আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে হযরত উসমান (রা) এর জীবনী নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
হযরত উসমান (রা) এর জীবনকাহিনী :হযরত উসমান (আ) ছিলেন ইসলামের চার খলিফার মধ্যে একজন । তিনি আবার আমাদের নবি হযরত মোহাম্মদ (স) এর জামাই । তিনি আমাদের নবি করিম (স) এর দুই কন্যা রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুমকে বিয়ে করেন । তবে একজনের মৃত্যুর পর একজনকে বিয়ে করেন । তিনি ৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের উমাইয়া গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ৩৪ বছর বয়সে ইসলাম ধম গ্রহণ করেন । ইসলাম গ্রহণ করার পর তাঁর চাচা হকাম তাঁকে নানা রকম ভাবে নিযাতন করে । এক পযায়ে তিনি মক্কা ছাড়তে বাধ্য হন । তিনি ও তার সহধমিণী রুকাইয়া আবিসিনিয়ায় হিযরত করেন ।
হযরত উসমান (রা) আরবের শ্রেষ্ঠ ধনী । ব্যাবসা করে তিনি এসব সম্পদ অজন করেন । এজন্য তাকে গণি বলা হয় । এসব সম্পদ তিনি একে একে মুসলিমদের জন্য ব্যায় করেন । এরকম কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো :-
মদিনায় পানির অভাব দূর করার জন্য ১৮০০০ (আঠারো হাজার) দিনার বা স্বণমুদ্র একটি কূপ ক্রয় করে তা বিলি করে দেন । ওহুদ যুদ্ধের ত্রিশহাজার সৈন্যের মধ্যে দশহাজার সৈন্যের ব্যায়ভার তিনি বহন করেন । মদিনায় দূভিক্ষ দেখা দিলে তিনি খাদ্য বিতরণ করতেন । মসজিদে নববি ব্যাক্তিগত খরচে সম্প্রসারণ করেন । এছাড়া যুদ্ধে মুসলমান বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য এক হাজার উট দান করেন । এছাড়া মহানবি (স) এর দরবারে সাতটি ঘোড়া ও একহাজার দিনার দান করেন ।
কুরআন সংকলনেও তিনি গুরুত্বপূণ ভূমিকা পালন করেন । একসময় আরবের লোকেদের মধ্যে কুরআন পড়ার মধ্যে তক বিতক লেগে যায় । এসময় তিনি হযরত হাফসা (রা) এর কাছ থেকে পবিত্র কুরআনের মূল কপি সংগ্রহ করেন । ৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে কপিটির আরও ৭টি কপি করেন ও বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন । তারপর থেকে কুরআন শুদ্ধ রুপে সকলে পড়তে থাকে ।
তো এই ছিল আমার পক্ষ থেকে । পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ । সকলে সুস্থ থাকুন । ধন্যবাদ ।