আজ এমন বিষয় সম্পর্কে লিখতে বসেছি যেটা সম্পর্কে লেখা আমার উচিত না হলেও লিখতে বাধ্য হলাম; আমরা জানি “পুলিশ জনগণের বন্ধু আর সন্ত্রাসের দুশমন” কিন্তু বাস্তবতা হলে আপেক্ষিক দিক থেকে আজ সিংহভাগ পুলিশ সদস্য টোটালি করাপটেড “লাইনসেন্সধারী সন্ত্রাসী” তাই তাদের কালো থাবা হতে নিজেকে বাঁচাতে কিংবা সহজাত পুলিশি হয়রানি ও ভয় এড়াতেই আজ এই আর্টিকেল।
[আপনি স্পষ্ট করেই বলছি বাংলাদেশের সকল পুলিশ সদস্যই করাপটেড নয়, এমনো পুলিশ অফিসার আছেন যাদের দেখলে ভয়ে নয় শ্রদ্ধাতে আপনার মন ভরে উঠবে]।
★সালাম দিন:
মনে করুন আপনি একটু পাঙ্কু স্টাইলে রাস্তাতে হাটছেন আর ওমনি একজন পুলিশ আপনাকে ডাক দিলো; মোটেই ভয় পাবেন না কিংবা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না বরং শান্তভাবে এগিয়ে যান এবং সালাম দিন। সত্যি বলতে সালাম জিনিসটা এমনি এক প্রকার অভিবাদন যাতে অপর পক্ষ নমনীয় হতে বাধ্য।
★ভয় পাবেন না কিংবা দৌড় দিবেন না:
আপনি কি কখনো কুকুরের দৌড়ানি খেয়েছেন? দেখবেন আপনি যদি দৌড় দেন তাহলে কুকুরও আপনার পিছে দৌড় দিবে কিন্তু আপনি যদি শান্ত হয়ে স্থির দাড়িয়ে কুকুরের চোখের দিকে তাকিয়ে একটু নিচু হয়ে কিছু তুলছেন এমন ভান করেন তাহলে দেখবেন উল্টো কুকুর আপনাকে দেখে ভয় পেয়ে পালাবে, কারন সে ভাবে আপনি এখনি তার দিকে ইট নিক্ষেপ করবেন।
আমি পুলিশের সাথে কুকুরকে তুলনা করছি না( আই হ্যাভ উইলিংলি রেসপেক্ট অর্নেস্ট পুলিশ অফিসার) তবে মেন্টালিটি বোঝাতে এমন উদাহরন দিলাম মাত্র।
কখনোই পুলিশি জেড়াতে বা পুলিশের সাথে কথা বলার সময় নার্ভাস হবেন না কিংবা তাদের দেখে ভয়ে পালাবেন না; মনে রাখুন “আপনার ভয়” আপনাকে পুলিশের চোখে অপরাধী সাব্যস্ত করে।
★শান্ত থাকুন:
পুলিশের সাথে কথার সময় কপাল ঘেমে যাওয়া, বারবার ঢোক গেলা, অসংগতিপূর্ন কথা বলা কিংবা অস্বস্তিকর ভীতিজনক অঙ্গভঙ্গি করবেন না; নিজেকে শান্ত রাখুন। পুলিশ হয়তো সত্য বের করার জন্য আপনাকে ইচ্ছাকৃত হুমকি/ধামকি কিংবা ভয় দেখাবে…. আপনি ভয় পেয়ে গেলেই আপনার দূর্বলতা প্রকাশ পাবে এবং সেই দূর্বলতার ফাঁদেই আপনি আটকা পড়বেন!
