- আসসালামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।
আমরা সমাজে বসবাস করি, সকল শ্রেনির লোক এই সমাজে বসবাস করে। অনেক লোক আছে যাদের সবাই ভালবাসে এবং মূল্যায়ন করে। আবার এমন কিছু লোক আছে যাদের কেউ ভালবাসে না এবং দেখতে পারে না। কিছু কিছু অভ্যাস রয়েছে, যে অভ্যাস গুলো থাকলে আপনাকে সকলেই ভালোবাসবে সম্মান করবে এবং মূল্যায়ন করবে। আসলে ভালো মানুষকে সবাই দেখতে পায়, যার ব্যবহার ভালো ভাল চরিত্রের অধিকার তাকে সকলে ভালবাসে।
আজকে আপনাদের জানাব, যে যে অভ্যাস আপনার মাঝে থাকলে সবাই আপনাকে ভালবাসবে ও মূল্যায়ন করবে। আশা করি সম্পন্ন আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
১) সালাম দেওয়াঃ-
সালাম দেওয়া অভ্যাস আসলে অনেক অনেক ভাল একটি গুন। রাস্তাঘাটে কারো সাথে দেখা হলে সকল মুসলমান এর উচিৎ সালাম দেওয়া। অনেক ছেলে আছে যারা স্যারকে দেখলে সালাম দেয় না,আসলে এটা করা ঠিক না। আপনি হয়তো অনেক ধনী,বা উচ্চ কোনো লোক। কিন্তু আপনি যদি রাস্তায় কোনো ছোট লেভেলের লোক কে সালাম দেন, তাহলে তার মনে আপনার প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি হবে। আপনাকে অবস্যই সে মূল্যায়ন করবে। আপনি হয়ত অনেক বড়লোক,কিন্তু রাস্তায় রিকসাওয়ালাকে সালাম দিন,দেখবেন সে রিকসাওয়ালা বার বার ভাববে আমাকে এত বড় লোক সালাম দিল, এটা ভেবে আপনার প্রতি অন্য রকম একটা ভালবাসা সৃষ্টি হয়ে যাবে। আমরা যারা ছাত্র আছি, আমরা অনেক সময় আমাদের বন্ধুদের বাসায় ঘুরতে যাই, কিন্তু আমরা আমাদের বন্ধুর মা-বাবাকে সালাম দিই না। আপনি যখন আপনার বন্ধুর বাসায় যাবেন,আপনার বন্ধুর মা-বাবাকে সালাম দিবেন,দেখবেন আপনার বন্ধুর মা-বাবার আপনার প্রতি অন্য রকম একটা ভালবাসা সৃষ্টি হয়ে যাবে। আপনি হয়তো বয়সে ছোট লোকদের সালাম দিতে সংকোচ করছেন,কিন্তু এতে ভাল্পবাসা অনেক বেড়ে যায়। অফিস, বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেকোন জায়গায় কোনো মুসলমান লোকদের সাথে দেখা হলে সালাম দিবেন। এতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসার মূল্যায়ন বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে আপনার থেকে যার যোগ্যতা কম, তাকে যদি আপনি সালাম দেন দেখবেন সে আপনাকে অনেক অনেক মূল্যায়ন করবে। আপনি যদি কোন মানুষ থেকে মূল্যায়ন পেতে চান।ভালোবাসা পেতে চান,তাহলে সালাম দিবেন দেখা হলেই। অনেক শিক্ষার্থী আছে স্যারদের দেখলে ভয়ে অন্যদিকে ঘুরে থাকে, এটা করা আসলে ঠিক না। স্যারদের দেখলে সালাম দেওয়া উচিৎ, এবং কেমন আছে এমন খোঁজখবর নেওয়া উচিৎ। সালাম দিলে মান কমে না বরং মান বেড়ে যায়।আপনি যদি কারো থেকে ভালোবাসা পেতে চান এবং মূল্যায়ন পেতে চান, তাহলে তার সাথে দেখা হলে অবশ্যই সালাম দেবেন।
২) মূল্যায়ন করাঃ-
আপনি যে কাউকে মূল্যায়ন করেন তাহলে সেও আপনাকে অনেক বেশি মূল্যায়ন করবে। কেউ কোন কথা বললে বা কোনো সিদ্ধান্তের কথা বললে আপনি সেটাকে বেশি মূল্যায়ন করবেন। হয়তো আপনি তাকে পরে বুঝিয়ে বলবেন কিন্তু, যখন কেউ কোন কথা বলবে তখন সে কথার মূল্যায়ন রাখবেন। আপনি হয়তো কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কেউ আপনার কোন পরামর্শ দিল, আপনি সে পরামর্শ ভেবেচিন্তে দেখবেন। কিন্তু তার আগে যে আপনাকে পরামর্শ দিল তার কথার মূল্য রাখবেন। এতে আপনাকে সবাই ভালবাসবে এবং সম্মান করবে। এই সমাজে আমরা সকল শ্রেণীর লোক একসাথে মিলেমিশে বসবাস করি। আমাদের উচিৎ সকলের কথার মূল্যায়ন করা। অনেক লোক আছে, সে যেটা উদ্যোগ নিবে সেটাই করবে। কারো কথায় কান রাখবে না,এমন করা আসলে ঠিক না। আমরা যে সমাজে বসবাস করি, অনেক সময় এ সমাজে সকলে মিলে কর্মকান্ড করতে হয়। এতে লোকজন একসাথে বসতে হয়, সকলের মতামত নিয়ে সকলের মতামতের মূল্যায়ন করে কাজ করতে হবে। আপনি যদি সকলকে মূল্যায়ন করেন, তাহলে সকলে আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসবে এবং সকলেই আপনাকে সম্মান করবে।আপনি যদি সনাজে সকলে ভালোবাসা অর্জন করতে পারেন, দেখবেন সকলে আপনাকে সম্মান করবে এবং বেশি মূল্যায়ন করবে। তাই আমাদের উচিৎ সকলের ভালবাসা ও মূল্যায়ন পেতে হলে সকলের মতকে মূল্যায়ন করা।
৩) রাগ না করাঃ-
রাগ জিনিসটা আসলে অনেক বেশি খারাপ জিনিস। রাগ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। আমাদের যে যত আঘাট করুক,আমাদের রাগ কখনো করা যাবে না। কোনো মানুষ যদি আপনার বিরিদ্ধে কোনো কাজ করে,মাথা গরম না করে সুস্থ মাথায় বুঝাবেন,দেখবে আপনার প্রতি তার অন্য রকম সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে গেছে। মানুষের ভালোবাসা মূল্যায়ন পেতে হলে কখনো আপনাকে রাগ করা যাবে না। কোন ব্যক্তি যদি রাগ করার মত কাজ করে, তবুও আপনাকে কন্ট্রোল করতে হবে রাগ করা যাবে না। তখন দেখবেন সে ব্যক্তি নিজেও হুতাশ হয়ে যাবে। আপনি মানুষের ভালবাসা পেতে চাইলে রাগ আপনার মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। তাহলে দেখবেন যেকোন ব্যাক্তির মনোভাব পাল্টে যাবে,কারন, আপনাকে হাজার বার আঘাত করা সত্তেও আপনি রাগ করছেন না। আপনি চেস্টা করবেন রাগ হলে, মাটির দিকে তাকানো তাহলে আপনার রাগটা ভেঙে যাবে। মানুষ সমাজে বসবাস করতে গেলে একটু মনমালিন্য হবেই,এজন্য রাগ করে বসে থাকলে চলবে না। মানুষ মাত্রই ভুল,এজন্য উচিৎ কেউ ভুল করলে মনে কস্ট না পেয়ে রাগ না করে তাকে বুঝানো। এতে সে হতবাক হয়ে যাবে, আপনাকে এত আঘাট করার পর রাগ করছেন না। মানুষের ভালবাসা পেতে হলে কেউ আপনার বিরুদ্ধে কোনো কাজ করলে রাগ করা যাবে না কখনো।
৪) হাসিমুখে কথা বলাঃ-
আমাদের উচিৎ সকলের সাথে হাসিমুখে কথা বলা। কারন এটি একটি মহৎ গুন। আপনি যদি কোনো লোকের সাথে সব সময় হাসিমুখে কথা বলেন আপনাকে সকলে ভালবাসবে। আপনাকে যদি কেউ কখনো খারাপ কথা বলে, এবং হেয় করে তবুও আপনি তার সাথে হাসিমুখে কথা বলবেন। দেখবেন সে এক সময় আপনাকে বুঝতে পারবে। বিনা কারনে হয়তো আপনাকে কেউ সন্দেহ করছে বা দেখতে পারছে না,দরকার নেই ঝগড়া করার। আপনি হাসিমুখে তাকে বুঝান, যে আপনি খারাপ কাজ করেন নি। হয়ত সে বুঝবে না কিন্তু পরে ঠিকই সে অনুভব করতে পারবে যে আপনার কথাই ঠিক। আপনাকে কেউ গালি দিলেও আপনি তার সাথে কখনো কড়ামুখে কথা বলবেন না,তার সাথে হাসিমুখে কথা বলবেন। আপনি যদি সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলেন, দেখবেন এমন একটা সময় আসবে আপনাকে সকলে ভালবাসবে এবং মূল্যায়ন করবে।
৫) অন্যের বিপদে এগিয়ে আসাঃ-
আপনি কখনো বসে থাকবেন না, যখন অন্য কারো কোনো বিপদ আসবে আপনি এগিয়ে যাবেন। যে কোন বিপদে যেন আপনাকে লোকজন পাশে পায়, যদি আপনি সবার বিপদে এগিয়ে আসেন বা পাশে থাকেন। তাহলে সবাই আপনাকে ভালবাসবে। অনেক লোক আছে আমাদের সমাজে যদি আপনি সে সকল লোকদের একটু উপকার করেন বা সহায়তা করেন সকলে আপনাকে ভালবাসবে। অনেক সময় দেখা যায় বৃদ্ধ লোক রাস্তা পার হতে পারে না আপনি তাকে রাস্তা পার হতে সাহায্য করলেন। আবার অনেক লোক পড়ে আছে আপনার সামথ্য অনুযায়ী তাকে খাবার দিলেন। এরকম হাজার হাজার আছে, যেটা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের উচিৎ অন্য লোকের বিপদ দেখে বসে না থাকা। অন্যোর বিপদে আমরা যদি এগিয়া আসি,তাহলে সকল লোক আমাদের ভালবাসবে।
আমরা যদি এই কয়েকটি ধাপ অনুযায়ী চলার চেস্টা করি,দেখব আমাদের সমাজে সকলে আমাদের ভালবাসবে এবং আমাদের মূল্যায়ন করবে। এই পয়েন্ট গুলো ছাড়া আরো কিছু কর্তব্য আছে সে গুলো আমরা যদি মেনে চলি, দেখব সকলে আমাদের মূল্যায়ন করবে ও ভালবাসবে। আশা করি আমরা এই সকল মেনে চলব ও সকলকে মেনে চলার জন্য বলবো। তাহলে আমাদের সমাজে থাকবে না কোনো হিংসা থাকবে না অহংকার। এবং কোনো ঝগড়া হবে না। আমাদের সমাজ হবে সুন্দর।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ-
- ধন্যবাদ।
ইনশাআল্লাহ ?