বাদাম খেলে কী কী উপকার হয়?

  • বাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • বাদাম রক্ত চাপ হ্রাস করতে পারে।
  • বাদাম কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে।
  • বাদাম হৃদযন্ত্র ভালো রাখে।
  • বাদাম রক্তের শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে।
  • বাদাম কোষের ক্ষয় করে থাকে।
  • বাদাম নার্ভের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।

তাছাড়াও বাদাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে পানিতে ১০-১৪ টি বাদাম ভিজিয়ে রাখুন পরের দিন সকালে খাওয়ার জন্য। এতে করে ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বাসে বা ট্রেনে ভ্রমণ করলে আমরা তো বসেই থাকি, তারপরও আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি কেনো?

বাসে বা ট্রেনে আমরা বসে থাকলেও পদার্থ বিজ্ঞানের মতে পরিবেশের সাপেক্ষে আমরা চলমান । এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য শরীরের প্রতিটি অঙ্গ কে গাড়ির সাপেক্ষে তার ভঙ্গি পরিবর্তন করতে হত প্রতিনিয়ত । এই ভঙ্গি পরিবর্তন করার জন্য ব্রেইনকে অবচেতন মনে আমাদের শরীর নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। রাস্তায় গাড়র গাড়ির গতি কখনো কখনো বাড়ে বা কমে, আবার কোনো কোনো সময় কোথাও থামতে হয়, বামে বা ডামে মোড় নিতে হয়। এজন্য শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ব্রেইনকেও সার্বক্ষণিক কাজ করে যেতে হয়। এজন্যই ভ্রমণের সময় অনেকেই ক্লান্ত হয়ে যায়।

এর পাশাপাশি আরো কিছু কারণ আছে যেমন: খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডি হওয়া, রাত জেগে ব্যাগ গুছানো, রাস্তায় জ্যাম ঠেলে ঠুলে বাস বা ট্রেন স্টেশনে যাওয়া, ভারী ব্যাগ বহন করা , টি কিট চেকার বা কুলি বা নিরাপত্তা কর্মীর সাথে ঝগড়া, সিট আরাম দায়ক না হওয়া, গাড়ির ভেতরে অক্সিজেন স্বল্পতা, দুর্গন্ধ , এসবও আমাদের ক্লান্ত করে থাকে।

ঘুমের ভিতর মাঝে মাঝে শরীরে বিদ্যুতের শক এর মতো ঝাকি মারে কেনো?

মাঝে মধ্যে ঘুমের মধ্যে হটাৎ মনে হয় যে, যেন উচু জায়গা থেকে পড়ে যাচ্ছি একে বলা হয় হিপনিক জার্ক। এতে শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠে, শরীরে শক অনুভূত হয়।

হিপনিক জার্ক দ্রুত দ্রুত শ্বাস, হৃৎস্পন্দন, ঘাম এবং কখনও কখনও “শক” বা শূন্যে পড়ে যাওয়ার মতো এক অদ্ভুত অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত। এটি কোনো একটি স্বচ্ছ স্বপ্নের অভিজ্ঞতা বা হ্যালুসিনেশনও হতে পারে। অনিয়মিত শিডিউলে ঘুমায় এমন ব্যক্তিদের মধ্যে হিপনিক জার্ক অনেক বেশি ঘটতে দেখা যায়।তাছাড়াও যখন এটি ঘন ঘন এবং তীব্র হয় তখন হিপনিক জার্ককে ঘুম অনিদ্রার কারণ হিসাবে দেখা হয়।

একে বেশ কয়েকটি নামে অবিহিত করা হয় হিপন্যাগোজিক জার্ক, স্লিপ স্টার্ট, স্লিপ টুইচ, মায়োক্লোনিক জার্ক, নাইট স্টার্ট। প্রায় ৭০% মানুষ তাদের জীবনে কমপক্ষে একবার এই অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে।

সত্যিই কি জলপরীর অস্তিত্ব আছে?

৯ জানুয়ারী ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত অনুসন্ধানকারীর মধ্যে একজন খ্রিস্টোফার কলম্বাস, তার ডাইরিতে Mermaid মৎস্য কন্যা-র কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা পূরা পৃথিবীকে হয়রান করে দিয়েছিল।