★ধমকে ভয় পাবেন না:
যদি কোনক্ষেত্রে পুলিশ আপনাকে ধমক দেয় এমনকি আপনাকে বারবার ক্রসফায়ারে দেবার কথাও বলে তবে ভয় পাবেন না( যদিওবা ভয় আসাটাই স্বাভাবিক তবুও জীবন জয় করতে হলে এই সময় মোটেই ভয় পাবেন না)। শুনুন যদি আপনাকে ক্রস/ব্রাশ ফায়ার করার কথা থাকে তবে পুলিশ কখনোই সেটা মুখে বলবে না কিংবা জানতে দিবেনা….বরং ইচ্ছাকৃত হলে আপনাকে পালানোর সুযোগ দিয়ে অজান্তেই পিছন দিক থেকে পা হতে পিঠ বরাবর ফায়ারিং করতো,সামনে কখনোই পিস্তল বা বান্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখাতো না; সুতরাং পুলিশের সব কথায় বিশ্বাস করতে নেই।
★গ্যাজেট ক্যান সেফ ইউর লাইফ:
পুলিশ বলুন আর প্রসাশন বলুন সবকিছুই প্রমাণে বিশ্বাসী; মনে করুন একটা পুলিশ অফিসার আপনার নিকট ১ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছে তাহলে আপনি কি করবেন? আপনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা পুলিশ সুপারের নিকট জানালে অবশ্য প্রতিবিধান পেতে পারেন তবে তার জন্য তো প্রুফ প্রয়োজন তাইনা? এইজন্য স্পায়িং পেন ক্যামেরা জাতীয় গ্যাজেটগুলা আপনাকে সহায়তা করবে।
আবার এখন এমনো কিছু কিছু মোবাইল আছে যাতে স্ক্রিন অফ রেখেও যাতে R লিখলে তাতে অটোমেটিক রেকর্ড এমনকি স্ক্রিন অফ রেখে ভিডিও করা সম্ভব।
যদি এমনই হয় যে নিরাপরাধ হওয়া স্বত্ত্বেও এখনই আপনার প্রাণ চলে যাবে যাবে অবস্থা তাহলে [যদিও দেশের আইন মতে আপনার প্রাণের আশঙ্কা থাকলে আপনি প্রতিরক্ষার্থে পাল্টা আঘাত করতে পারবেন] সেক্ষেত্রে ইমিডিয়েট ইলেকট্রিক শকিং ডিভাইস হয়তো আপনার জীবন বাঁচাতে পারে, এটা আপনি নিজেও বাসায় বসে তৈরী করতে পারেন 4000kv হাই ভোল্টেজ জেনারেটর দিয়ে।
★কাটা দিয়ে কাটা তুলুন:
কথার কথা আপনি একজন সাধারন মানুষ, তবুও আপনার এলাকার থানা/পুলিশ ফাড়ির ২/৫ জন পুলিশ সদস্যের সাথে ব্যবহারে ভালো সম্পর্ক তৈরী করুন; অন্তত নূন্যতম পক্ষে তাদের নাম জেনে রাখুন এবং মোবাইলে সেটা সেইফ করে রাখুন। বিপদের সময় যদি কোন পুলিশ আপনাকে অপদস্থ বা হ্যারেজ করতে চায় তবে ঐসব নামের মানুষের উছিলাতে হয়তো মুক্তি পাবেন; মনে রাখুন “পুলিশ কখনো পুলিশ ঘাটায় না”!
★সব পুলিশ- পুলিশ না:
বাংলাদেশে এখন ভুয়া পুলিশ/ ভুয়া ডিবি এর সংখ্যা নিতান্ত কম নয় তাই এদের হতেও সচেতন থাকা আবশ্যক; মনে রাখুন কেউ যদি আপনাকে সাদা গাড়িতে তুলতে চায় কিংবা হ্যান্ডকাফ বা পিস্তল দেখিয়ে নিজেকে পুলিশ/ডিবি দাবী করে তবে আপনি তার পরিচয় পত্র/আইডি কার্ড দেখতে চান( আসল কার্ড চেনার বিষয়টা আগে থেকে জেনে রাখা আবশ্যক)।
আরো কিছু বিষয় চোখের নজরে খেয়াল করুন:
একটা স্বাভাবিক রিভালবার কখনোই অতি হালকা হয়না; এমনকি লিগ্যাল রিভালবার বা সার্ভিস গানের সাথে প্রায় সময় প্যান্টে আটকানোর জন্য একটা চেইন এবং অবশ্যই কাভার থাকে। সচরাচর কখনোই একজন পুলিশ প্যান্টের পিছের দিকে রিভালবার রাখেন না। রিলাভার সবসময় লক করা থাকে যেন তাতে ট্রিগার পড়ে দূর্ঘটনা না ঘটে তাই কেউ যদি শুধু পিস্তল বের করে তাতে ট্রিগারে হাত দিয়ে বলে “দিলাম ফায়ার করে…দিলাম ফায়ার করে” তাহলে বুঝবেন ব্যাটা হয় ভয় দেখাচ্ছে নয়তো এটা ভুয়া পিস্তল (অবশ্য এমন অনেক দেশীয় আর্মস আছে যেগুলি লক আউট থাকে তবে আমি পুলিশের কথা বলছি কেননা সকল পুলিশের নিকটই লেটেস্ট আমর্স থাকবে এটাই স্বাভাবিক)।
★মাথা নিচু করে কথা বলবেন না:
পুলিশের নিকট কখনোই ম্যানতা ম্যানতা করবেন না, আপনার বক্তব্য সংগত ভাষাতে পরিস্কার করে বলুন। পুলিশের প্রশ্নতে কখনোই চোখ মাটির দিকে তাকিয়ে উত্তর দিবেন না বরং চোখ উচু করে সম্ভব হলে তাহার কপালের মাঝ বিন্দু বরাবর তাকিয়ে উত্তর দিন।
★সাংবাদিক সার্কেল:
আপনার ফ্রেন্ড সার্কেলে যদি কোন সাংবাদিক বন্ধু বা আত্মীয় স্বজনের মাঝে কেউ সাংবাদিক থাকেন তবে আপনার বিপদের সময় তাকে জানান কেননা সত্য বলতে “পুলিশ সাংবাদিকতা প্রফেশনটাকে সমীহ করে চলে” এমনকি পুলিশি হেনস্থা এড়াতে সুযোগ বুঝে পুলিশকে জানিয়ে দিন “অমুক সাংবাদিক আপনার বন্ধু বা আত্মীয় হয়”!
