আসসালামু আলাইকুম….

ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল কমিউনিকেশন। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মােবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। কথা বার্তা,  অনলাইন ব্যাংকিং, সামাজিক যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান ইত্যাদি।টাইটেল দেখেই হইতো বুঝতে পেরেছেন আজকে আমি মোবাইল যোগাযোগ বা Mobile Communication নিয়ে আলোচনা করবো। তো চলেন সুরু করা যাক।

মোবাইলের জন্মঃ
আমরা যে মোবাইল ফোন কে চিনি তার জন্ম ১৯৭৩ সালে। আজকের বিখ্যাত মোবাইল ফোন নির্মাতা কোম্পানী মটরোলার হাত ধরে যাত্রা শুরু করে সেলুলার ফোন (বলে রাখা ভালো Cellular জিনিসটাই একটা মজার ব্যাপার রয়েছে, তা একটু পর বলছি)। নাম দেওয়া হয় DynaTAC 8000X। মজার ব্যাপার কি জানেন, এই ফোনটাতে কোনো ডিসপ্লে ছিলোনা। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মটরোলার কর্মকর্তা Dr. Martin Cooper বেল ল্যাবস-এর কর্মকর্তা Dr. Joels Engel-এর সাথে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মত মোবাইল ফোনে কথা বলেন। আর মোবাইল ফোনের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে যায় এই দুই বিজ্ঞানী, মটরোলা আর বেল ল্যাবস-এর নাম। অবশ্য Radio Telephone System-এর আবিস্কারক হিসেবে মার্টিন কুপার আর তাঁর গুরু Motorola Portable Communication Products-এর চীফ John F. Michel নাম US Patent-এ (Patent no. 3,906,166) লিপিবদ্ধ হয় ১৭ অক্টোবর ১৯৭৩ সালে।

মুল কথাঃ
মােৰাইল শব্দটির উৎপত্তি মুভ ( Move ) থেকে । তাই মুভিং বা ভ্রমণ অবস্থায় তারবিহীনভাবে যে ফোন ব্যবহার করা হয় তাকে মােবাইল ফোন বলা হয় ।

মােবাইল টেলিফোন হচ্ছে এক ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার সাহায্যে সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফুল-ডুপ্লেক্স বা দ্বি – মুখী রেডিও টেলিযােগাযােগ করা যায় । মােবাইল টেলিফোনকে অনেক সময় সেলুলার ফোন ( Cellular Phone ) , সেলফোন ( cellphone ) , হ্যান্ডফোন ( handphone ) বা শুধুমাত্র মােৰাইল ( mobile ) বলা হয় । মােবাইল ফোনে এক ধরনের মাইক্রোচিপ বা কার্ড (যা আমরা SIM অথবা R – ঊঈম বলে যানি ) থাকে যেখানে টেলিফোন সার্ভিস সংযােগ প্রদান ও অন্যান্য মােবাইলের সাথে কল আদান – প্রদানের অনুমােদন , ব্যবহারকারী । শনাক্তকরণ , ব্যবহৃত ফোন নম্বর প্রভৃতি থাকে।

মােবাইল টেলিফোনের সুবিধাসমূহ :
পাের্টেবিলিটি বা মােবিলিটির সুবিধা অর্থাৎ সহজে বহনযােগ্য ।
★স্থান পরিবর্তন অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন সংযােগ স্থাপন ।

★কল ডাইভার্ট , হােল্ড রাখা কিংবা বাতিল করা ।
SMS ( Short Message Service ) বা MMS ( Multimedia Message Service ) সার্ভিস আদান – প্রদান ।
★Global Positioning System ( GPS ) সুবিধা ।
★বুটুথ ( Bluetooth ) , ইনফ্রারেড ( Infrared ) প্রভৃতি ওয়্যারলেস সিস্টেমের ব্যবহার ।

সলফোন / সেলুলার ফোন ( Cellular Phone ) : মােবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী  প্রতিষ্ঠান বা সার্ভিস প্রােভাইডার ( যেমন : বাংলাদেশে টেলিটক , গ্রামীণফোন , বাংলালিংক , রবি , এয়ারটেল ইত্যাদি ) তার নেটওয়ার্কের আওতাধীন  এলাকাকে ছােট ছােট অংশে ভাগ করে নেয় । ছােট ছোট প্রতিটি ভাগকে এক কটি সেল ( Cell ) বলা হয় । এই সেল থেকে সেলুলার ফোন নামকরণ করা হয়েছে । একটি এন্টেনা ( টাওয়ার ) এবং একটি ছােট অফিস নিয়ে একটি সেল Area of Communication গঠিত হয় । এন্টেনাসহ ছােট অফিসকে বলা হয় বেস স্টেশন ( Base Station বা BS ) । একটি বেস স্টেশন দ্বারা একটি ছােট এরিয়ায় বা সেলে নেটওয়ার্ক কাভারেজ দেওয়া হয় ।

আজ এই পর্যন্তই। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

2 thoughts on "মোবাইল যোগাযোগ – Mobile Communication ( A-Z)"

    1. Md Azizur Rahaman Contributor Post Creator says:
      কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ – ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।

Leave a Reply