আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। অনলাইনে সহজভাবে টাকা আয় করার অন্যতম একটি উপায় হলোঃ আফিলিয়েট মারকেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে সহজে ইনকাম করা যায়। যারা অনলাইনে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করতে চান তাদের জন্য, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম একটি মাধ্যম ইনকাম করার জন্য। তাই আজকে আমরা অনলাইনে কিভাবে আফিলিয়েট মারকেটিং করে, আয় করা যায় এই বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
যদিও কিভাবে অনলাইনে কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে হয়? এই বিষয় নিয়ে অনেকেই বিস্তারিত নলেজ অর্জন করে রেখেছে আগেই। তবে আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য, যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? অনলাইনে আফিলিয়েট মারকেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়? এই বিষয়বস্তুগুলো নিয়ে কিছুই জানেন না! তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল! তাই আশা করব কেউ খারাপ মন্তব্য করবেন না, যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানেন তারা!
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কিঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইনে কোন সার্ভিস প্রডাক্ট পণ্য ইত্যাদি’ প্রচার করা। যদি আরো ভেঙে আপনাদেরকে বুঝাতে চায় তাহলে, ধরুন আপনাকে কোন একটি কোম্পানি তাদের কোম্পানির পণ্য প্রোডাক্টগুলো আপনাকে প্রচার করতে বলল। আপনি যদি তাদের কোম্পানির প্রোডাক্ট পণ্যগুলো গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে, ওই কম্পানি আপনাকে তার বিনিময় অর্থাৎ পণ্যটি বিক্রি করার জন্য কিছু কমিশন দিবে।
কিভাবে অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়?
এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি যদি অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে, প্রথমে আপনাকে রিয়েল কোন বিশ্বস্ত প্লাটফর্মে যুক্ত হতে হবে। কারণ অনলাইনে অনেক খারাপ প্রতারিত প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তাই অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য, বিশ্বস্ত কোন প্লাটফর্মে যুক্ত হতে হবে। অনলাইনে অনেক ধরনের প্লাটফর্ম রয়েছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য।
বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম হলঃ অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম। যে কেউ চাইলে অনলাইনে, এই প্রোগ্রামের যুক্ত হয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারে। এমনকি বাংলাদেশে বসে আপনারা এই প্ল্যাটফর্মের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ পাবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে কিভাবে করতে হয়? সেটা চলুন একটু উদাহরণ দিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক!
ধরুন আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ কাজ করবেন। অর্থাৎ আপনি আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কাজ করতে চাচ্ছেন। শুরুতে আপনাকে এই প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার জন্য ব্যক্তিগত বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে, রেজিস্ট্রেশন করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যখন আপনি আমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হবেন, তখন এই প্লাটফর্ম আপনাকে একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক দিবে মার্কেটিং করার জন্য।
আপনি যদি এই লিংকটি নিয়ে মানুষের কাছে তাদের কোম্পানির পণ্য প্রচার করতে পারেন, আর আপনার প্রচার করা কোন পণ্য যদি কোনো গ্রাহক ক্রয় করে তাহলে। তার বিনিময় ওই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আপনাকে কিছু কমিশন প্রদান করবে। ঠিক এভাবে করেই আপনারা অনলাইনে আফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আশা করি আপনারা এ বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন যে, অনলাইনে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয় সেটা।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কেমন টাকা আয় করা সম্ভব?
টাকা ইনকামঃ এখন আপনি যদি অনলাইনে আসলে মার্কেটিং করেন তাহলে, হয়তোবা শুরুতেই আপনার মাথায় এই প্রশ্নটিই আসতে পারেন যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে কত টাকা আয় করা সম্ভব? আপনাকে হয়তো বললে আপনি বিশ্বাস নাও করতে পারেন তবে’অনলাইনে এমনও লোক রয়েছে যারা শুধুমাত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমানে আয় করে থাকে!
