আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,রোযা রাখার শারীরিক উপকারীতা দিক। ইসলাম ধর্মের একটি মাস হলো পবিত্র রমযান মাস।প্রত্যোক মুসলমান প্রাপ্ত বয়স্ক সবার রোযা রাখা উচিৎ। এই রোযা রাখার ফলে আমাদের শারীরিক ভাবে ও অনেক উপকার হয়। আজকে আপনাদের মাঝে এটাই শেয়ার করব,যে রোযা রাখার ফলে শারীরিক ভাবে কি কি উপকার হয়। পবিত্র রমযান মাসে দীর্ঘ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হয়, এতে শারীরিকভাবে ও আমাদের অনেক উপকার হয়। প্রত্যোক মুসলমান আমাদের রোযা রাখা উচিৎ। এবং এই রমযান মাসে সমস্ত পাপ কাজ ছেড়ে, আমাদের ভাল হওয়ার চেস্টা করতে হবে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, রোযা রাখার ফলে শারীরিকভাবে যে উপকার হয় সে দিকগুলোঃ

১) মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিঃ

রোযা রাখার ফলে মস্তিষ্ক এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আমেরিকার এক বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন, রোযা রাখার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে নতুন কোষের জন্ম হয়।এবং যার ফলে এই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্ক এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মানসিক চাপ অনেক কমে যায়।

২) কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমানোঃ

একদন কার্ডিওলজিন্ট এর গবেষণায় দেখা গেছে, রোযা রাখার ফলে রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমে যায়। রক্তের কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমিয়ে যাওয়ার ফলে ভয়াবহ রোগ যেমন, হার্ট অ্যাটাক,হৃদরোগ,স্টোক এই সমস্ত ঝুকি ও অনেকগুন কমে যায়। এভাবে রমযান এর পর ও যদি চর্বি জাতীয় খাবার কম পরিমান খান,তবে ভয়াবহ রোগের থাবা থেকে রেহায় পাওয়া যায়।

৩) ভোজন বিলাস কমানোঃ

রমযান মাসে দীর্ঘক্ষন না খেয়ে থাকাতে, পাকস্থলী সংকুচিত হয়ে যায়।যার ফলে অল্প খাবার খেলেই পেট ভরে যায়। রমযান মাস হলো সঠিক খাদ্যভ্যাস গড়ার সময়। যারা খাবার খাওয়া কমাতে চান, তারা এই রমযান মাস থেকে খাদ্যভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেন। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া খুব বিপজ্জনক। তাই আমাদের উচিৎ, পরিমান মতো খাবার খাওয়া।যেটি পবিত্র রমযান মাস থেকে চর্চা করলে, সফল হওয়া যাবে।

৪)নেশাদ্রব্য থেকে মুক্তিঃ

পবিত্র রমযান মাসে নেশাদ্রব্য থেকে মুক্তি থাকা যায়। অনেকে আছে ধুমপান করে, ও বিভিন্ন আজে-বাজে নেশা করে। রমযান মাস আসলে রোযা রাখার ফলে নেশা জাতীয় খাবার খাইতে পারে না। এতে নেশাজাতীয় দ্রব্য থেকে মুক্তি থাকা যায়। এবং অনেকে নেশা না করে করে নেশা একদম বাদ দিয়েছে,যেটা পবিত্র রমযান মাস থেকে শিক্ষা নেয়া যায়।

৫) রক্তচাপ কমায়ঃ

রক্তচাপ কমানোর একমাত্র ঔষুধ ছাড়া মাধ্যম হলো রোযা। সারাদিন রোযা রাখার ফলে রক্তের গ্লুকোজ ও চর্বিকণা গুলো ক্ষয় হয়ে শক্তি উৎপাদন করে। রোযা রাখার ফলে মেটাবলিক রেট ও কমে যায়। যার ফলে রক্তচাপ একদম কমে যায়।রক্তচাপ কমার ফলে ব্লাড প্রেসার ও কমে যায়। রোযা রাখার ফলে রক্তচাপ কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক এর ঝুকি ও অনেকগুন কমিয়ে দেয়।

৬)ফ্যাট কমায়ঃ

রোযা রাখার ফলে শরীরে গ্লুকোজ এর মাত্রা একদম কমিয়ে দেয়। গ্লুকোজ এর মাত্রা কমিয়ে কেটসিস নামের শরীরে এক ধরনের রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে।যার ফলে আমাদের শরীর এর ফ্যাট কমিয়ে দেয় ও দেহের শক্তি বাড়িয়ে যায়।

৭) ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করেঃ

রোযা রাখার ফলে আমাদের শরীর এর ডায়াবেটিস প্রতিরোধ হয়।রোযা রাখার ফলে একটি মানুষের শরীরের গ্লুকোজ এর মাত্রা ভাঙ্গতে থাকে। গ্লুকোজ ভাঙ্গার ফলে আমাদের শরীরে গ্লাইকোজেন উৎপন্ন হয়। এবং আমাদের শরীরে সুগার এর মাত্রা কমিয়ে দেয়, যার ফলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ হয়।

৮) দেহের টক্সিন দূর করেঃ

আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন খাবার খাই, এসব খাবার এর মধ্য অনেক খাবার আছে যেগুলো নোংরা পরিবেশে তৈরী। এসব খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে জমে ক্ষতিকর টক্সিন। রোযা রাখার ফলে এসব টক্সিন জাতীয় খাবার না খাওয়ার ফলে, আমাদের দেহে টক্সিন জমতে পারে না।

৯) হজম ক্রিয়ার বিশ্রামঃ

আমাদের দেহে যে অঙ্গ গুলো হজম ক্রিয়ার কাজ করে,রোযার মাসে বিশ্রাম পায় সে অঙ্গগুলি৷ দীর্ঘক্ষন না খেয়ে থাকার ফলে এই হজম ক্রিয়ার যে অঙ্গগুলো আছে, সে অঙ্গগুলো বিশ্রামে থাকে।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।

পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ

8 thoughts on "রোযা রাখার শারীরিক উপকারীতার দিকগুলো জেনে নিন,"

  1. Obaidullah Author says:
    রোজায় কি weight বাড়ে? নাকি কমে?
  2. মাশআল্লাহ?অনেক_উপকারি_পোস্ট
    1. ???? Contributor says:
      সাবাস বাংলাদেশ ??
    2. Sk Shipon Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ ?
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      আপনি কি মুসলমান নাকি হিন্দু নাকি কোন ধর্মের। একটু বলবেন ভাইয়া?
  3. Mr_Triple_X Contributor says:
    very nice post…bro
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      tnx bro ??

Leave a Reply