কোন দিন সিগারেটের ধারে কাছে যাইনি।
কিন্তু অনেক শুনেছি,
সিগারেট খেলে ফ্রেস লাগে,
টেনশন কম হয়।
অনেক ভেবেচিন্তে গেলাম,
একটা সিগারেট কিনতে।
একটা সিগারেট খেয়ে দেখি কেমন লাগে।
পকেট থেকে একটা ১০ টাকার নোট বের করে,
ছোট্ট দোকানটাতে গিয়ে বললাম,
ভাই,১০ টাকায় কোন সিগারেট পাওয়া যায়?
দোকানদার ছেলেটা পূর্ব পরিচিত,
কিন্ত এমন ভাবে তাকালো,
মনে হয় ভুত দেখছে।
তারপর একটা সিগারেট দিয়ে বলল,
এই নেন সিগারেটের সাথে,
একটা ২ টাকার নোটও দিলো।
জিজ্ঞেস করলাম,
এই সিগারেট খেলে কি মাথা ধরবে?
না, গুললিফ’ সিগারেট খেলে কিছু হয় না।
বুঝলাম,এটা গোল্ডলিফ সিগারেট।
তারপর একটু হেসে বলল,আগুন দেব?
না এখানে খাব না আরাম করে একা বসে খাব।
একটা দেশলাই দেন,
ফেরত দেওয়া ২ টাকার নোটটা আবার দোকানদারকে
দিলাম।
তারপর ৮ টাকায় কেনা সিগারেট,
আর ২ টাকায় কেনা দেশলাই নিয়ে,
একটু ফাকা জায়গায় এলাম।
তখন সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হয়ে গেছে।
সিগারেটটা নাকের কাছে নিয়ে,

একবার শুকে দেখলাম।
মানুষ সিগারেট খেলে,
পাশ থেকে যে উৎকট গন্ধটা পাই,
তেমন কোন গন্ধ পেলাম না।
সিগারেটটা ঠোটে নিলাম।
তারপর ভাবলাম,
আচ্ছা,আমি সিগারেট কেন খাবো ?
মন থেকে উত্তর পেলাম,
কারন,যাকে ভালোবাসি,
সে ধোকা দিয়েছে,
ঠোট থেকে সিগারেটটা,
আবার হাতে নিলাম।
তারপর আবার নিজেকে প্রশ্ন করলাম,
তাকে তো জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতাম,
সে ধোকা দিছে বলে,
জীবনটা দিতে চেয়ে ছিলাম,
কিন্তু বেচে গেলাম।
তাহলে সিগারেটা না খেয়েও তো থাকতে পারি।
আর জীবনের যেটুকু বাকী আছে,
তাকে নিকোটিন দ্বারা বিষাক্ত করার,
কি কোন মানে হয়’?
মন থেকে উত্তর এলো,
কোন মানে হয়না,
তাহলে কি আমি সিগারেট খাবো?’না’,
মনের কথাই শুনলাম।
সিগােরটা ধরালাম না।
ফিরে এলাম আবার দোকানে।

ভাই,সিগারেটটা ফেরত নেবেন?
একটু হেসে দোকানদার সিগারেটটা নিলো।
তারপর ১০ টাকার নোট দিলো একটা।
বললাম,ভাই দেশলাইটাও নেন।
না,ওটা রাখেন ওটা আপনার কাজে লাগবে!
কিন্তু আপনি তো ১০ টাকা দিলেন।
সিগারেটটা তো একটু আগে ৮ টাকায় কিনলাম।
আপনার কাছ আবার আমি কিনলাম ১০টাকায়,
দু টাকা আপনার লাভ!
দোকানদারের কথা শুনে হাঁসি পেল।
বাসায় এসে দেখি কারেন্ট নাই।
মাকে বললাম,
বাড়ি অন্ধকার কেন?
কারেন্ট গেল।
মোমবাতি জ্বালানোর জন্য দেশলাই নেই।
আমি পকেট থেকে দেশলাইটা বেরকরে দিলাম।
রাতে শুয়ে চিন্তা করলাম,
আজ কি করতে চেয়েছিলাম আমি?
সিগারেট খেয়ে কি হত?
নিজের ক্ষতি ছাড়া উপকার হত কি?

সিগারেট ধরা কোন সমস্যার সমাধান নয়।
সিগারেট খাওয়া শুরু করার আগে,
একবার ভাবুন,
নিজের কথা,
পরিবারের কথা,
পরিবেশের কথা,
ডুবে যাওয়ার আগে ভাবুন।
ধুমপান কে না বলুন।

3 thoughts on "গল্পটা পরুন ও সিগারেট কে না বলুন – ভালো লাগবে, উপকারেও আসবে.."

Leave a Reply