এমনও লোক রয়েছে যারা শুধু মাত্র অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারে। আপনি ঠিকই শুনেছেন! আপনিও চাইলে অনলাইনে এর চেয়েও বেশি টাকা আয় করতে পারেন! এখন ভাবছেন কীভাবে সম্ভব? চলুন এই বিষয়টা একটু ক্লিয়ার ভাবে জেনে নিন! প্রথমে আপনি কোন একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হলেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য, তারপর আপনি ওই কোম্পানির পণ্য প্রডাক ইত্যাদি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতেই,
ধরুন কেউ একজন আপনার প্রচার করা পণ্যটি ক্রয় করতে চাইল। এবং ক্রয় করার মূল্য দাঁড়ালো 1000 টাকা। আপনি যদি পণ্যটি সঠিকভাবে ক্রয় করতে পারেন তাহলে ওই কোম্পানি আপনাকে, পণ্যটি বিক্রি করার জন্য 100 টাকা দিবে। বিভিন্ন কোম্পানি আছে যারা প্রতি পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা কমিশন দেয়। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিভিন্ন কোম্পানি সর্বনিম্ন 10% কমিশন এবং সর্বোচ্চ 50 পার্সেন্ট কমিশন প্রদান করে। কি এবার অবাক হচ্ছেন তো!
হ্যাঁ ভাই আপনি যদি দিনে মাত্র একটি পণ্য বিক্রি করতে পারেন তাহলে, তার জন্যও বেশ ভালো পরিমানে আয় করার সুযোগ পাবেন। মনে রাখা দরকার যে, অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম পাওয়া যায় আফিলিয়েট মারকেটিং করার জন্য। তাই অবশ্যই এটা ভাববেন না যে সকল প্লাটফর্ম এক রকম। বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম বিভিন্ন রকম হওয়া অস্বাভাবিক এর কিছু নয়। তাই কত টাকা আপনি ওই কোম্পানি থেকে ইনকাম করতে পারবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার উপর।
কিভাবে টাকা উত্তোলন করা যায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে?
টাকা উত্তোলনঃ অনলাইনে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চান তাহলে। হয়তোবা আপনি একসময় না একসময় বলবেন যে, কিভাবে অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা তোলা যায়? বর্তমান সময়ে একেক ধরনের কোম্পানি থেকে আপনারা এক এক রকম উপায়ে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। যেমন কোন কোম্পানিতে আপনারা সর্বনিম্ন 100 ডলার জমা হলে টাকা উত্তোলন করার সুযোগ পাবেন।
অন্যদিকে অনলাইনে এমন কোম্পানি রয়েছে যেখানে মাত্র 10 ডলার হলেও টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলা যায় যে, টাকা উত্তোলন করার জন্য, কোম্পানির উপরে নির্ভর করবে কত এমাউন্ট একাউন্টে জমা হলে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব। অন্যদিকে বিভিন্ন একাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা উত্তোলন করতে হয়। তবে বেশিরভাগ কোম্পানি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাহলে, উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি যে। আপনার একাউন্টে মাত্র 10 থেকে 50 ডলার জমা হলেই উত্তোলন করতে পারবেন ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে।
আর্টিকেল সম্পর্কিত শেষ কথা?বন্ধুরা আজকে আমরা অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে, বিস্তারিত না বললেও সংক্ষিপ্ত আকারে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। যারা অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন তাদের জন্য আজকের পোস্ট না। তাই দয়া করে কেউ খারাপ কোন মন্তব্য করবেন না প্লিজ। যারা অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চায় তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল।
আর্টিকেলটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলে একটি লাইক দিতে ভুলবেন না। আর আর্টিকেলটি কেমন লাগলো সেটা কমেন্ট এর মাধ্যমে এখনই জানান। আর আপনাদের জন্য কোন ধরনের বা কোন বিষয়ে আপনারা জানতে চান? সেটা এখনই কমেন্ট করে জানান। খুব শীঘ্রই আশা করা যায় আপনাদের চাওয়া কৃত আর্টিকেল পাবলিশ করা হবে।
8 thoughts on "Affiliate Marketing করে টাকা ইনকাম করার সঠিক গাইড 2022"