কিভাবে নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখবেন?

আসুন আমিরা কিছু বিষয় নিয়ে কল্পনা করি।

যখন একজন মানুষের বয়স ৫০ বছর পার হয়। তখন কালো কে কালো কে ফর্সা তা কিন্তু দেখে না। তখন সবই সমান। কার চেহারা সুন্দর কে কতটা স্মার্ট এটা নিয়েও তখন আর কেউ ভাবেনা।

তারপর মানুষের বয়স যখন ৬০ বছর পার হয়। তখন উচু পদে চাকুরী করা আর নিম্ন পদে চাকুরী করা এটা আর কোন ব্যাপার নয়।

তারপর বয়স যখন ৭০ বছর হবে। তখন আপনার বড় বাড়ি বড় বড় গাড়ি কোন গর্বের বিষয় হবে না। তখন কিন্তু বড় বাড়ি, গাড়ি হলে সেটা দেখাশুনা করাই অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তখন কিন্তু একটা ছোট রুম হলেই আপনার চলে।

তারপর বয়স বেড়ে যখন ৮০ বছর হবে। তখন আপনার টাকা থাকলেও যেমন না থাকলেও তেমন। আপনার টাকা খরচ করার ইচ্ছা হলেও সেটা খরচ করার জায়গাও খুঁজে পাবেননা।

তারপর বয়স যখন ৯০ বছর পার হবে। তখন আপনার ঘুমানো আর জেগে থাকা একই বিষয়। তখন আপনি জেগে ওঠার পর কি করবেন আপনি নিজেও জানেননা।

বয়স বেড়ে যখন ১০০ বছর এ পা দিবেন। তখন আপনার বেঁচে থাকা আর বেঁচে না থাকা এতে কিছুই যায় আসে না। তখন আপনাকে নিয়ে আর কেউ ভাববে না।

জীবনের মানে টা ব্যাস এইটুকুই এর বেশি কিছুই না। তাই জিবনে দুশ্চিন্তা করে লাভ নাই। বরং তাতে আপনার ক্ষতিই হবে।

 

বোনাস টিপস ?

চালাক হওয়ার জন্য কী কী কাজ করা যেতে পারে।

প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে গড়ে তুলিতে হবে।

যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে।

নিজেকে মোটামুটিভাবে অলরাউন্ডার করার চেষ্টা করবেন।

কারো প্রতি অসন্তোষ হয়ে থাকলে তাকে সেটা বুঝতে দিলে চলবে না। তবে তার সাথে মিলেমিশে থাকবেন। তাকে বেশি টাইম দিবেন তাতে করে আপনি আরও বেশি চালাক হবেন।

কমপ্লেক্স কমপ্লেক্স চিন্তা ভাবনা করবেন।

রহস্যময় হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

যেকোনো পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিবেন।

প্রচুর পরিমাণে অচেনা এবং অজানা মানুষের সাথে মেলা মেশা করতে হবে।

কখন চুপ করে থাকতে হবে এনং কখন কথা বলতে হবে তা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।

চালাক হতে হলে ভয় পাওয়া চলভে না। 

আপনার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নিয়ে কখনো কারো সাথে আলোচনা করবেন না।

 

লিখার মধ্যে কোনো ভুল করে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার জন্য আপনার কিছু উপদেশ থাকলে নিশ্চয় জানাবেন।

আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply