ছোট্ট ঘটনাগুলোই জীবনকে সৃষ্টি করে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই সৃষ্টিকর্তার মূল্যবান উপহার। এই উপহারকে ধরে রাখার জন্য আপনি কতটুকু করছেন?

প্রতিদিন আমরা অসংখ্য ঘটনার সম্মুখিন হই। কিছু ঘটনা আমাদের হাসায়, কিছু কাঁদায়। আবার কিছু উন্মোচন করে জীবনের নতুন অর্থ।

এই ঘটনাগুলোকে ধরে রাখার জন্য অনেকেই ডাইরি লিখতে শুরু করেন। ডাইরি সৃষ্টার উপহারকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শেখায়। এটি শুধু মানুষের স্মৃতিকেই ধরে রাখে না, ধরে রাখে জীবনের কিছু অংশকে যেগুলো হয়ত কোনো এক সময় পরিনত হবে অমূল্য সম্পদে।

কাগজ-কলমের যুগ ফুরিয়েছে অনেক আগেই। ডাইরি এখন স্থান করে নিয়েছে কম্পিউটার, ট্যাব ও স্মার্টফোনে। ডিজিটাল জার্নাল যেমন দিচ্ছে আজীবন নিরাপত্তার সুযোগ তেমনি ডাইরি লেখার আনন্দকে নিয়ে গিয়েছে অন্য এক মাত্রায়। তবে হ্যা, এখনও কিছু মানুষ স্ক্রিনের বদলে কাগজের মধ্যেই ডাইরি লিখতে পছন্দ করে।

ডাইরিকে কেন্দ্র করেই আমার এই পোস্ট। পোস্টে বলব ডাইরি লেখা, লেখার প্রয়োজনীয়তা, ডিজিটাল জার্নাল আর এক অসাধারন জার্নাল এপ সম্পর্কে। পাশাপাশি থাকছে আমার সাড়ে চার বছরের ডাইরি লেখার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু কথা।

কেন ডাইরি লিখব?

লেখার অন্যতম উদ্দেশ্য হল জানানো। যেমন ট্রিকবিডিতে আমি এই পোস্টটি লিখছি আপনার ও আপনার মত কিছু পাঠককে ডাইরি সম্পর্কে জানানোর জন্য। ডাইরি একটি ব্যক্তিগত বিষয়, এটা সাধারনত অন্যের সাথে শেয়ার করা হয় না। অর্থাৎ লিখিত ডাইরির কোনো পাঠক নেই। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে- ডাইরি কেন লিখব?

সত্যি বলতে সবসময় যে অন্যের জন্যই লিখতে হবে এমন কোনো কথা নেই। নিজের জন্য কিছু লিখারও প্রয়োজন আছে। অনেক অসাধারন লেখক তাদের লেখার ক্যারিয়ার শুরু করেছেন নিজের জন্য লিখে। নিজের জন্য লেখার অর্থ এমন কিছু লেখা যা আপনাকে আপনি কে – তা বুঝতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে জানতে পারবেন, নিজের নতুন দিকগুলো সম্পর্কে অবগত হবেন। পাশাপাশি নিজেকে আরো কর্মঠ করার জন্য অনুপ্রাণিত হবেন।

এছাড়াও ডাইরি একটি টাইম মেশিন। আর টাইম মেশিনে চড়ার ইচ্ছা কার নেই বলুন? ডাইরির পাতা খুললেই আপনি টাইম মেশিনে চড়ে চলে যেতে পারবেন কয়েক বছর আগে। উপভোগ করতে পারবেন ফেলে আসা পুরোনো দিনগুলোর স্মৃতি। ধরতে পারবেন সময়ের পার্থক্য।

ডাইরি হতে পারে সেল্ফ ইমপ্রুভমেন্টের একটি মাধ্যম। এর মাধ্যমে আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে পারবেন, ঠিক করতে পারবেন নিজের লক্ষ্য। এটি হতে পারে আপনার গল্প করার সঙ্গি যার সাথে কথা বলতে পারবেন ঘন্টার পর ঘন্টা বিনা সংকোচে।

ডাইরি লেখার কিছু সুবিধা:

