আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে ইসলামী শরিয়তের ফরজ এবং ওয়াজিব নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।

শরিয়ত হলো ইসলামি বিধি বিধানের সমন্বিত রুপ । ইসলামি শরিয়তের বেশ কিছু পরিভাষা রয়েছে । ইসলামি শরিয়তের বিধানবলি সংক্রান্ত পরিভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :- ফরজ,সুন্নাত,ওয়াজিব ইত্যাদি ।

ফরজ :-

ফরজ অথ অবশ্য পালনীয় । শরিয়তের যেসব কাজ করা অবশ্য কতব্য বা অলঙ্ঘনীয় তাকে ফরজ বলা হয় । অথাৎ ফরজ কাজগুলো আমাদেরকে অবশ্যয় পালন করতে হবে ।

ফরজ মূলত দুই প্রকার । যথা :-
১। ফরজে আইন
২। ফরজে কিফায়া

ফরজে আইন :-

যে সকল ফরজ বিধান সকলের উপর পালন করা অত্যাবশ্যক তাকে ফরজে আইন বলে । এই কাজগুলো একেক জনকে ব্যাক্তিগতভাবে আদায় করতে হবে । অন্যকেউ আদায় করলে হবে না । যেমন :- নামায আদায় করা,রোজা রাখা ইত্যাদি ।

ফরজে কিফায়া :-
এটি হলো সামষ্টিকভাবে ফরজ কাজ । অথাৎ এগুলো মুসলমানদের উপর ফরজ করা হয়েছে । কিন্তু কিছু লোক যদি এই ফরজ আদায় করে তবে তা সকলেরই আদায় করা হয়ে যাবে । আবার কেউ যদি পালন না করে তবে সবাই গোনাহগার হবে । যেমন :- জানাযার নামায । এটি গ্রামবাসীর উপর ফরজ । তবে কয়েকজন যদি আদায় করে তবে তা সকলের ক্ষেত্রে আদায় হয়ে যাবে । কিন্তু কেউ যদি আদায় না করে তবে সবাই গোনাহগার হবে ।

ওয়াজিব :-
শরিয়তে ফরজের পরেই ওয়াজিবের স্থান । ওয়াজিব অথ অবশ্য পালনীয় । শরিয়তে যে কাজগুলো অবশ্য পালনীয় কিন্তু ফরজ নয় এমন কাজকে ওয়াজিব বলে । ওয়াজিব কাজ অস্বীকার করলে কেউ কাফির হবে না কিন্তু গোনাহগার হবে । এরকম অনেক ওয়াজিব কাজ আছে । যেমন :- বিতর সালাত । এছাড়া নামাযের মধ্যেই অনেক ওয়াজিব কাজ রয়েছে । যেমন :-সূরা ফাতিহা পড়া,মধ্য বৈঠকে বসা ইত্যাদি ।

তো এই ছিল আমার পক্ষ থেকে । পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

2 thoughts on "ফরজ ও ওয়াজিব সম্পকে বিস্তারিত জানুন"

  1. Shamsul_alam Contributor says:
    Thank you bhai.Islamic post kore jan ins Allah

Leave a Reply