আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
যে তিনটি সময় মিথ্যা বলা জায়েজ
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা সম্পূর্ণ না পড়লে আপনার ভুল বুঝতে পারেন তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। ইসলামী মিথ্যা বলা অন্যায় যারা মিথ্যা বলে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। মিথ্যা হল সকল পাপের জননী। এটা নিয়ে প্রবাদ রয়েছে। কিন্তু এত কঠিন বিধান এর পরেও ইসলামের তিনটি জায়গায় মিথ্যা বলার সরাসরি অনুমোদন রয়েছে। যে জায়গা গুলোতে মিথ্যা বলে কোন পাপ হবে না গুনা হবে না। তো সেটা কিরকম মিথ্যে চলুন জেনে নেই তার জন্য আটিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
এক নম্বর হলোঃ স্বামী তার স্ত্রীকে খুশি করার জন্য মিথ্যা বলা জায়েজ। ওলামায়ে কেরামগণ তাদের ব্যাখ্যায় লিখে নিজের স্ত্রীরা যদি যিদ্দি হয়ে থাকে এখন আপনার কাছে যদি আপনার স্ত্রী কোন কিছু আবদার করে আর আপনি তা না করার বিষয়ে বলেন অর্থাৎ তখন যদি আপনি সাথে সাথে বলে দেন যে আপনি আবদার পূরণ করবেন না। তখন হতে পারে বউ ঘরে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে তাই সে ক্ষেত্রে স্ত্রীকে ঠান্ডা রাখার জন্য আপনি বলে দিলেন ঠিক আছে করে দিবো ইনশাল্লাহ। স্ত্রী যদি বলে আমাকে আকাশের চাঁদটাও এনে দাও তখনও আপনি বলতে পারেন ইনশাল্লাহ।
আমি যত দ্রুত সম্ভব তোমার জন্য চাঁদটা এনে দেওয়ার চেষ্টা করব। বা আমি যত দ্রুত সম্ভব তোমার জন্য চাঁদটা এনে দেবো। অথচ এটা বাস্তবে কখনই সম্ভব না তবুও আপনি যেহেতু মজবুর যদি মুখের উপর না বলে দেন তাহলে অনেক বড় ঝগড়ার কারণ হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে বাঁচার জন্য ইসলামী শরীয়তে এক্ষেত্রে মিথ্যা বলার এজাজত দিয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন→স্বামী এবং স্ত্রী এমন মিথ্যা কথা বলতে পারবে যা দ্বারা ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাবে এবং এই মিথ্যা থেকে কোন অকল্যাণ আসতে পারবে না মিথ্যা বলা যাবে সেটি ভালোর জন্যই।
দ্বিতীয় নম্বর বিষয় হলোঃ যুদ্ধ ময়দানে মিথ্যা বলা জায়েজ। এর ব্যাখ্যায় ওলামায়ে কেরামগণ বলেন ধরুন আপনি যুদ্ধের ময়দানে গ্রেপ্তার হলেন তখন আপনাকে জিজ্ঞাসা করল তোমরা কতজন সৈন্য তখন আপনি সেখানে যুদ্ধ কৌশল হিসেবে সংখ্যায় বেশি বলতে পারেন যেমন নবী করীম (সাঃ) ঘোষণা দেন আগামীকাল সকালে ফজরের নামাজ আদায় করে নিয়ে পূর্ব দিকে রওনা দেবো। কিন্তু দেখা যেত তিনি নামাজ শেষে পশ্চিম দিকে রওনা দিতেন। কারণ যে নামাজে মুনাফিক কেউ থাকতো তারা শত্রুদেরকে সে খবর দিয়ে দিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম যুদ্ধকৌশল হিসেবেও এমনটি করতেন।
তিন নম্বর বিষয়টি হলোঃ দুজন লোকের মাঝে সন্ধি করতে বা ঝগড়া মিটাতে মিথ্যা বলা জায়েজ। যেমন আপনার দুই প্রতিবেশী ঝগড়া করে একে অপরের মুখ পর্যন্ত দেখেনা। আর তখন আপনি একজন প্রতিবেশীকে গিয়ে বললেন যে তুমি ওর সাথে কথা বলছো না অথচ দেখলাম সে তোমার খুব প্রশংসা করছে। তুমি যে তার অনেক ভালো প্রতিবেশী সেটা স্বীকার করেছে। কিন্তু এখন তুমি যে তার সাথে কথা বলছো না তাতে সে খুবই দুঃখিত।
তারপর দ্বিতীয়জন কেউ যখন দ্বিতীয় প্রতিবেশীর সাথে দেখা হবে তাকে একইভাবে বুঝালে দেখা যাবে আবার মিলে যাবে। এভাবে দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া মেটাতে মিথ্যা বলা শরীয়তে জায়েজ আছে। তো প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পারলাম
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
ভালো লাগলে আমার সাইটের পোস্ট গুলি দেখে আসতে পারেন এখানে আমি প্রতিদিন নতুন নতুন আপডেট দিয়ে থাকি আজকের আপডেট
link:
6 thoughts on "আপনি যে তিন সময় মিথ্যা কথা বলতে পারবেন। যে তিনটি সময় মিথ্যা বলা জায়েজ জেনে রাখা ভালো।"