  • নিজেকে জানতে পারবেন।
  • নিজের নতুন স্কিল আবিস্কার করতে পারবেন যা ব্যবহার করে সফলতার দিকে আরো দ্রুত এগোতে পারবেন।
  • অবসর সময়ে সৃজনশীলতা চর্চার সুযোগ দেয় ডাইরি।
  • স্মৃতিকে ধরে রাখা সম্ভব ডাইরির মাধ্যমে।
  • যখন ইচ্ছে ডাইরি নামের টাইম মেশিনে চড়ে বসুন আর হারিয়ে যান পুরোনো দিনগুলোতে।
  • প্রতিদিনের কাজগুলোকে আরো বেশি দক্ষতার সাথে সমাপ্ত করতে পারবেন।
  • নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে পারবেন।
  • আশেপাশের মানুষগুলোকে আরো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
  • জীবনে নিজের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

ডিজিটাল ও কাগজ-কলমে ডাইরি

কাগজের মধ্যে নিজের স্মৃতিকে ধরে রাখার প্রবনতা নতুন কিছু নয়। তবে কাগজ ছেড়ে যখন স্মার্ট স্ক্রিনগুলোতে মানুষ লিখতে শুরু করল, অনেক কিছুর সাথে ডাইরি লেখার প্রক্রিয়াটাতেও আসলো এক বিরাট পরিবর্তন।

অনলাইনে প্রচুর ওয়েব সাইট আছে যেগুলো ডাইরি লেখার সুযোগ দিয়ে থাকে। সেগুলোর বেশির ভাগই ফ্রি। আপনি আপনার ই-মেইলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেই লিখতে শুরু করতে পারবেন। আপনার লেখাগুলো ক্লাউডে সেভ হয়ে থাকবে ও চাইলে যেকোনো সময় যেকোনো ডিভাইস থেকে আপনি সেগুলো পড়তে পারবেন।

নিচে কিছু অনলাইনভিত্তিক ডাইরির লিংক দেওয়া হল:

এছাড়াও আছে বিভিন্ন স্মার্টফোন এপ। এপের মাধ্যমে ডাইরি লেখাটা এখন বেশ জনপ্রিয়। এপগুলো বেশির ভাগই অফলাইন ফিচার সমৃদ্ধ। ফলে ইন্সটল করার পরই আপনি আপনার স্মার্টফোনে লিখতে শুরু করতে পারবেন। কিছু কিছু এপ আবার অনলাইন ব্যাক-আপ, প্রিন্টিং, পাসওয়ার্ডের মত সুবিধা দিয়ে থাকে।

জনপ্রিয় কিছু জার্নাল এপ নিচের লিংকগুলো থেকে পেতে পারেন:

অনেকে আবার কাগজে লিখতেই বেশি পছন্দ করেন। আসলে কাগজে লেখার মধ্যে আলাদা এক প্রকার আনন্দ আছে যা স্মার্টফোন বা কম্পিউটার দিতে পারবে না। প্রথম দিকে প্রায় এক বছর আমি কাগজেই নিজের ডাইরি লিখেছি।

কাগজে লেখার একটি অসুবিধা হল এটি কোনো নিরাপত্তা দিতে পারে না। আপনার ডাইরি যেকোনো মুহূর্তে যে কেউ পড়ে ফেলতে পারে। আরেকটা অসুবিধা হল হারিয়ে যাওয়া। যেমন আমি প্রথম বছর তিনটা ডাইরি লিখেছিলাম যার একটি মাত্র এখন অবশিষ্ট আছে। বাকি দুটো যেন আমার রুম থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য এই দুইটি সমস্যা কিন্তু ডিজিটাল জার্নালে হয় না। প্রায় প্রতিটি ডাইরি সার্ভিসে আপনি নিজের ডাইরিকে পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সুরক্ষিত করতে পারছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার ডাইরি ক্লাউডে কোনো সেফ স্টোরেজে রাখা হয়। যার ফলে যদি কখনও আপনার ফোন হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যায় তবুও আপনার ডাইরি নিরাপদে থাকবে।

তবে হ্যা, ডাইরি যেহেতু অনলাইনে থাকছে তাই ডিজিটাল ডাইরির ক্ষেত্রে হ্যাকিং এর ভয় থেকেই যায়। তবে কঠিন পাসওয়ার্ড এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই সমস্যার মোকাবেলা করতে পারবেন।

আমি কোনটা বাছাই করব?
এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ না হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডিজিটাল জার্নাল আপনার জন্য নয়। যদি আপনি লেখার চেয়ে টাইপ করতে বেশি পছন্দ করেন তা হলে কাগজের চেয়ে স্ক্রিনে ডাইরি লেখাটাই আপনার জন্য বেশি ভালো হবে।

ডাইরিতে কি এবং কিভাবে লিখব?

