ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, কিন্তু কীভাবে আগাবেন তা নিয়ে ভাবছেন, তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আজকে আপনাদের সাথে তোশিবা  ফটোকপিয়ার মেশিন দিয়ে কীভাবে ব্যবসা শুরু করবেন, এবং এই ব্যবসায় থেকে মুনাফা অর্জন করবেন তা নিয়েই কথা বলবো।

যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে, কিছু জিনিস খেয়াল রাখা প্রয়োজন, তা নাহলে আপনার ব্যবসা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত  চালাতে পারবেন না। এমন কিছু বিষয় নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

তোশিবা ফটোকপিয়ার মেশিন

ব্যবসার জায়গা নির্ণয় করা

ফটোকপি ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হলো, এটা নির্ণয় করা যে আপনি কোথায় এই ব্যবসাটা চালাবেন বা কোথায় এই ব্যবসা চালানোটা আপনার জন্য লাভজনক হবে। ফটোকপি ব্যাবসা করার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো কোনো স্কুল বা কলেজের পাশে ফটোকপির দোকান বসানো কেননা সাধারণত ছাত্রদেরই ফটোকপি সার্ভিসের সবথেকে বেশি প্রয়োজন হয়।

বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা

আপনি যেখানে ব্যবসা দাঁড় করানোর কথা ভাবছেন, সেখানে কি আরও ফটোকপির দোকান আছে? থাকলে সেখানে কম্পিটিশন কেমন, কিংবা সে জায়গায় ফটোকপি সার্ভিসের চাহিদার তুলনায় সাপ্লাই কেমন? যেকোনো ব্যবসা শুরু করার আগে সেই পণ্যের চাহিদা কেমন এবং সেই বাজারের পরিস্থিতি কেমন তা বিবেচনা করেই পরবর্তী ধাপগুলোতে আগাতে হবে।

বাজেট নির্ধারণ

ব্যবসা শুরু করার আগে, আপনাকে অবশ্যই একটা বাজেট নির্ধারণ করে নিতে হবে, যাতে আপনি বুঝতে পারেন, আপনার ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য আপনার কত টাকা খরচ করতে হতে পারে। তাছাড়াও আপনি এই খরচ সামাল দিতে পারবেন কি না, এবং এই খরচ উঠাতে পারবেন কি না সেটা বুঝেই আপাকে বাজেট তৈরি করতে হবে।

তোশিবা ফটোকপি মেশিন নির্বাচন

আপনার বাজেট রেডি হয়ে গেলে, আপনার বাজেটের মাঝে কোন তোশিবা ফটোকপি মেশিনটি ক্রয় করবেন তা নির্বাচন করতে হবে। তোশিবা বিভিন্ন ধরনের ফটোকপি মেশিন নির্মাণ করে যার একেকটি মডেলে বিশেষ বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে, আপনার ব্যবসার জন্য কোন ধরনের ফটোকপি মেশিন প্রয়োজন বা কোনটা আপনার বাজেটের মধ্যে পড়ে সেটা বুঝেই আপনাকে ফটোকপি মেশিন বাছাই করতে হবে।

ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করা

সব কিছু যাচাই-বাছাই করার পরে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হল আপনার ব্যবসার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা। আপনি কীভাবে ব্যবসায় লাভজনক হবেন, কীভাবে গ্রাহকদের আকর্ষণ করবেন, কত বড় দোকান ভাড়া করবেন, এই সব কিছুই ব্যাবসায়িক পরিকল্পনার মৌলিক উপাদান। আপনার ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা অনুযায়ী আপনাকে আপনার ব্যবসার যাবতীয় সকল কাজগুলো করতে হবে।

ব্যবসা শুরু করা

একবার ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গেলে সে অনুযায়ী আপনাকে দোকান বসাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সব মেশিন এবং অন্যান্য সব মালামাল গুলো কিনতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ফটোকপি মেশিন চালাতে যা যা লাগে, যে সব জিনিসের যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকে।

ব্যবসা পরিচালনা করা

যেকোনো ব্যবসা শুরু করা মাত্রই যে আপনি প্রফিট পাবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই, তাছাড়া আপনি যে ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করেছেন সেটা আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত কিনা সেটা বোঝার জন্য আপনাকে ব্যবসার যাবতীয় সকল কাজগুলোর উপর নজরদারি রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে আপনার ব্যবসায় কত টাকা আসছে এবং কত টাকা খরচ হচ্ছে। তাছাড়াও কোথায় কত টাকা খরচ হচ্ছে সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে ব্যাবসায়িক পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে। এবং আপনার ব্যাবসায়িক পরিকল্পনা অনুযায়ী সব কাজগুলো সঠিক ভাবে হচ্ছে কি না সেটা দেখতে হবে।

ফটোকপি ব্যবসার খরচ কেমন?

প্রথমত দোকান ভাড়া এবং অগ্রিম টাকা বাদ দিয়েও ভালো মানের তোশিবা ফটোকপি মেশিনের দাম সর্বনিম্ন ৪৬০০০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৪০০০০০ টাকা পর্যন্ত যেতে পারে। সব মিলিয়ে একটি ফটোকপি মেশিনের ব্যবসা শুরু করলে উপরোক্ত খরচ  করতে হতে পারে।

2 thoughts on "তোশিবা ফটোকপিয়ার মেশিন দিয়ে যেভাবে ব্যবসা শুরু করবেন"

  1. Md.Ebrahim Contributor says:
    আমার সাইটেও কম নেই বুজলেন topbanglatricks.blogspot.com
  2. Casanova3.0 Contributor says:
    আমি আমার উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে একটা ছোট ফটোকপি দোকান করেছি। ফটোকপির চেয়ে অন্যান্য কাজের চাপ বেশি তাই তেমন ফটোকপি করার সময় পাই না। ফটোকপিতে বর্তমান বাজারে তেমন একটা লাভ করতে পারবেন না যদি না অন্যান্য সার্ভিস না এড করেন। তবে তোশিবার ৪৬ হাজার টাকা দিয়ে প্রফেশনাল ফটোকপি করার চিন্তা মোটেও করা যাবে না। স্পিড খুব কম। প্রফেশনাল ফটোকপি করতে কম করে হলেও ১ লাখ টাকা বাজেট রাখতে হবে। ফর্ম ফিলাপ, দরখাস্ত করা, টাইপিং ইত্যাদির পাশাপাশি ফটোকপি রাখা যায়। ফটোকপি মেইন সাবজেক্ট ধরে ব্যবসা শুরু করলে চোখে সর্ষে ফুল দেখবেন।

Leave a Reply