বর্তমানে ধর্ষণ একটি কমন শব্দ হয়ে গেছে খবর ছাড়লেই ধর্ষণ এর খবর।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলেও ধর্ষণ এর খবর। বাংলাদেশে এখন ধর্ষণ এর ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।
এই ধর্ষণ হওয়ার পিছনে অনেক কিছু দায়ী।কেউ কেউ বলছে ধর্ষণ হওয়ার পিছনে কিছু বেপর্দা নারী দায়ী যারা অশালীন পোশাক পরে ঘুরে বেড়ায় এবং এই কারনে কিছু ছেলে তাদের প্রবৃত্তিকে দমন করতে না পেরে ধর্ষণ করছে।
আবার কেউ কেউ বলছে তাহলে বৃদ্ধা,শিশু এদের কী দোষ?
এদেরকে দেখে কেউ কীভাবে আসক্ত হতে পারে?এদের কে দেখেও যারা আসক্ত হবে তারা তো মানুষ না জানোয়ার।
আবার যারা বেপর্দা নারী তাদের দিকে না তাকালেই তো হয় কারন পবিএ কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
“মুমিনদের বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত করে এবং লজ্জা স্থান এর হেফাজত করে”। [১]
হ্যা পুরুষরা বেশি দায়ী ধর্ষণ এর জন্য আবার কিছু কিছু বেপর্দা নারীও দায়ী আছে ধর্ষণের জন্য।
আর বৃদ্ধা,শিশু ধর্ষণ এর জন্য কিছু জানোয়াররুপধারী পুরুষ তো দায়ী সেই সাথে আরো কিছু বিষয় দায়ী আছে যেই বিষয় টা কে নিয়ে মানুষ বেশি আলোচোনা করে না আার বিষয়টি হলো পর্ণ ইনড্রাসট্রি এবং অশ্লীল সিনেমা আর আইটেম সং।
মূলত এগুলো সবই পর্ণ ইনড্রাসট্রি এর মধ্যেই পড়ে।আর এগুলো প্রচনড দায়ী ধর্ষণ এর জন্য।
কারন দর্শক যখন এগুলো দেখে তখন তার মধ্যেও ওই কাজটি করার অনুভূতি আসে এবং সে যখন সংগী পাই না তখন সে বৃদ্ধা্,শিশু ইত্যাদি এদেরকে ধর্ষণ করে যেটা অত্যনত কষ্টের কথা।
আর ধর্ষণ বৃদ্ধি হওয়ার কারণ হলো পর্যাপত শাস্তি না পাওয়া।
কারন যখন কোনো ধর্ষক টিভিতে দেখে যে অন্য কোনো ধর্ষক কে সঠিক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না তখন তার মনে সাহস চলে আসে ধর্ষণ করার।আর এর ফলেই ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাহলে এই ধর্ষণ রোধ করার উপায় কী?
ধর্ষণ রোধ করার উপায় হলো:
[১] পুরুষ দের দৃষ্টি অবনত করতে হবে।
[২] নারীদের বেপর্দা এবং অশালীন পোশাক পরা যাবে না শালীন পোশাক পরতে হবে।
[৩] পর্ণ ইনড্রাসট্রি কে বন্ধ করতে হবে এবং আইটেম সং অশ্লীল সিনেমা প্রচার করা বন্ধ করতে হবে।
[৪] এবং কেউ যদি ধর্ষণ করে তাকে ইসলামী আইন অনুযায়ী কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুতে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।যদি এই শাস্তি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে যারা ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করেছিল তাদের রুহ কেপে যাবে এবং আর ধর্ষণ হবে না এই দেশে।
রেফারেন্স:
সমাপ্ত