আপনার ডাইরি সম্পূর্ণ আপনার। আপনি আপনার ডাইরিতে কি লিখবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। তবুও হঠাৎ করে ডাইরি লেখা শুরু করলে লিখাটা একটু কষ্টের হয়ে যেতে পারে। কি লিখব, কিভাবে লিখব ইত্যাদি ভাবতে ভাবতেই অনুপ্রেরণা যতটুকু আছে সব শেষ হয়ে যায়। তাই এখানে আমি এই বিষয়ে দুই একটা কথা বলছি।

ডাইরিতে আপনি অবশ্যই নিজের সম্পর্কে লিখবেন। আপনি কে, আপনার কিছু স্মৃতি, আপনার লক্ষ্য ইত্যাদি হতে পারে আপনার লেখার বিষয়। আজকের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং এটিকে কেন্দ্র করে থাকা মানুষগুলো সম্পর্কে লিখতে পারেন।

ডাইরিতে একমাত্র আপনার সম্পর্কে লেখা থাকবে এমন কোনো কথা নেই। সেখানে থাকতে পারে আপনার প্রিয় মানুষটা সম্পর্কে কিছু কথা, আপনার পরিবার ও বন্ধুদের কথা।

প্যারাগ্রাফ আকারে ছোট ছোট এন্ট্রি তৈরী করার মাধ্যমে ডাইরি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। চাইলে লিখতে পারেন লিস্ট আকারেও। যদি কবিতা ভালোবেসে থাকেন তাহলে লিখতে পারেন কবিতা আকারে (চিন্তা করবেন না, এখানে কেউ আপনার কবিতার সাহিত্যগুণ সম্পর্কে মন্তব্য করবে না)।

ডিজিটাল জার্নালের একটি সুবিধা হল ট্যাগিং ফিচার। যার অর্থ আপনি আপনার ডাইরির বিভিন্ন এট্রিকে ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রাখতে পারেন। আরো একটা সুবিধা হল রিমাইন্ডার যার মাধ্যমে আপনার লেখার অভ্যাসটা ধরে রাখতে পারবেন। ফিচারগুলোর সঠিক ব্যবহার আপনার ডাইরি লেখার অভিজ্ঞতাকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাবে।

ডাইরির প্রথম এন্ট্রি
ডাইরির প্রথম এন্ট্রি খুবই স্পেশাল, এটা আলাদাভাবে বলে দেওয়ার দরকার নেই। যেটা বলা দরকার সেটা হল এই এন্ট্রিটা অনেক গুরুত্বপূর্ণও বটে। আপনি ডাইরি লেখার অভ্যাস ধরে রাখতে পারবেন কি না সেটা এই এন্ট্রির ওপরই নির্ভর করে।

প্রথম এন্ট্রিতে লিখতে পারেন নিজের পরিচয়। এটা একটা সহজ কাজ, কেননা ছোটবেলায় আমরা সবাই-ই মাইসেলফ প্যারাগ্রাফ লিখেছি। আরো লিখতে পারেন কেন আপনি ডাইরি লিখছেন আর কিভাবে এই অভ্যাসটা ধরে রাখবেন। সহজ ভাষায় নিজের মত করে লিখুন। বানান ভুল হওয়া বা গ্রামার না মানার জন্য কেউ আপনাকে শাস্তি দিবে না।

Journey: মিনিমালিস্ট ডাইরি এপ

আড়াই বছর ডায়রো ব্যবহার করার পর আমি ফোনে জার্নি এপ ইন্সটল করি। আর প্রথম দিন থেকেই এই এপটির ভক্ত হয়ে যাই। একটি আধুনিক ডাইরিতে যা যা থাকা দরকার জার্নিতে সেসব কিছুই থাকছে। সাথে আরো থাকছে বাড়তি কিছু আকর্ষণ।

জার্নি এপের ইন্টারফেস অত্যন্ত ক্লিন এবং আকর্ষণীয়। এতে অতিরিক্ত কোনো ফিচার এড না করে যথাসম্ভব মিনিমাল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে আপনি পূর্ণ মনোযোগের সাথে ডাইরি লিখতে পারবেন।

