিনি তৈয়ার করেছেন। রাশিদ শরীফ শোয়েব। আমি উনার স্যানিটাইজ করা হাতে চুমু খেতে চাই। ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজ দ্বিতীয় কিস্তি নিয়ে হাজির হোক দ্রুত ওরা। ভালোবাসা রইলো।
Screenshots
Trailer
Download Links
480p (375 MB):
720p (892 MB):
1080p (2.64 GB):
ফাইল জিপ আকারে রয়েছে। জিপ ফাইল এক্সট্র্যাক্ট করে দেখতে পারবেন। এরজন্য ZArchiver এপ ইউজ করতে পারেন। এছাড়াও জিপ ফাইল এক্সট্র্যাক্ট করা নিয়ে ট্রিকবিডিতে বেশ কিছু আর্টিকেল রয়েছে তা দেখে নিতে পারেন। কোনো লিংক কাজ না করলে অন্য লিংক ট্রাই করে দেখবেন।
ডাউনলোড করার জন্য যেসব লিংকে গুগল একাউন্টে লগিন করার প্রয়োজন পড়ে সেক্ষেত্রে গুগল একাউন্টে লগিন করে নিবেন। এরপর গুগল ড্রাইভে ফাইলটি নিয়ে সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিবেন। কোনো ডাউনলোড লিংকে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করার পর অন্য কোনো লিংক বা পেইজে নিয়ে গেলে আবার ব্যাক করে আগের পেইজে এসে অর্থাৎ ডাউনলোড পেইজে এসে পুনরায় ডাউনলোড এ ক্লিক করবেন। আর যাদের গুগল একাউন্টে লগিন করলে ড্রাইভ হ্যাক হওয়ার ভয় আছে তারা এই লিংকে ক্লিক করে পোস্টটি পড়ে নিবেন। অথবা যে গুগল একাউন্ট আপনি ইউজ করেন না বা আপনার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় সেই একাউন্টে লগিন করে নিবেন। আশা করছি ভয় কেটে যাবে। আমি ইউজারদের কথা বিবেচনা করেই লিংক দিয়ে থাকি। কাজেই কোনো হ্যাকিং লিংক প্রোভাইড করার প্রশ্নই আসে না।
[Links Credit: Freedrivemovies]
সুলভ মূল্যে ডিজিএম/ডিলার/রিসেলার/রিটেইলার হয়ে রেগুলার দামের চেয়ে অনেক কম দামে সকল সিমের অফার পেতে ও বিক্রি করে অনলাইন ইনকাম করতে যোগাযোগ: Facebook Page বিস্তারিতঃ এখানে ক্লিক করুন। (উদাহরণস্বরূপ এয়ারটেল এর ৩৪৪ টাকায় ৩০ জিবি অফারটি মাত্র ২৯০ টাকায় পাবেন এবং বিক্রি করে কমিশন ও পাবেন। এরকম অন্য সব অপারেটরের ইন্টারনেট অফার অনেক কম দামে পাবেন ও বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন/ নিজের জন্যও নিতে পারবেন। কোনো টার্গেট নেই। আনলিমিটেড!) ট্রিকবিডি থেকে এসেছেন বললে আরো কম দামে একাউন্ট পাবেন!!!
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
পোস্ট ইডিট করে লিংক গুলো রিমুভ করে দিন।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
মূলকথায় আসি, অনেক মুভি প্লাটফর্মে যখন ঊনলৌকিক সিরিজের লিংক পাচ্ছিলাম না তখন ট্রিকবিডিতে পাই।
লিংকের পাশাপাশি প্রত্যেকটা এপিসোডের খুব সুন্দর করে আর্টিকেল লিখেছেন কোন এক ভাই।
কিন্তু আর্টিকেলে ওনার নাম ব্যবহার করেননি।
আমি মনে করে করি এই ভাইকে ট্রিকবিডির পক্ষ হতে উৎসাহ প্রদান করা উচিত।
আর্টিকেল লেখক ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বলবো ভাইই Keep It Up ?
আপনি বিভিন্ন মুভি প্লাটফর্মে মুভি সংক্রান্ত আর্টিকেল লিখবেন অবশ্যই ?