আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদের সাথে ইসলামি শরিয়তের দ্বিতীয় সুন্নাত ও হাদিস সম্পকে আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।

ইসলামি শরিয়তের প্রথম উৎস হলো আল-কুরআন । আর দ্বিতীয় উৎস হলো সুন্নাত । সুন্নাতের শাব্দিক অথ হলো রীতিনীতি । ইসলামি পরিভাষায় মহানবি (স) এর বাণী,কম ও তাঁর সমথিত রীতিনীতিকে সুন্নাহ বলে । সুন্নাহকে হাদিস নামেও অভিহিত করা হয় । হাদিস বা সুন্নাহ হলো আল কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ ।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মজিদে বিভিন্ন বিষয়ের সংক্ষিপ্ত মূলনীতি বণনা করেছেন । আর মহানবি (স) তাঁর সুন্নাহের মাধ্যমে এসব বিধি-বিধান ও বিষয়সমূহ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করেছেন । আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মজিদে মহানবি (স) কে বলেছেন, “আমি আপনার প্রতি কুরআন নাজিল করেছি মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে । (সুরা নাহল,আয়াত ৪৪)

এ সম্পকে আরও ভালোভাবে বোঝা যায় একটি উদাহরণের মাধ্যমে । চলুন উদাহরণটি দেখে এ বিষয় থেকে চিন্তা দুর করি ।

উদাহরণ :-

পবিত্র কুরআনুল কারিমের সুরা আল-আনআমের ৭২নং আয়াতে বলা হয়েছে, “তোমরা সালাত কায়েম কর ।”

কিন্তু সালাত কোথায় কায়েম করতে হবে,কীভাবে কায়েম করতে হবে,কোন সময়ে কায়েম করতে হবে,কখন আদায় করলে গোনাহ হবে ইত্যাদি বিষয় কুরআন মজিদে বিশ্লেষিত আকারে দেওয়া নেই । বরং রসুল (স) এর ব্যখ্যা করেছেন । তিনি সালাতের সমস্ত নিয়মকানুন তাঁর হাদিস বা সুন্নাহ অনুযায়ী বিশ্লেষণ করেছেন । এভাবে আল কুরআনের নিদেশ ও সুন্নাহর বণনার মাধ্যমে সালাত প্রতিষ্ঠা হয় ।

মুলত হাদিস হলো আল কুরআনের পরিপূরক । আল কুরআনে হাদিসকে শরিয়তের দলিল হিসেবে বণনা করা হয়েছে । আল্লাহ বলেন, “রাসুল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর আর তোমাদের যা নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক ।” (সুরা হাশর,আয়াত ৭)

সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, সুন্নাহ বা হাদিস শরিয়তের অন্যতম দলিল ও উৎস । আল কুরআনের পরেই এর স্থান ।

তো আজ এতটুকুই ছিল । সবাইকে ধন্যবাদ ।

Leave a Reply