এবার এর উল্লেখযোগ্য ফিচারগুলো এক নজরে দেখে আসা যাক।

অসাধারন ডিজাইন

জার্নিতে প্রথমবার প্রবেশ করার পরই এটির ডিজাইন আপনাকে মুগ্ধ করবে। এতে আছে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি টেক্সট ইডিটর যার মাধ্যমে আপনি ছোট্ট থেকে কয়েক হাজারের বিশাল এন্ট্রি তৈরী করতে পারবেন খুব সহজেই। এন্ট্রির লিস্টিং সত্যিই খুব চমৎকার। চাইলে প্রিয় এন্ট্রিগুলোকে স্টার দিয়ে আলাদা করে রাখতে পারবেন। যেকোনো মুহূর্তে পড়তে পারবেন আপনার পুরোনো দিনের স্মৃতিগুলো।

সার্চ, ট্যাগিং, ক্যালেন্ডার, ম্যাপ

যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো লেখাকে আপনি কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে পারবেন এর সার্চ ফিচারের মাধ্যমে। চিন্তা করবেন না, জার্নি বাংলা ভাষায় সার্চিং সাপোর্ট করে। ট্যাগিং ফিচার আপনার এন্ট্রিগুলোকে ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রাখতে সাহায্য করবে। জানতে চান আপনি কোনদিন কি লিখেছেন? ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে আপনি যেকোনো দিনের লেখাকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও ম্যাপের মাধ্যমে স্থানভিত্তিকভাবে এন্ট্রিগুলো দেখতে পারবেন।

টুডে ড্যাশবোর্ড ও থ্রোব্যাক (প্রিমিয়াম)

জার্নিতে থাকছে একটি টুডে ড্যাশবোর্ড। সেখান থেকে আপনি জানতে পারবেন বিগত কিছুদিনের আপনার এন্ট্রির সংখ্যা আর মানসিক অবস্থা গ্রাফের মাধ্যমে। সেখানে আরো থাকবে গতবছরগুলোতে এই দিনটাতে লেখা এন্ট্রিগুলো। এছাড়াও আরো আছে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত হওয়া ট্যাগ সমূহ ও আপনার মেম্বার শিপ স্ট্যাটাস।

মিডিয়া

একটি ব্যস্ত দিনের পর লিখতে ক্লান্ত লাগছে? তাহলে লেখার বদলে আপনি যুক্ত করতে পারেন ভয়েস বা ভিডিও ফাইল। পাশাপাশি এন্ট্রিগুলোকে আরো ইন্টারেস্টিং করতে সর্বোচ্চ চারটি ফটো যুক্ত করা সম্ভব।

মার্কডাউন ফিচার ও নাইটমোড (প্রিমিয়াম)

আপনার লেখাকে আরো আকর্ষণীয় করতে পারবেন মার্কডাউনের সাহায্যে। মার্কডাউনিং ফিচার আপনাকে দিবে বোল্ট, ইটালিক টেক্স লেখা ও হেডলাইন যুক্ত করার সুবিধা। রাতে লেখার সুবিধার জন্য থাকছে নাইটমোড।

ব্যাক-আপ ও অনলাইনে প্রকাশ (প্রিমিয়াম)

আপনার স্মৃতি সর্বদাই অমূল্য। তাই জার্নি আপনার স্মৃতিকে রক্ষা করবে শক্তিশালী বিল্ট-ইন ব্যাক-আপ সিস্টেমের সাহায্যে। ফলে আপনার ডাইরি সুরক্ষিত থাকবে অনলাইন অথবা অফলাইনে। চাইলে আপনার লেখা সোস্যাল মিডিয়া বা ব্লগে শেয়ার করতে পারবেন মাত্র এক ক্লিকেই।

ক্লাউড সার্ভিস (মেম্বারশিপ)

ক্লাউড সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি একসাথে অনেক ফিচার পেতে পারেন। যেমন ইমেইলের মাধ্যমে এন্ট্রি লেখা, ইমেইল রিমাইন্ডার, সিনক্ ফিচার ইত্যাদি।

প্রিমিয়াম হ্যাক

জার্নি এপটাকে আপনি তিনভাবে উপভোগ করতে পারবেন। যথা: ফ্রি (সল্প কিছু ফিচারসম্বলিত), প্রিমিয়াম (সকল লোকার ফিচার মাত্র একবার ক্রয়ে) এবং ক্লাউড মেম্বারশিপ (অনলাইনসহ সকল ফিচার প্রতিমাসে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে)।

এপটির ক্র‍্যাক অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলোর বেশিরভাগই নিরাপদ। চাইলে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে লোকাল প্রিমিয়াম ফিচারগুলো উপভোগ করতে পারবেন।

লাকি প্যাচারের মাধ্যমেও ক্র‍্যাক করা সম্ভব। এজন্য এই টিউটোরিয়ালটি দেখতে পারেন।

জার্নি ক্র‍্যাক করা মাত্রই আপনি ফ্রি ও প্রিমিয়াম সকল ক্লাউড সার্ভিস হারাবেন। ফলে চাইলেও এপটি থেকে অনলাইন ব্যাক-আপ বা সিনক্ করতে পারবেন না। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সেটিং অপশন থেকে আপনার সম্পূর্ণ ডাইরিকে প্রথমে অফলাইনে ব্যাক-আপ করে ফেলুন, এরপর ডাউনলোড ফোল্ডার থেকে ব্যাক-আপ (জিপ) ফাইলটি আপনার প্রিয় ক্লাউড সার্ভিস (যেমন ড্রাইভ বা ড্রপবক্সে) আপলোড করে দিন। ফলে আপনার ডাইরি অনলাইনে সুরক্ষিত থাকবে।

তবে মনে রাখবেন কোনো ডেভেলপারের ক্ষতি সাধন আমার কাম্য নয়। তাই সম্ভব হলে প্রিমিয়াম ফিচারগুলো একটু টাকা খরচ করেই আনলক করুন।

স্ক্রিনশট

Journey Android App Review in Bengali

Journey Android App Review in Bengali

 Journey Android App Review in Bengali

Journey Android App Review in Bengali

Journey Android App Review in Bengali

লিংকসমূহ

ডাউনলোড: প্লে স্টোর লিংক | ApkPure | এপেল এপ স্টোর
সাপোর্ট: অফিশিয়াল ওয়েবসাইট | FAQ

উপসংহার

ব্যস্ত দিনগুলোতে আমরা নিজেদের কতটুকুই বা সময় দিতে পারি। বেশিরভাগ সময়ই দিনের শেষে দেখা যায় নিজের জন্য কোনো সময়ই অবশিষ্ট নেই। ডাইরি লেখার মাধ্যমে নিজেকে আলাদাভাবে সময় দেওয়া সম্ভব। নিজেকে জানার জন্য ডাইরি লেখার কোনো বিকল্প নেই। ডাইরি লেখার কাজটাকে আরো সুবিধাজনক করে তুলেছে জার্নির মত অসাধারণ এপগুলো।

বছরখানিক পর ট্রিকবিডিতে পোস্ট করলাম। এই পোস্টটিও আরো তিনটি পোস্টের মত অর্ধেক লেখার পর ঝুলে ছিল। প্রায় এক আড়াই মাস ঝুলে থাকার পর অবশেষে আলসেমি ত্যাগ করে পোস্টটি শেষ করলাম। ট্রিকবিডি নিয়মিত ভিজিট করা হয় ঠিকই তবে লেখাটা আর হয়ে ওঠে না।

ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য। পোস্টটি কেমন লাগল কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। ভালো লাগলে সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে ফেলুন এখনই।




6 thoughts on "ডাইরি লেখার মাধ্যমে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন, সাথে থাকছে প্লে স্টোরের সেরা ডিজিটাল ডাইরি Journey -এর সম্পূর্ণ রিভিউ"

  1. Arus Contributor says:
    গুড পোষ্ট।
  2. Shaon Ahmed Siam Contributor says:
    Congratulations bro aj apnar post ar jonno apps review pelo 5500 post..
  3. md mamun rahman sikder Contributor says:
    Apps reviwe kake bole onno authuor ra deka ucit tnx
  4. Forhad Rahman Author says:
    অসাধারণ পোস্ট।
    অসাধারণ লিখনী।
    নাইস রিভিউ, তবে বোল্ড না করলেও চলত…

Leave a Reply