যাঁরা হাঁটা-চলাফেরার মধ্যে থাকেন, তাঁদের
আলাদা ব্যায়ামের দরকার হয় না। সমস্যা হয় যাঁরা
দিনের বেশির ভাগ সময় এক জায়গায় বসে কাজ
করেন। তাঁদের প্রতিদিন একটু ব্যায়াম করা দরকার।
শীতকালে এটা আরও বেশি জরুরি। এ বিষয়ে অনেক
বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন। তাঁরা দেখিয়েছেন,
ব্যায়ামের উপকারিতাগুলো আমরা কীভাবে পাই।
১. খুব বড় ধরনের আয়োজন না করেও কিন্তু ব্যায়াম
করা যায়। যেমন সকাল বা বিকেলে মিনিট ১৫
জোরে হাঁটলেও ভালো ব্যায়াম হয়। এর মধ্যে যদি
তিন-চার মিনিট সামান্য জোরে দৌড়ানো যায়,
তাহলে আরও ভালো। যাঁরা সকালে হাঁটতে অভ্যস্ত,
তাঁরা একটা বাড়তি সুবিধা পান। শরীর ঝরঝরে হয়ে
যায়। দিনের শুরুতে কাজের জন্য মনে হবে যেন
শরীরের কলকবজা সব ‘রিস্টার্ট’ হয়ে গেল। এরপর
সারা দিনের কাজের জন্য আপনি প্রস্তুত।

২. নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়। বিভিন্ন প্রাণীর ওপর পরীক্ষায় এটা দেখা
গেছে। মানুষের ওপর পরিচালিত পরীক্ষায়ও দেখা
গেছে, ব্যায়াম করলে সাধারণ অসুখ-বিসুখ কম হয়।
সহজে ঠান্ডা লাগে না, কাশি বা হালকা জ্বরে
ভুগতে হয় না। বিশেষভাবে শীতকালের এই সব
উপদ্রব থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব হয়।
৩. কোনো জীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে এর প্রতিক্রিয়ায়
রোগপ্রতিরোধ-ব্যবস্থা শরীরের বিভিন্ন সেলের
(জীবকোষ) মাধ্যমে জীবাণুগুলোকে আক্রমণ করে।
কিছু সেল সরাসরি কাজ না করে রোগপ্রতিরোধের
উদ্দেশে অন্য রকম ব্যবস্থা নেয়। ফলে শরীরের
বিভিন্ন স্থান একটু লাল হয়ে ফুলে ওঠে
(ইনফ্লেমেশন)। এসব দেখে আমরা অনেক সময় ঘাবড়ে
যাই, মনে করি রোগের লক্ষণ। কিন্তু অনেক সময়
ইনফ্লেমেশন শরীরের রোগপ্রতিরোধ-ব্যবস্থাকে
সক্রিয় করতে সাহায্য করে।
৪. সমস্যা হয়, যদি ইনফ্লেমেশন বেশি ছড়িয়ে পড়ে।
তখন পেশিকলার (টিস্যু) ক্ষতি হয়। এ ধরনের ক্ষতি
কমাতে ব্যায়ামের দরকার।
৫. শরীরের ফ্যাট সেলগুলো সাধারণত
ইনফ্লেমেশনের উপাদান জোগায়। দেহে
মাত্রাতিরিক্ত চর্বি এ জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের চর্বি কমায় এবং এভাবে
রোগপ্রতিরোধ-ব্যবস্থাকে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে
সাহায্য করে।

ভাল লাগলে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন
3GTune.Com
ফেসবুকে আমি

Leave a Reply