অনলাইনে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং অনেক বেশি বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন যোগ্যতা সম্পন্ন ফ্রিল্যান্সাররা বিদেশি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করে। কিন্তু বিদেশী অনেক ওয়েবসাইট বাংলাদেশ সাপোর্ট করে না। যার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের উপার্জন করা অর্থ নিজের হাতে পেতে অনেক কষ্ট হয়।
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো বাংলাদেশ থেকে কোন কোন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে কাজ করা সহজ এবং পেমেন্ট পাওয়াটা মোটামুটি সহজ। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি…
১. ফাইবার: ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর মধ্যে একটি হচ্ছে ফাইবার। ফাইবারের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক ফ্রিল্যান্সার ফাইবার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে।
ফাইবারে মূলত পোর্টফোলিও তৈরি করতে হয় এবং নিজে একটি গিগ তৈরি করতে হয়। আপনার গিগটি যদি ক্লাইন্টরা পছন্দ করে তাহলে তারা আপনাকে কাজ দিবে এবং সেই কাজের বিনিময়ে তারা আপনাকে পেমেন্ট করবে। সেই পেমেন্ট ফাইবারের ড্যাশবোর্ডে জমা হবে এবং সেখান থেকে আপনি সরাসরি পেয়েওনিয়ার এর মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে অথবা বিকাশের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনি ইউটিউবে অসংখ্য ভিডিও পাবেন, সেখান থেকে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন।
২. আপওয়ার্ক: আপওয়ার্ক হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং জগতের জনপ্রিয় আরো একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে সাধারণত এডভান্স লেভেলের ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে। আপনি যদি ভালো কাজ জানেন তাহলে এই ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারেন।
ফাইবারের মতো আপওয়ার্ককেও প্রায় একই সিস্টেমে কাজ হয়। ফাইবারে যেমন গিগ তৈরি করতে হয়, ঠিক তেমনি আপনারকে বিট করতে হয়। এখানকার টাকাও আপনি বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে নিয়ে আসতে পারবেন।
৩. পিপল পার আওয়ার: ফ্রিল্যান্সিং জগতে আরো একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে পিপলপার আওয়ার। আপনি যদি বিগেনার লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য। তবে এখানে অনেক এডভান্স লেভেলের ফ্রিল্যান্সাররাও কাজ করে।
আপওয়ার্ক এবং ফাইবার এর তুলনায় ফ্রিল্যান্সাররা সবচেয়ে বেশি পিপল পার আওয়ার ওয়েবসাইটটিতে কাজ পেয়ে থাকে। তাই এটি আপনি ট্রাই করতে পারেন। এখানকার পেমেন্ট ও আপনি বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে নিয়ে আসতে পারবেন।
৪. কাজখুঁজি: কাজখুঁজি হলো বাংলাদেশি একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটিতে আপনি আপনার কাজ অনুযায়ী গিগ তৈরি করে কাজ পেতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করলে আপনি উপরের তিনটি ওয়েবসাইটের তুলনায় পেমেন্ট একটু কম পাবেন। তবে এখানকার পেমেন্ট সিস্টেম স্পেশালি বাংলাদেশীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের যত ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম রয়েছে প্রায় সবগুলো পেমেন্ট সিস্টেম এই ওয়েবসাইটটি সাপোর্ট করে। তাই এই ওয়েবসাইটটিতে কাজ করে দেখতে পারেন।
৫. গুরু ডট কম: বাংলাদেশীদের জন্য আরেকটি ফিন্যান্সিং ওয়েবসাইট হল গুরু ডট কম। এই ওয়েবসাইটটিতে মূলত ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে। একটি বড় সুবিধা হচ্ছে ক্লাইন্ট চাইলে একাধিক কাজের জন্য একজনকেই হায়ার করতে পারবে।
আপনি যদি বিগেনার লেভেলের ফ্রিল্যান্সার হন তাহলে এই ওয়েবসাইটটি আপনার জন্য পারফেক্ট। এই ওয়েবসাইটের টাকাও আপনি সরাসরি চাইলে ব্যাংকের আনতে পারবেন।
বন্ধুরা আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আমি শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে কাজ করা সহজ এবং বিশ্বস্ত কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানিয়েছে। এসব ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ করে। আপনি চাইলে এখানে কাজ করতে পারেন।
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের কাজে আসবে। কোন প্রয়োজনে আমার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন এবং আমার ফেসবুক পেজটি ফলো করে রাখতে পারেন। সেখানে আমি টেকনোলজি রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
10 thoughts on "বাংলাদেশের জন্য সেরা কিছু ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট"