শুনুন; আপনি বলেছিলেন,
রমাদান হতে সময়মত পাঁচ ওয়াক্তের সালাত পড়বেন- এই সেই রমাদান।

শুনুন; আপনি বলেছিলেন, এই সেই রমাদান।



রমাদান হতে শুরু করবেন প্রতিদিন কুরআন তিলাওয়াতের জার্নি-এই সেই রমাদান।
রমাদান হতে সমস্ত হারাম জিনিস দেখা ও মিউজিকসহ হারাম সব কিছু শোনা ছেড়ে দিবেন-এই সেই রমাদান।
রমাদান হতেই আর কোনো বাজে কথা, গালিগালাজ, গীবত, পরনিন্দা করবেন না-এই সেই রমাদান। 
বলেছিলেন, রমাদানে গুনাহ ছেড়ে দিয়ে ইবাদত আর আমলে নিজের আমলনামা পূর্ণ করবেন-এই সেই রমাদান। 
আপনি নিজের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন যে, “সামনের রমাদানে ভালো হয়ে যাবো”- দেখুন এই সেই রমাদান। 
আর মাত্র কয়েকটি ঘন্টা এরপরই আগমন হবে আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের দেয়া অফুরন্ত নিয়ামতের মাস, পবিত্র রমাদান। যার ছোঁয়ায় বিশুদ্ধ হয়ে ওঠে সহস্র কোটি পাপী অন্তর। 
অলসতা করবেন না। নফসের সামান্যতম ধোঁকায় পড়বেন না। “কাল থেকে ভালো হয়ে যাবো” আর বলবেন না। কারণ রমাদানের যেকোনো একটি দিন যদি আপনি হারিয়ে ফেলেন তাহলে তা আর ফিরে পাবেন না। ‘কাল’ আপনার নসীবে নাও আসতে পারে। 
আবু মুসলিম আল খাওলানি ছিলেন তাবেয়ীনদের একজন, সাহাবিদের পরের প্রজন্ম। রাসূলুল্লাহকে ﷺ দেখার জন্য তিনি খুব আকুল ছিলেন। তিনি যখন রাসূলুল্লাহকে ﷺ দেখার জন্য ইয়েমেন থেকে মদীনার দিকে গেলেন, সেখানে পৌছাঁনোর আগেই রাসূলুল্লাহ র ﷺ ইন্তেকাল হয়ে গেল। অল্পের জন্য তিনি সাহাবি হতে পারলেন না। সাহাবি হতে না পারার দুঃখে তিনি সাহাবিদের বলে ওঠেন, “আপনারা মনে করেছেন আমাদের হারিয়ে দেবেন? আল্লাহর কসম! আমরা আপনাদের সাথে প্রতিযোগিতা করব এবং আপনাদের পরাজিত করব।” খুব শক্তিশালী কিছু কথা। আমাদেরও এমন মানসিকতা থাকা উচিত। যদি আমরা তাঁদের পর্যায়ে পৌঁছাতে চাই, জান্নাতে তাঁদের প্রতিবেশী হতে চাই-তবে আমাদের উচিত সালাফদের সাথে প্রতিযোগিতা করা।(১)
অবাক করা বিষয় হচ্ছে, দুনিয়াবি বিষয়ে আপনি নিজেকে বেশ স্ট্রং ভাবেন, যতধরণের প্রেশার আছে তা নিয়েই দুনিয়াবি লক্ষ্যের দিকে সবার সাথে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগুতে থাকেন। অথচ সেই আপনিই রমাদানের ইবাদতে, আল্লাহর সান্নিধ্যে অগ্রগামী হওয়ার ক্ষেত্রে হয়ে যান সবচাইতে দূর্বল ব্যক্তি!
অতএব উঠুন, তাওবাহ করুন। আপনার ঈমান দূর্বল হোক বা সবল, আপনি ভালো মুসলিম হোন বা খারাপ মুসলিম রবের সামনে নিজের অন্তরটা নিয়ে দাঁড়ান। ফরিয়াদ করুন, মাফ চান, সাহায্য চান। রমাদানের মূল্যবান সুযোগগুলো অবহেলা করবেন না। আপনার, আমার, আমাদের সবার ভালো হয়ে যাওয়ার প্রতীক্ষিত রমাদান আমাদের সামনেই। মনে রাখবেন, ভালো হয়ে যাওয়ার এই সুযোগ পরবর্তীতে আপনি নাও পেতে পারেন। 
তথ্যসূত্রঃ 
১। ধূলিমলিন উপহার রামাদান, পৃষ্ঠা: ৫৫

সব সময় ইসলামিক পোস্ট পেতে বিজিট করুন ইসলামিক সাইট 





3 thoughts on "শুনুন; আপনি বলেছিলেন, এই সেই রমাদান।"

  1. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    বেশ ভালো লাগলো
    1. M.Rubel Author Post Creator says:
      শুকরিয়া ভাইজান বিশেষ করে অনুরোধ রইল ইসলামিক পোস্টগুলোতে কমেন্ট করবেন
    2. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
      জ্বি অবশ্যই

Leave a Reply