“আসসালামু আলাইকুম ”
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন।
“হ্যাক” [b] মানে কী?
হ্যাক মানে কোনো জিনিসকে নিজের মতো করে পরিবর্তন করা। আর হ্যাক করার পদ্ধতি হলো হ্যাকিং।
তাহলে আপনারা জানতে পারলেন হ্যাক কি? আর হ্যাকিং কাকে বলে।
হ্যাকিং উৎপত্তি
1950 সালে থেকে 1960 এর দশকে M.T.T ইঞ্জিনিয়াররা প্রথম হ্যাকিং শব্দটা প্রচলন করে ছিলো।
হ্যাকিং শুরু টা হয়েছিলো মেইলফ্রেম কম্পিউটারের কোডিং ভাঙ্গার মাধ্যমে জেনে রাখা ভালো এটা মজার করে করা হয়েছিলো।
তাহলে তখন থেকে এখন পর্যন্ত হ্যকিং এর কোন পরিবর্তন হয় নাই।
আপনি সাইবার স্পেস এর যে কোন কিছুই হ্যাক করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে এত ভালো প্রোগ্রামার হতে হবে এমন ভয় অনেক এ দেখিয়েছে।
বিষয় টা এমন না। যে আপনি প্রোগ্রামিং জানলেই হ্যাকার হতে পারবেন। কারণ বাংলাদেশ এর প্রতিটি কলেজ জাভা, পাইথন, সি, সি++ সেখানো হয়।
আপনি কিছু ব্যাসিক জিনিস আয়োত্ত আনতে পারলেই হ্যকিং নিয়ে আপনার ইন্টারেস্ট বৃদ্ধি পাবে।
আমি বলো না আপনি ভালো প্রোগ্রামর হওয়ার জন্য হাজার টাকা খরচ করে প্রোগ্রামার হয়ে যান। আপনি শুধু এর ব্যাসিক কিছু শিখে রাখুন।
যেমন ছোট বেলায় “অ আ ই ঈ ” শিখেছেন। তা দিয়ে এখন আপনি সব কিছুই লিখতে পারেব। ও নিজের ভাব প্রকাশ করতে পারেন।
হ্যাকিং এর কিছু পদ্ধতি আছে যা আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। চলুন সেই গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।
হ্যাকিং এর পদ্ধতি
A. Vulnerability scanning : এটি হচ্ছে কম্পিউটার বা আপনার মোবাইল এর দুর্বলতা। ভভালনারিবিলিটি স্ক্যানিং হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কম্পিউটার বা আপনার মোবাইল এর নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্ত করা হয়, তা ব্যবহার এর একটি নিরাপত্তা কৌশল। আপনার নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেট এর সিস্টেম এর দুর্বলতা এর মাধ্যমে চেক করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। আর হ্যাকার রা কম্পিউটার বা আপনার মোবাইল এর সিস্টেম এর অননুমোদিত এক্সেস পাওয়ার জন্য এটি ব্যবহার করে থাকে।
B. Brute force attack : ব্রুট ফোর্স এটাক সম্পর্কে প্রায় সবাই কম বেশি জানে। তবে যারা জানেন না তাদের বলি হ্যাকার আপনার ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইমেইল ইত্যাদি ইউজার দের পাসওয়ার্ড ফাইল সংগ্রহ করে ফেলতে ও পারে এই ব্রুট ফোর্স এটাক এর মাধ্যমে। এটি সাধারণ একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে করা হয়। এটির মুল কাজ হচ্ছে আপনার ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড পর্যন্ত ফোর্স করা।
উদাহরণ হতে পারে আপনার পাসওয়ার্ড aaaa, হ্যকার এর সফটওয়্যার যদি এটা অনুমান করতে পারে aaab, aaac,তার পর aaaa তা হলেই আপনার পাসওয়ার্ড টি ক্যাক হয়ে যাবে। এভাবে aaaa ব্যবহার করে zzzz এই ৪ ডিজিট দিয়ে চেক করতে থাকবে।
C. Dictionary Attack : এটি হচ্ছে B স্টেপ এর একটি অংশ। এতে হ্যাকার কিছু পাসওয়ার্ড ডিকশিনারি আগে থেকেই তৈরি করে থাকে। যার মাধ্যমে হ্যকার দ্রুত আপনার পাসওয়ার্ড ক্যাক করে ফেলতে পারে। এই পাসওয়ার্ড ডিকশিনারি মাধমে সেকেন্ড এ প্রায় ৬.২ বিলিয়ন পাসওয়ার্ড ম্যাচিং করা সম্ভব।
ডিকশিনারি এটাক টা তখনি কাজ করবে যখন সেই পাসওয়ার্ড লিস্টটের ভিতর থেকে সঠিক পাসওয়ার্ড টা খুজে বের করতে পারে। যা অনেক সময় সময় সাপেক্ষ।
D. Password cracking : আমরা সাধারণ যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি এবং নতুন পাসওয়ার্ড নির্বাচন করি, ঠিক সেই ভাবেই পাসওয়ার্ড গুলো কোন ওয়েব সাইটে সংরক্ষণ করে না। এই পাসওয়ার্ড গুলো সাইটের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় একটি বিশেষ এনক্রিপশন এলগরিদম এর ম্যধমে। সেটা বলুন ফেসবুক বা গুগল সব এই বিষেষ এলগরিদম অনুসরণ করে থাকে।
পাসওয়ার্ড সংক্ষনের অনেক উপাই আছে, তার মধ্যে হচ্ছেঃ হ্যাশিং, সল্টিং, টোকেইন, টু ফ্যাক্টর অথোরিটি ইত্যাদি। এগুলা ব্যবহার করা হয় হ্যাক থেকে বাচার জন্য।
তার পর ও হ্যকার রা হ্যাশ কোডকে ডিক্রিপ্ট করে ফেলে।
আজ এই পর্যন্ত পরবর্তী পর্বে আরো কিছু বিষয় নিয়ে করা বলা হবে ইনশাআল্লাহ।
আমার YouTube channel টিতে subscribe করতে ভুলবেন না Youtube link
ফেসবুক এ আমি Facebook ধন্যবাদ।
Btw ok 🙂
ভাই প্লিজ আমাকে হ্যাকিং শিখবেন ।আমাকে একদম শুরু থেকে শিখবেন প্লিজ।আমি শুরু থেকে সব শিখতে চায়।