বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারনে আমাদের জিডি ( GD- General Diary) বা সাধারণ ডায়েরি করার প্রয়োজন পড়ে। পূর্বে সাধারণ ডায়েরি (General Diary) করার জন্য থানায় যেতে হলেও এখন আপনি চাইলে ঘরে বসেই আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের সাহায্য অল্প সময়ে কাজটি করে নিতে পারবেন।এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে জিডি করার নিয়ম ( Online GD) জানতে পারবেন। এতে আপনার সময় যেমন বেচে যাবে অন্যদিকে থানায় যাওয়ার ঝামেলাও পোহাতে হবেনা।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইন জিডি করার নিয়মঃ–
জিডি বা সাধারণ ডায়েরি কি?
জিডি (GD) যার পূর্ণরুপ General Diary বা সাধারণ ডায়েরি, যেটো কোন বিষয়ের সাধারণ ডায়েরি কে বুঝায়। এই আইনে পুলিশের সাহায্য পেতে একটি বিবরণ লিখিত ভাবে থানায় জমা দিতে হয়। প্রাপ্ত বয়ষ্ক যেকোন লোক বিনামূল্যে এটি করতে পারবেন।
জিডি বা সাধারণ ডায়েরি কেন করবেন?
জিডি বিভিন্ন কারনে করা হয়ে থাকে যেমনঃ জীবনের বা সম্পদের নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে মানে কেও হুমকি দিলে,কোন ব্যাক্তি বা পরিবারের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের আশঙ্কা থাকলে,কোন কিছু চুরি হলে,মুল্যবান কোন নথিপত্র, ডকুমেন্টস, সার্টিফিকেট, আইডি কার্ড বা পরিচয় পত্র, চেকবই, লাইসেন্স, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড হারিয়ে গেলে জিডি করা যায়।
এছাড়াও কেও কারো প্রাণনাশের হুমকি দিলে,কেও হারিয়ে গেলে বা বাড়ি থেকে কেও পালিয়ে গেলেও জিডি করা জুরুরি। কেননা সন্দেহভাজন কোন ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় বা কিছু হারানোর জন্য জিডি করার ফলে ওই ঘটনা ঘটার পর দোষী ব্যক্তিদের এবং হারানো জিনিস খুজে পেতে জিডির কোন বিকল্প নেই।
যেহেতু জিডি করতে কোন খরচ নেই তাই সবারি উচিত উপরের কারণগুলো যদি কারো সাথে ঘটে থাকে তবে অবহেলা না করে জিডি করা। বিশেষ করে মোবাইল হারালে বা ছিনতাই হলে অবশ্যই জিডি করা উচিত যাতে ওই মোবাইল দিয়ে কোন অপরাধ সংগঠিত হলে সেই দোষ যেন আপনার উপর এসে না পড়ে।
জিডি করতে কত টাকা লাগে?
লোকে বলে টাকা ছাড়া নাকি থানায় জিডি হয়না কিন্তু মনে রাখবেন কোন সরকারি সেবা পাওয়া আপনার অধিকার এবং এর জন্য কোন প্রকার টাকা-পয়সার প্রয়োজন নেই। এর পরেও যদি কোন প্রকার টাকার দাবি করে তবে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে অবহিত করুন।
সুতরাং নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোন,দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ুন।
আপনাদের জন্য নিচে জিডির একটি নমুনা কপি সংযুক্ত করা হলো।
জিডির একটি নমুনা কপি:
তারিখঃ ………………
বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………………..থানা, ঢাকা।
বিষয় : সাধারণ ডায়েরি ভুক্তির জন্য
আবেদন।
জনাব,
আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী নাম: …………………………………
বয়স : ………………………………………………………
পিতা/স্বামী : ………………………………………………..
ঠিকানা : …………………………………………………….
এই মর্মে জানাচ্ছি যে আজ/গত …………………….. তারিখ ……………. সময় …………….জায়গা থেকে আমার নিম্নবর্ণিত কাগজ/মালামাল হারিয়ে গেছে।
বর্ণনা : (যা যা হারিয়েছে)
বিষয়টি থানায় অবগতির জন্য সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করার অনুরোধ করছি।
বিনীত
নাম:
ঠিকানা:
মোবাইল নম্বর:
কোথায় বা কোন থানায় জিডি করবেন?
যে থানায় জিডি করবেন –
- যে এলাকায় ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বা সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
- সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর।
- ঘটনা ঘটার স্থানের নাম,তারিখ,সময়, সাক্ষী ( যদি থাকে),
- সন্ধেহভাজন ব্যাক্তির নাম,ঠিকানা ( যদি থাকে),
- জিডিকারীর নাম,ঠিকানা,মোবাইল নাম্বার ,সাক্ষর,মাতা-পিতার নাম এবং এবং অন্যান্য তথ্য,
- জিডিকারীর সাথে ইমারজেন্সি যোগাযোগ করা জন্য পরিচিত কারো নাম,ঠিকানা,মোবাইল নাম্বার ( মা,বাবা,স্ত্রী)।
এবার জিডি করার জন্য লগিন করে নিতে হবে-
তারপর যেহেতু পরিক্ষার মূল সনদপত্র হারিয়েছে তাই সার্টিফিকেট এর উপর ক্লিক করুন-
সব শেষে যখন থানা কতৃক আবেদনটি গ্রহণ করবে তখন আবেদনটি গৃহীত আবেদনের তালিকায় দেখতে পারবেন এবং আবেদনটি ওপেন করলে নিচের দিকে সেই থানার ডিউটি অফিসারের সাক্ষর,নাম,পরিচয় পেয়ে যাবেন।
Email :[email protected]
- জিডি করা মানে কোনো মামলা করা নয়। মামলা হয় কোনো ফৌজদারি অপরাধ ঘটে গেলে।
- আর কোনো ঘটনা বা অপরাধ এখনো সংঘটিত হয়নি কিন্তু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বা কাউকে হুমকি দেয়ার কারণে শান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সে ক্ষেত্রেই জিডি এন্ট্রি করা আবশ্যক হয়ে পড়েযাতে অপরাধ সংঘটনকারী সতর্ক হয়ে যায়।
পোস্ট টি প্রথম প্রকাশিতঃ Tunes71.com
????
Go ahead, Fan হয়ে গেলাম ভাই আপনার।
বছর ৪ আগে, অনলাইন পুলিশ হেডকোয়ার্টার এ ১ টা অভিযোগ দিছিলাম (প্রথম অভিজ্ঞতা),
মাস ৩ এক পরে হেড কোয়ার্টার থেকে ১টা নোটিশ আসে – আরো তদন্ত ও সাক্ষী দেয়ার জন্য ঢাকা যেতে তবে, ভাল কথা, তবে পুলিশ ১ম নোটিশ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ এ আসে সেখান থেকে ছড়িয়ে পরে ict আর Is মামলা হয়েছে তাও আমার নামে, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা, পুলিশ নোটিশ দিতে বাড়ি এসে তো আরেক কাহিনি – চা নাস্তা বিল, ??????This is online method and user experience.