কলম্বাস তার ডাইরিতে ভ্রমণের জাবতীয় সব কাহিনী লিখে রাখতেন , কিন্তু তার মত অনুসারে ৯ জানুয়ারী চৌদ্দশো তিরানব্বই খ্রিস্টাব্দে (ডোমিনিকান রিপাবলিক থেকে ফিরে আসার সময়) তিনি সাগরের মধ্যে ৩ Mermaid মৎস্য কন্যাকে সাঁতার কাটতে দেখেছেন। তিনি বলেন তিনটি জীব পানির উপর ধীরে ধীরে সাঁতার কাটছে এবং তাদের শরীরের নিচের অংশ মাছের লেজের মতো এববগ উপরের অংশটা হচ্ছে মানষের মতো। তিনি এটাও বলেছেন যে , ইতিহাসে Mermaid মৎস্য কন্যাকে সুন্দর পরী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এটা ঠিক তার উল্ট, সেগুলো ছিলো দানবের মতো দেখতে। তাদের শরীর ছিলো অনেক ভয়ানক। কলম্বাস ছিলেম একজন মহান অনুসন্ধানকারী। তিনি আমেরিকার মতন এক মহাদ্বীপের খোঁজ করেছেন। যার কারনে তার এই ডাইরির বর্ণনাটিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছেন যে কলোম্বাস হয়তো কিছু প্রাণী দেখেছেন কিন্তু ওটা Mermaid মৎস্য কন্যা ছিল না, হয়তো পানির ভিতর বসবাসকারী অন্য কোনো মন্টিস হতে পারে। মন্টিসের চোখ মানুষের মতো দেখতে, তাদের লেজ ঠিক Mermaid মৎস্য কন্যা-র মতো দেখতে। এই মন্টিস সামুদ্রিক জীবকে যদি দূর থেকে দেখা যায় তবে এটাকে Mermaid মৎস্য কন্যা ভাবার ভুল হতে পারে।

Mermaid মৎস্য কন্যা এক সামুদ্রিক জীব, যার উপরের শরীরটি হচ্ছে এক মেয়ের / ছেলে আর নিচের শরীর এক মাছের। Mermaid মৎস্য কন্যাকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর ও ইন্ডিয়ান মহাসাগরে দেখতে পাওয়ার দাবি করা হয়। বেশিরভাগ উপকথায় Mermaid মৎস্য কন্যা সুন্দর্যের প্রতীক বলা হয়েছে। আবার কিছু কিছু উপকথা Mermaid মৎস্য কন্যা কে দানবের আকারে বর্ণনা করা হয়েছে, যার মুখ দেখতে খুব বিশ্রী ও ভয়ংকর। বলা হয়ে থাকে Mermaid মৎস্য কন্যা পানির মধ্যে পাথরের উপর বসে থাকে, আর নিজেই নিজেকে জলের মধ্যে দেখে এবং নিজেই নিজের প্রশংসা করতে থাকে। কিছু কিছু উপকথায় পুরুষ Mermaid এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যাকে মারম্যান বলা হয় কিন্তু একে মেয়েদের মতো খুব সুন্দর বলা হয়নি বরং খুব ভয়ানক দানব রূপে বর্ণনা করা হয়েছে ?

কাটা জায়গায় চিনি দিলে কি হয়?

“কাটা ঘায়ে লবণের ছিটা” এই প্রবাদটা বাঙ্গালীর কাছে বেশ প্রচলিত একটিন প্রবাদ। মূলত কাটা যায়গায় লবন দেওয়া হয় ঘা জীবাণুমুক্তকরণ এর কাজে । তবে এখানে লবনের বদলে চিনিও কিন্তু বেশ ভালো কাজ করে।

চিনির মধ্যে থাকা সুক্রোজ কাটা যায়গা ঠিক করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কাটা যায়গা তে যখন চিনি দেওয়া হয় তখন চিনিতে থাকা সুক্রোজ ঐ কাটা যায়গার রিকোভারি প্রসেস দ্রুত শুরু করে দেই । ‘University of Wolverhampton’ দ্বারা এই পরীক্ষাটি স্বীকৃত হয়েছে। পরীক্ষাটি পরিচালনা করে ছিলেন Dr. Moses Murandu.

Dr. Moses Murandu তিনি জিম্বাবুয়ে বড় হয়েছেন। যেহেতু সেখানে তার আশেপাশে ওষুধের সহজলভ্যত কম ছিল তাই তিনি কাটা যায়গাতে সরাসরি লবন দিতেন যাতে করে সে জায়গাটা জীবাণুমুক্ত হয়। কিন্তু তিনি লক্ষ্য করলেন যে এতে করে সেই কাটা জায়গার ত্বক পুড়ে যেয়। তারপর তিনি সেখানে লবনের বদলে চিনি চিনি দিলেন আর খেয়াল করলেন যে। লবণ এর চেয়ে চিনি বেশ ভালো কাজ করছে।
Dr. Moses Murandu নার্সিং স্কুল থেকে গ্রাজুয়েট করেন৷ তারপর নার্সিং এর ওপর প্রফেসর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি খেয়াল করেছিলেন যে কাটা যায়গার প্রাথমিক ঔষধ হিসেবে চিনির ব্যবহার সম্পর্কে কেউ কিছুই বলে নি। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে এই বিষয় নিয়ে গবেষণা করার। Dr. Moses Murandu এর প্রথম গবেষণা ছিল কাটা যায়গার উপর চিনি কিরূপ প্রভাব ফেলে। Dr. Mrandu-র মতে কাটা যায়গা ঠিক হওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য, শুধু তার উপর চিনি দিয়ে কাপড় বেঁধে দেওয়াই যথেষ্ট। এটা মানুষের মত পশু পাখির দেহের জন্যেও কাজ করে। কাটা যায়গাতে থাকা থাকা ব্যাকটেরিয়া কে চিনিতে থাকার সুক্রোজ অনেক ভালো ভালোভাবেই শুষে নেয়, এতে করে জীবাণু আর ছড়াতে পারে না।

Leave a Reply