★ইউ ক্যান বিট পুলিশ:
হ্যা, সত্যিই আপনি পুলিশকে মার দিতে পারেন তবে সেটা হাতে নয় বরং আপনার মাথা দিয়ে; পুলিশ যখন একই বিষয় আপনাকে বারবার জিজ্ঞাসা করবে তখন আপনার উত্তর কনস্ট্যান্টলি একই রাখুন; বিভিন্নভাবে একই প্রশ্ন করবে তবে আপনার উত্তরের সূত্র যেন একই হয়…আপনার কথার মাঝে ছোট্ট একটা লিক পেলেই আপনি হেরে যাবেন।
পুলিশ যদি থার্ড ডিগ্রি টর্চার করার কথা বলে কিংবা টর্চার সেলেও নিয়ে যায় তাহলে আপনি ইমোশনালি তাদেরও টর্চার এভাবে করুন( স্যার…আমাকে তো মেরেই ফেলবেন, আমি তো মরেই যাবো কিন্তু তারপরো স্যার আমি অমুক অন্যায়টা করিনি… স্যার এখন আপনি চাইলে আমাকে মেরে ফেলতে পারেন। শুধু আমি মরে গেলে আমার মায়ের কাছে একটু জানাইয়্যা দিয়েন স্যার…)। মনে রাখবেন শুধুমাত্র আপনার যুক্তি এবং ইমোশন, আপনার এক্টিভিটি এবং স্ট্রেন্থ আপনাকে পুলিশের ওপর বিজয়ী করতে পারে।
★হ্যামেলিনের বাশিওয়ালা হউন
সাধারনত আপনি যদি আমাকে ১০ টি কথার মাঝে নূন্যতম ৫ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়াতে পারেন তবে সাইকোলজিক্যালি আপনি আমার দ্বারা অননোনলি সেল্ফ মোটিভেট হয়েই যাবেন।
যেমন ধরুন, “স্যার আমিতো হেলমেট নিয়েই বাসা হতে বেড়িয়েছিলাম তবে রাস্তা সেটা চুরি হয়ে গিয়েছে” কথাটা এভাবে বলুন “স্যার বাসা হতে হেলমেট নিয়ে বেড়িছিলাম তবে রাস্তায় দোকানে দাড়িয়ে কিছু কেনার সময়ই হেলমেট চুরি হয়ে গিয়েছে…স্যার আপনিই বলেন এটা কি আমার দোষ?” একই কথার মাঝেও সিমপ্যাথি আর মোমেনটাম আমাদের সাইকোলজি বদলে দিতে বাধ্য!
★একটা Thank You এবং একটু Smile
উল্লেখ্য আপনি যদি সত্যিই ক্রাইম করেন এবং উপরোক্ত বিষয়গুলি খাটাতে চান তবে ১০০% ব্যর্থ হবেন কেননা পারফেক্ট ক্রাইম বলে কিছু হয়না; মানুষের ছায়া যেমন মানুষ কখনোই এড়িয়ে যেতে পারেনা তেমনি প্রতিটি ক্রাইম কিছু না কিছু উপাত্ত স্পটে রেখেই যায়….থেকেই যায়, সো ডোন্ট বি এ ক্রিমিনাল, বিং এ মাইন্ড হ্যাকার!
