বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন খাতে বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে, যা সামরিক শৃঙ্খলা ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ সংস্থাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনসেবামূলক কার্যক্রম, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা উল্লেখযোগ্য সংস্থাগুলো 

বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (BMTF) ১৯৭৯ সালে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি সামরিক ও বেসামরিক যন্ত্রাংশ, গাড়ি ও ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী উৎপাদনের মাধ্যমে দেশীয় শিল্পকে উন্নত করা ও প্রতিরক্ষা খাতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে কাজ করে।

সেনা কল্যাণ সংস্থা (Sena Kalyan Sangstha – SKS) ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে এবং এর অধীনে SKS Tower, Sena Kalyan Insurance, Sena Kalyan Paper Mills, Sena Hotel Developments-এর মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো প্রাক্তন ও বর্তমান সেনাসদস্যদের কল্যাণ নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেড (BDPL) ১৯৮০ সালে গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ডিজেল ইঞ্জিন ও কৃষি সরঞ্জাম উৎপাদন করে, যা স্থানীয় কৃষি ও শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

বাংলাদেশ সেনা নির্মাণ সংস্থা (MES বা Military Engineering Services) দেশের বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। এটি সেনাবাহিনীর অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (BIPSOT) ২০০২ সালে রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের প্রশিক্ষণ দিয়ে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দক্ষ সেনাসদস্য তৈরি করে।

এছাড়াও- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্মি মেডিকেল কলেজসমূহ, আর্মি ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, আর্মি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এবং আর্মি পাবলিক স্কুল ও কলেজসমূহ। এবং এই প্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষ্য সেনাসদস্য ও সাধারণ জনগণের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা।

এর পাশা পাশি রয়েছে Sena Garments & Textiles গাজীপুরে অবস্থিত এবং এটি পোশাক ও বস্ত্র উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের তৈরি পোশাক খাতে অবদান রাখছে।

এরপর রয়েছে – সেনা পেট্রোল পাম্প ও ফিলিং স্টেশন যা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত, যা নিরাপদ ও মানসম্মত জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করছে।

এবং সেনা পরিবহন সংস্থা যা ঢাকা ও অন্যান্য প্রধান শহরে বাণিজ্যিক পরিবহন ও লজিস্টিক সেবা প্রদান করছে, যা সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণের জন্যও পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করছে।

এই সংস্থাগুলোর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ 

 এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল তত্ত্বাবধায়ক হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়, যেখানে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন। এবং কিছু সংস্থার পরিচালনায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা যুক্ত থাকেন। সরকারি সংস্থা হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও তদারকিতে এগুলো পরিচালিত হয়।

আপনার কি মনে হয়, সেনাবাহিনী পরিচালিত সংস্থাগুলো দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে? আপনার মতামত আমাদের জানান! কমেন্ট করুন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনীসহ সকল প্রকার ডিফেন্সের চাকরির তথ্য, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও প্রস্তুতি গাইড পেতে ঘুরে আসতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল #CareerMessageথেকে।

আমাকে ফেসবুকে খুঁজে পেতে পারেন:

Career Message Facebook

কমেন্টে মতামত জানাবেন, এরপর কী বিষয়ে লিখবো।
ধন্যবাদ।

 

Leave a Reply