স্মার্টফোন জনপ্রিয় হওয়ার দুটি কারণের একটি ছবি তোলা এবং দ্বিতীয়টি ইন্টারনেট ব্যবহার। ভালো ছবির জন্য এখন ডিজিটাল ক্যামেরার বদলে ফোনের ক্যামেরার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আর এর অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যা ছবি তোলা, সম্পাদন এবং আপলোডের কাজকে করেছে খুবই সহজ।

১. ভিএসসিও ক্যাম
ছবি সম্পাদনা এবং ফিল্টার করার কাজে দারুণ উপকারী এই অ্যাপ। মূলত ক্যামেরা অ্যাপ হিসেবেই এটি জনপ্রিয়। আইওএস এবং অ্যানড্রয়েড দুই অপারেটিং সিস্টেমেই পাওয়া যায় অ্যাপটি।

২. ইনস্টাগ্রাম
ছবি আপলোডের জন্য এখন ইনস্টাগ্রাম অ্যাপের জনপ্রিয়তার কথা আর বাড়িয়ে বলতে হয় না। ইনস্টাগ্রাম অ্যাপ ছাড়া ছবি আপলোড করা বা সম্পাদনা করার কথা অনেকে ভাবতেই পারেন না। স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির একটা বড় জায়গা দখল করে আছে ইনস্টাগ্রাম।

৩. ওভার
স্মার্টফোনে তোলা ছবিতে টেক্সট বা আর্টওয়ার্ক যোগ করার কাজে সহযোগিতা করে এই অ্যাপ। কারণ টেক্সট লেখার জন্য এই অ্যাপটিতে অসংখ্য ফন্ট। বিশেষ বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানাতে এবং নতুন আর্টওয়ার্ক তৈরিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ওভার অ্যাপ্লিকেশনটি।

৪. গুগল ক্যামেরা

গুগলের ডেভেলপাররা অনেক ঘেটে তৈরি করেছেন এই অ্যানড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন। গুগল ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার পর আর আপগ্রেড করতে হয় না। অ্যানড্রয়েড ৪.৪ থেকে পরের সব অপারেটিং সিস্টেমেই চলে গুগল ক্যামেরা অ্যাপটি।

৫. ক্যামেরা প্লাস
আইফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফটোগ্রাফি অ্যাপ ক্যামেরা প্লাস। আইওএস অপারেটিংয়ের সব ডিভাইসেই এটি ব্যবহৃত হয়। এই অ্যাপকে বলা হয় ‘ওয়ান স্টপ শপ’। ছবি তোলা, সম্পাদনা এবং আপলোড সবই করা যাবে এই একটি অ্যাপ দিয়ে।

৬. পিক্সলার
অটোডেস্কের তৈরি পিক্সলার অ্যাপটি বিভিন্ন কোলাজ তৈরি, ছবির অনুপাত ঠিক করা, শেয়ার করা এবং ছবি তোলা ও আপলোডের সব কাজই সাড়া যায় এই অ্যাপটি দিয়ে। দারুণ আকর্ষণীয় ইন্টারফেস থাকায় ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপের অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে পেন্সিল স্কেচ এফেক্ট, অটো ব্যালেন্স এবং কালার স্প্ল্যাশ।

৭. পিক্সেলম্যাটর
ছবি সম্পাদনার জন্য খুবই শক্তিশালী এই অ্যাপ। কম রেজ্যুলেশনের ছবিকে হাই রেজ্যুলেশনের করে তোলা যায় এই অ্যাপ ব্যবহার করে।

৮. প্রোশট
প্রোফেশনাল ক্যামেরার অনেক সুবিধাই ব্যবহার করা যাবে প্রোশট অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে। আইওএস এবং অ্যানড্রয়েড দুটো ভার্সনেই অ্যাপটি পাওয়া যায়। কিনতে টাকা খরচ হলেও এর একটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ রয়েছে যা ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

৯. স্ন্যাপসিড
গুগলের মতোই আরেকটি প্রোফেশনাল ফটো এডিটিং অ্যাপ স্ন্যাপসিড। ছবিতে বিভিন্ন এফেক্ট ব্যবহারে এর জুড়ি নেই।

১০. লুমি
ছবি তোলার জন্য আলোর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই অ্যাপ যেকোনো ছবি তোলার সময় আলোটা নিজে থেকেই ঠিকঠাক করে নেয়। ফলে লুমি অ্যাপ ব্যবহার করে ছবি তুললে ভালো ছবি তোলার জন্য বাহবা পেতেই পারেন ব্যবহারকারীরা।

কেউ কিছু মনে করবেন না link টা দিতে পারলাম না কারন বেশি link দিলে আমার post pending থাকবে। একজন tuner জন্য এটা অসম্মানের। play store সব পাবেন।

One thought on "ক্যামেরা ও ফটোগ্রাফির শ্রেষ্ঠ ১০ অ্যাপ"

  1. Neel Aronno Contributor says:
    nice post…!!!!

Leave a Reply