আসসালামু আলাইকুম, আশা করছি সকলেই মহান আল্লাহর রহমতে ভালো রয়েছেন।আমি আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।আজকে গুগল এডসেন্স নিয়ে অল্প পরিসরে লিখবো।এটা লেখার উদ্দেশ্য বর্তমানে এডসেন্স বেশ ঝামেলা করতেছে।যার ফলে অনেকেই ব্লগিং ছেড়ে দিচ্ছে কিংবা ব্লগিং না করার মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।তাই তাদের জন্য এই আর্টিকেলে আমার স্বল্প জ্ঞানের আলোচনা করবো।অবশ্যই আপনিও কমেন্ট বক্সে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি করে যাবেন, সেই প্রত্যাশাটুকু করতে পারি।আর আপনার মন্তব্যে করা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আমাদেরকে সহায়তা করবেন একটুকু আশা করায় যায়।


গুগল এডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়া কী এখন সহজ?

এর সহজ উত্তর হলোঃ ওয়েবসাইটে এডসেন্স অনুমোদন করা বর্তমান সময়ে কিছুটা কঠিন।বিস্তারিতঃ তবে আপনি যদি শতকরা ১০০ ভাগ অন্যন্য অর্থাৎ ইউনিক আর্টিকেল লিখতে পারেন, আর কন্টেন্ট সংখ্যা ৫০ এর উপরে হয় এবং ১০০০ থেকে ১৫০০ শব্দের বাংলা পোস্ট অথবা ইংরেজির ক্ষেত্রে ৫০০-৮০০ ওয়ার্ডের ৪০ টার মতো ইংরেজি আর্টিকেল হয় আর সাইটটি ইউজার ফ্রেন্ডলী ডিজাইন করা থাকে ও যথেষ্ট এসইও করা হয়, তাহলে অনেকটাই সহজ হবে।তবে প্রতিদিন কিছু অর্গানিক ট্রাফিক ওয়েবসাইটে আনতে হবে।কিন্তু পূর্বে আমরা মাত্র ৩০ টা বা ৩৫ টা অন্যন্য আর্টিকেল লিখেই গুগল এডসেন্স আবেদন করতাম এবং অনুমোদন পেয়ে যেতাম।বর্তমানে সেই সুযোগটি আর থাকছে না।এখন গুগল এডসেন্স লো ভেল্যু কন্টেন্ট দেয় বেশি, আর দুএকবার রিজেক্ট করে থাকলে নিচের স্ক্রিনশট এর মতো কিছুদিন সময় দেয়।যে সময়ের পূর্বে আপনি এডসেন্সে পুনরায় আবেদন করতে পারবেন না।
অর্থাৎ ৪০ বা ৫০টা আর্টিকেল রেডি করা কিছুটা সময়সাপেক্ষ।আবার, যারা কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে না, তাদের একপ্রকার অনেক টাকা ব্যয় করেই আর্টিকেল কিনতে হবে এবং সাইটটি এডসেন্স এর জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

গুগল এডস লিমিট দেয় কেমনঃ

গতমাসের ২৭ তারিখ, বাংলাদেশের অনেক ওয়েবসাইটেই পর্যাপ্ত ইউনিক ভিজিটর থাকার পরেও গুগল এডসেন্স হঠাৎ করে এড লিমিটেশন করে দেয়।সাথে কারো কারো কয়েক ডলার কেঁটে নেয়।অর্থাৎ গুগল কখন কী করে বোঝার উপায় নেই।এর মাঝেই এডসেন্সের পলিসিতে নতুন একটা আপডেট এসেছে।যার ফলে লোডিং করলে এড লিমিট কিংবা গুগল এডসেন্স ডিসএবল করে দিতে পারে।
তবে আপনারা চাইলে ইজুয়েক এই এড নেটওয়ার্কটি ব্যবহার করতে পারেন।আমার জানা মতে এখানে এডস লিমিট এর মতো সমস্যা নেই।

এডসেন্সের দাম কেমনঃ

পূর্বে ফ্রেশ অর্থাৎ নতুন অনুমোদন পাওয়া এডসেন্সের দাম ছিল ৮ থেকে ১০ হাজার, সেটা এখন সর্বনিম্ন ১৫ বা ১৬ থেকে আরম্ভ করে ২০ বা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।এক্ষেত্রে গুগলের অর্গানিক ভিজিটরের ওপর দাম নির্ভরশীল।মূলত এসকল এডসেন্স লোডাররাই কিনে থাকেন।কিন্তু তারা যদি লোডিং করতে না পারেন. তবে হঠাৎ করেই আবার দাম কমে যেতে পারে।Ezoic approved সাইটের দাম মোটামোটি ১৫-১৮ কে এর মধ্যে থাকে।

এখন করণীয়ঃ

আমি বলবো, আগে এই সেক্টর সম্পর্কে ভালো করে ধারণা নিন এরপর এখানে কাজ করুন।কারণ এই সেক্টরে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান না থাকলে আপনি কখনোই ব্লগিং করতে পারবেন না।আবার, নিজস্ব ওয়েবসাইটে এডসেন্স অনুমোদন পেলেও ইনকাম করতে পারবেন না।
আজকের পোষ্ট এখানেই শেষ করছি, আল্লাহ্ হাফেজ।আশা করি, এই আর্টিকেল তথা গুগল ও সম্পর্কিত তথ্য মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
আপনার ওয়েবসাইট গুগল এডসেন্সের জন্য উপযোগী করবেন যেভাবে

7 thoughts on "বর্তমানে গুগল এডসেন্স পাওয়া সহজ নাকি কঠিন?"

  1. Iqramul Contributor says:
    এখন অ্যাডসেন্স পাওয়া আপনি যতটুকু বলছেন তার থেকেও কঠিন হয়ে উঠেছে। আবার কখন কখন সহজেই পাওয়া যায়
    1. sharif Author Post Creator says:
      হুম ভাই। আমি সেটাই বলেছি।আমার একটা ওয়েবসাইটে ৮+ রিজেক্ট খেলাম। ?
  2. Md Swapon Mia Contributor says:
    কোন ওয়েবসাইটে আপনি ৮+ রিজেক্ট খাইছেন – লিংক টা একটু দেন তো..?
    1. sharif Author Post Creator says:
      Q2a website. Link dite parlam na, sorry for.
  3. tasin_trickbd Contributor says:
    Adsence sell korbo kothai?
    1. sharif Author Post Creator says:
      Group ase onk. + dealencer website a web deal korte paren.
  4. rakibstudent Contributor says:
    Visit themexox for more blogger template
    https://www.themexox.com/?m=1

Leave a Reply