[BRAIN HACKER,DOPAMIN]ফেসবুক ও ইউটিউবের মত মাধ্যম গুলো বানাচ্ছে ব্যাবহারকারীদের আসক্ত করার প্রোগ্রাম,যার নেশা মাদকের থেকেও ভয়ঙ্কর,হতে পারেন স্থায়ী সমস্যার সম্মুখীন।[part-১]
কেমন আছেন ট্রিকবিডির জনগণরা?আশাকরি ভালো আছেন।আমার কখনোই টেকনিকাল ফ্যাক্ট নিয়ে লিখতে মন চাইতো না।কারণ অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে হয় ও অনেক সময়ের ব্যাপার। কিনতু সাম্প্রতিকy2k ও unix32bit নিয়ে লিখেছিলাম যা আপনাদের অনেক পছন্দ হয় এবং আপনারা ভালো মন্তব্য করেছিলেন।তাই আজকে আপনাদের কাছে আরেকটি মজাদার টেক ফ্যাক্ট নিয়ে আসলাম।যার শুরুতে হাল্কা বায়োলজি আছে কারণ এটি বায়োলজি এর সাথে সম্পর্কিত।একটু ধরজ নিয়ে পড়বেন,প্রথমে বিরক্ত লাগলেও,বুজলে অনেক মজা পাবেন।চলুন কথা না বারিয়ে শুরু করা যাক।
*লেখাটি সম্পূর্ন পড়ার পর উত্তর করুন:আপনাদের করা ভালো মন্তব্য দেখে আমার টেক ফ্যাক্ট নিয়ে লেখার ইচ্ছা কেন হল?
উত্তর: সবচেয়ে নিচে দেয়া আছে।
সূচনা: আমরা জানি,মানবদেহের পরিচালক হচ্ছে মস্তিষ্ক বা ব্রেইন।আমরা কি করবো,কি করবনা,কিসে আসক্ত হবো কিসে হবো না সবকিছুই আমাদের মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে।যা সম্পূর্ন স্নায়ুগুচ্ছ দেয়া তৈরি।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষকে আছে এক হাজার কোটি নিউরোন কোষ(মস্তিষ্কের কোষ কে নিউরোন কোষ বলে)থাকে।এর আয়তন ১৫০০ ঘন সেন্টিমিটার,ওজন ১.৩৬ কেজি (প্রায়)। বুঝতেই পারছেন,অনেক শক্তিশালী একটা জিনিস।মস্তিষ্কের সামনের দিকের অংশ কে বলে ফ্রন্টাল লোব।
যার মাধ্যমে আমরা চিন্তা/থিঙ্ক করে থাকি।আর মস্তিষ্কের মাজখানে থাকে কিছু নিউরোন কোষ,যেগুলো আমরা যখন কিছু চিন্তা করি বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল নিঃসরণ করতে থাকে।তার মধ্যে একটি কেমিক্যাল হল ডোপামিন।
ডোপামিন কি:ডোপামিন হলো একটি কেমিক্যাল যা আমাদের মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব এ গিয়ে, মস্তিষ্ককে বোঝায় কোন কাজটা বেশি গুরুত্তপূর্ণ ও কোনটাতে বেশি সময় এবং মনোযোগ দিতে হবে।
বর্ননা:মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোব সবসময় ডোপামিন ক্ষুধার্ত থাকে।ডোপামিন সংখ্যা কম হলে আমাদের মস্তিষ্ক বিরক্তি অনুভব করে।তখন আমাদের মস্তিষ্ক নতুন কিছু চিন্তা করার জন্য কোনো বিষয়ের খোঁজ করে।কারণ চিন্তা না করলে ডোপামিন উৎপাদন হোবে না।
এরপর ডোপামিন উৎপাদন এর পর এটি ফ্রন্টাল লোবে চলে আসে।
এতে আমাদের মস্তিষ্ক তৃপ্তি লাভ করে ও সেই বিষয়ে মনোযোগী হয়।সাথে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয় ও লম্বা সময় ব্যায় করতে থাকে।কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিসু জিনিস আসে যেগুলো অটোমেটিক ডোপামিন উৎপাদন করতে পারে।যেমন: খাদ্য,মাদক,মদ, সেক্স ইত্যাদি(brain hacking tool)।এগুলো অটোমেটিক
ডোপামিন উৎপাদন করে,মস্তিষ্ককে তৃপ্তি দেয়।তখন মস্তিষ্ককে তৃপ্তি পাওয়ার জন্য কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।কোনো কাজ না করে তৃপ্ত হওয়া আমাদের মস্তিষ্কের খুবি পছন্দ।তাই এ গুলো(মদ,মাদক) গ্রহণের জন্য মস্তিষ্ক বার বার উদ্দীপনা দে।আর আমরা বার বার ঐ দ্রব্য গুলো গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।যাকে আমরা আসক্তি বলি।
আজ এ পর্যন্ত,ফেসবুক ও ইউটিউব কতৃপক্ষ কেমন করে বিভিন্ন প্রোগ্রামের সাহায্যে অটোমেটিক রিলিজ করে আপনাকে আসক্ত করছে সে সম্পর্কে পার্ট-২ তে আলোচনা করবো। সে পর্যন্ত sayonara ?
উত্তর: ভালো মন্তব্য বা লাইক পেলে সেটিও অটোমেটিক ডোপামিন রিলিজ করে।তাই আমাদের ব্রেইন আরো ভালো মন্তব্য বা লাইক পেতে চায়।তাই আমরা সে কাজটি আবার করি।আমার ক্ষেত্রে ও একই।
Part2 is coming soon.
Waiting for second part?
Part2 is coming soon.
Thanks for reading till the end.
জাপানি ওয়ার্ড।
এর মানে হচ্ছে,
গুডবাই