ভবিষ্যতে ব্যক্তিগতভাবে পর্নোগ্রাফি রোধে একটা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার খুবই ইচ্ছা আছে যেখানে porn=earn এবং pornography= psychology এই দুইটা দিক নিয়ে কাজ করবো কেননা একটা মানুষ পর্ন দেখার মতোন অযাচিত সময়ে যদি নিজের ক্রিয়েটিভিটি হতে কিছু আর্ন করতে পারে এবং সত্যিকারভাবে ইসলামিক মাইন্ড সেটআপ করতে পারে তাহলেই কেবলমাত্র নোংরা পর্নোগ্রাফি হতে যুবসমাজকে রক্ষা করা সম্ভব।
সকলের দোয়া কামনা করছি।
শেষে শুধু একটা কথায় বলবো “ভালো থাকুন; চিন্তা চেতনা সুন্দর করুন; লাইফটা এমনিই সুন্দর হয়ে যাবে”।
ফেসবুকে আমি→ নিশান আহম্মেদ নিয়ন
আল্লাহ হাফেজ
#আমি একজন পুলিশ সেটা আমার ইউজার নেম খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন
★বিপি ক্লিন্টন
বি ফর -বাংলাদেশ আর
পি ফর -পুলিশ
এই নিয়ে হল বাংলাদেশ পুলিশ
আপনার পোস্টটি পড়ে মোটামুটি ভালই লাগলো এই জন্য আপনি প্রথমে ধন্যবাদ জানাই???
✓ বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে আপডেট নয়:
আরে ভাই বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে অনেকটাই আপডেট আপনি আইলে দিকে খেয়াল করছেন না কেন বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিষ্ঠিত হয় 1861 সালে সেই সময় পুলিশ পরিচালনা করত ব্রিটিশরা আর ব্রিটিশরাই তাদের নিজের স্বার্থে কিছু আইন করেছে আর সেই আইন ও তার 1861 সালে আইন গুলা বাংলাদেশ পুলিশে রয়েছে এই নিয়ে দেশের সরকার কিংবা দেশের মানুষের কোন মাথাব্যথা নেই এখন বলেন 1861 সালে আইন নিয়ে পুলিশ কিভাবে আপডেট হবে
√দোষ শিকার বাঙালি না বোধক: হ্যাঁ হতে পারে আপনি হেলমেটটি বাসায় অথবা হারিয়ে ফেলেছেন কিন্তু বাঙালি এটা কখনো স্বীকার করে না এযে হেলমেটে হারিয়ে ফেলেছি কিংবা বাসায় ফেলে এসেছি একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন কোন রেস্টুরেন্টে যদি বাঙালি খাইতে বসে তাহলে গ্লাস থেকে একটু পানি পড়ে গেলে সেটি বাঙালি স্বীকার করে না কিন্তু বিদেশের দিকে তাকিয়ে দেখেন গ্লাস থেকে পানি পড়ে গেছে বিদেশীরা নিজেই ডেকে বলছে এই একটু এদিকে আসেন একটু পরিষ্কার করে দেন কিন্তু বাঙালি এটা কখনোই স্বীকার করে না (আমি বাঙ্গালীদের বিপক্ষে কথা বলছিনা হেলমেট এদের শর্ত সাপেক্ষে বললাম)
√ আপনাকে কিছুই করতে হবে না আপনাকে যদি পুলিশ ডাক দেয় তাহলে শান্তভাবে পুলিশের সামনে দাঁড়াবেন সালাম দেবেন আর পুলিশকে স্যার বলে সম্মান করবেন তবে অফিসার ভেদে বিভিন্ন সম্মাননা হতে পারে যেমন কনস্টেবলকে ভাই বলে যথেষ্ট কিন্তু আপনি যদি একজন সার্জেন্ট অথবা সাব ইন্সপেক্টর কে ভাই বলেন তাহলে সেটি পুলিশের মাইন্ডে লেগে যায় সো স্যার বলতে সমস্যা কি আর আপনি যদি কোন অপরাধ না করেন তাহলে পুলিশ আপনার কথাবার্তায় কিম্বা আপনার মুখ দেখে বলে দিবে কারণ যে যে কাজে থাকে শেষ এই কাজে এক্সপার্ট কারণ আপনি যখন কোন অপরাধ করবেন তাহলে আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বলে দেবে আপনি কিছু করছেন কি না সেই সময় আপনার কোন পরামর্শ কাজ করবে না কথায় আছে না পিঁপিড়া খুজে নেবে সুগার মিল এরকম অবস্থা হয়ে যাবে
??আরো অনেক কথা বলার ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে বলতে পারলাম না তবে এটা বলতে পারি বর্তমান পুলিশ আর কয়েকবছর আগের পুলিশ মধ্যে অনেক তফাৎ বর্তমান পুলিশ মোটামুটি আপডেট বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশ সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইন সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
আর পুলিশ জনগনের বন্ধু এবং পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ এই কথোপকথন একদিন পরিবর্তন আসবে।
Keep it up.You’ve earned the respect-which is most valuable from us-Trickbd Users.
Love you Neon Vai.?
But isn’t GPS tracking so costly?
ধন্যবাদ………