আমরা সবাই বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য ইন্টারনেট ব্রাউজিং করি। আমার এই আর্টিকেলটাও কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি পড়তেছেন। আমরা কিন্তু ইন্টারনেটের অল্প কিছু অংশ ব্রাউজিং করতে পারি। পুরো ইন্টারনেট জগত অনেক বড়, আমরা সম্পূর্ণ অংশ ব্রাউজিং করার অনুমতি পাই না।
ইন্টারনেট মূলত তিন ভাগে বিভক্ত:
• সার্ফেস ওয়েব
• ডার্ক ওয়েব
• ডিপ ওয়েব
তাহলে চলুন আমরা ইন্টারনেটের এই তিনটি অংশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই…
• সার্ফেস ওয়েব:
আমরা সাধারণত ইন্টারনেটের যে অংশগুলো সহজেই প্রবেশ করতে পারি, সেটাকে ইন্টারনেটের সার্ফেস ওয়েব বলে। যেমন: গুগলের বা যে কোন সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে যে কোন কিছু সার্চ করে বের করা।
সারফেস ওয়েবে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। এবং এটা আপনি খুব সহজেই যেকোনো ব্রাউজার দিয়ে এক্সেস করতে পারবেন।
• ডার্ক ওয়েব:
ইন্টারনেটের এই অংশটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত নয়। এখানে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। ডার্ক ওয়েবের সাইট গুলো সাধারনত “.onion”এক্সটেনশন ব্যবহার করে তৈরি হয়। এছাড়া আরো অনেক এক্সটেনশন ব্যবহার করেও সাইট তৈরী হতে পারে।
ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে বিশেষ একটি ব্রাউজার (যেমন: tor) ব্যবহার করতে হবে। সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে আপনি এই অংশে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ডার্ক ওয়েবে অনেক ধরনের ইলিগ্যাল কাজকর্ম হয় (যেমন: মাদকদ্রব্য বা ড্রাগ কেনাবেচা, মানুষকে খুন করার জন্য হায়ার করা, মুভি পাইরেসি হয় , চাইল্ড পর্নোগ্রাফি, আগ্নেয় অস্ত্র কেনাবেচা ইত্যাদি)। এখানে যারা ইলিগ্যাল কাজ করে তাদেরকে ট্রেস করা সম্ভব হয় না, যার কারণে কোন দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের কিছু করতে পারেনা। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে ডার্ক ওয়েবের কিছু কিছু ওয়েবসাইট ট্রেস করা সম্ভব হচ্ছে।
ডার্ক ওয়েব কিন্তু ভালো কাজেও ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন দেশের সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডার্কওয়েবে সংরক্ষণ করে। এতে করে তাদের গোপন তথ্য অন্য কেউ জানার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
• ডিপ ওয়েব:
ডিপ ওয়েব মূলত কোন দেশের সরকার বা প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার করে। ইন্টারনেটের এই অংশেও সবার ঢোকার অনুমতি নেই।
ডিপ ওয়েব এর ওয়েবসাইটগুলোতে ডুকতে গেলে আপনাকে অবশ্যই সেই ওয়েবসাইটের লিংক বা আইপি অ্যাড্রেস জানতে হবে। এছাড়া সাধারণ ব্রাউজার দিয়ে ডিপ ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
One thought on "সারফেস ওয়েব, ডার্ক ওয়েব ও ডিপ ওয়েব এর মধ্যে পার্থক্য কি? বিস্তারীত জেনে নিন"