আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ !!
মুসলমান দ্বীনি ভাই , আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ও নিয়ামতে অনেক ভালো আছেন ।
আমি রিফাত । ইসলাম এমন একটি ধর্ম যার সকল বিধিনিষেধ মেনে চলতে পারলে আমার সমাজ এবং গোটা বিশ্ব শান্তিতে ভরে যাবে । বিশ্বাস করেন কিনা ?
কিন্তু দুটি সমস্যা আছে । প্রথমত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান হলেও সবাই মুসলমান না ।
দ্বিতীয়ত যারা মুসলমান তাদের ভেতর অনেকেই নামে মুসলমান । অর্থাৎ ইসলামের কিছু বিধান মানে আর কিছু মানে না । অর্থাৎ ইচ্ছা মতো করে ধর্ম পালন করে । কিন্তু এটা জানতে হবে যে ইসলামের কিছু অংশ মানে আর কিছু অংশ মানে না তারা দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে । আল কুরআনের মধ্যেই আল্লাহ তাআলা নিজেই এ ব্যাপারে বলে দিয়েছেন ।
ইসলাম যদি হতো রাষ্ট্রীয় বিধান তাহলে রাষ্ট্রের কত উন্নয়ন ঘটতো !!!
মানুষের মনের মধ্যে যদি আখিরাতের ভয় থাতো , জবাবদিহিতার ভয় থাকতো তাহলে অন্যায় করতে পারতো না! এমন না যে মানুষ মৃত্যুর ভয় করে না । সবাই মৃত্যুর ভয় করে । কিন্তু মনে থাকে না মৃত্যুর কথা ।
হযরত উমর ফারুক রাঃ এর খলিফা থাকা কালীন সময়ের ঘটনা ,
একদিন তিনি মােমের আলােয় কাজ করছিলেন । এমন সময় সেখানে আসলেন তার দুই আত্মীয় । খলিফা তাড়াতাড়ি ফুঁ দিয়ে মােমবাতিটি নিভিয়ে দিলেন। অন্য আরেকটি মােমবাতি ধরিয়ে অতিথিদের বসতে দিয়ে তাদের খােজখবর নিলেন !
কৌতুহল চাপতে না পেরে একজন জানতে চাইলেন ,
” আমাদের দেখে কেন আপনি আগের মােমবাতি নেভালেন আর নতুন একটি জ্বালালেন? ”

খলিফা জবাব দিলেন , ” আগের মােমবাতি ছিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি থেকে কেনা। তােমরা যেহেতু আমার আত্মীয়, তাই তােমাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত অনেক আলাপ হবে। আমার নিজের কাজে জনগণের আমানত থেকে আমি কিছু খরচ করতে পারি না। তাহলে আল্লাহর দরবারে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। তাই নিজের টাকায় কেনা মােমবাতিটি তােমাদের দেখে জ্বালালাম। ”
এই জবাবে আত্মীয়রা হতভম্ব হলেন। তারা
এসেছিলেন আত্মীয়তার খাতিরে বিশেষ কোন
সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সেই অনুরােধ করতে
। কিন্তু সামান্য মােমবাতি নিয়ে খলিফার এত
বিবেচনা ও সতর্কতা দেখে নিজেদের প্রস্তাব
জানাতে তারা আর সাহসই করলেন না।

বলতে নেই তবুও বাস্তবতা হচ্ছে , সেরকম আত্বীয় না থাকলে এখন চাকরি পাওয়া মুশকিল । অসংখ্য অযোগ্যরাও চেয়ারে বসে পড়েছে । যোগ্যতার তো প্রশ্নই ওঠে না ! অনেক যৌগ্য লোক তো সেখানে যাওয়ার সুযোগ ই পাচ্ছে না ।
তাহলে বলুন যে , ঐ জায়গার উন্নতি কীভাবে হবে ???

আরেকবার খলিফার কাছে এক লােক অবৈধ
সুবিধা চায়। খলিফার সামনে রাখা কিছু কাঠে
তখন আগুন জ্বলছিল। খলিফা বললেন, ,” ঠিক
আছে। তুমি এই আগুনের ভিতর তােমার হাত কিছু সময়ের জন্য রাখাে; তারপর তােমার অনুরােধ আমি বিবেচনা করবাে। ”
লােকটি ভয় পেয়ে বললাে,
” হে খলিফা ! এই আগুনে হাত ঢুকালে আমার হাত তাে জ্বলে যাবে। ”

খলিফা বললেন , তুমি দুনিয়ার এই সামান্য আগুনকে ভয় পাচ্ছ অথচ আমাকে তুমি
দোযখের অনন্ত আগুনের ভিতরে নিয়ে যেতে চাও ??? ”
তদবিরকারী নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফিরে যায়।
জাহান্নামের আগুন তো সবাই বিশ্বাস করে । কিন্তু কয়জন উপলব্ধি করে ?? বিশ্বাস করা আর উপলব্ধি করা এক বিষয় নয় । শুধু উপলব্ধি করাও যথেষ্ট নয় । সবসময়ই মনে রাখতে হবে মৃত্যুর কথা স্মরণ করতে হবে , কবর , কিয়ামত , হাশর , মিজান , পুলসিরাত , জাহান্নাম এ সবকিছুই যে আমাদের সাথে ঘটবে সে সব কিছুই যদি সবসময়ই মাথায় রেখে কেউ চলে , তাহলে কি তার পক্ষে অন্যায় , গুনাহ করা সম্ভব ??? নিশ্চয়ই না ।
সুপ্রিয় পাঠক ও দ্বীনি ভাই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ! ভালো থাকবেন । আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক সকলের হেদায়েত দান করুন । এ দোয়া করে আজকের পর্বে বিদায় নিচ্ছি । আল্লাহাফেজ !!!

One thought on "কোনো নেতা যদি সম্পূর্ণ ঈমানদার মুসলমান হয় , তাহলে উন্নয়ন অবধারিত । খুব সুন্দর ইসলামিক গল্প । আশা করি ভালো লাগবে । ( সম্পূর্ণ পড়ুন )"

  1. A M Contributor says:
    Good post 🙂

Leave a Reply